ধর্মসেনা স্বীকার করলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে ভুল করেছেন
কেন উইলিয়ামসনও তাঁর দলবল কি জীবনে ওই মুহূর্তটা ভুলতে পারবেন? মার্টিন গাপটিলের নিখুঁত থ্রো স্ট্যাম্পের দিকে যাচ্ছিল। একদম শেষ মুহূর্তে বলের সামনে পড়ল ঝাঁপিয়ে পড়া বেন স্টোকসের বাড়িয়ে ধরা ব্যাট। নতুন করে পাওয়া ব্যাটের ছোঁয়া নিয়ে বল ছুটল বাউন্ডারিতে। বাড়তি চার রান পেল ইংল্যান্ড। সে সুবাদেই ম্যাচটা সুপার ওভারে গড়িয়েছে, আর সেখানেও বাউন্ডারির হিসাবে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের।
নিউজিল্যান্ডের হারের পরই সে ওভার থ্রো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আলোচনাটা বিতর্কে রূপ নিয়েছে সাইমন টফেলের সুবাদে। সাবেক বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার বলেছেন, ওভার থ্রোর ফলে ইংল্যান্ড সেদিন ৬ রান পেয়েছে কিন্তু আইনানুযায়ী ৫ রান পাওয়া উচিত ছিল তাদের। মাঠে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যিনি, সেই কুমার ধর্মসেনাও স্বীকার করেছেন, ভুল হয়েছিল তাঁর।
নিয়মানুযায়ী বল যখন মারা হয়, সে মুহূর্ত থেকে ওভার থ্রোর রান হিসাব করা হয়। যেহেতু গাপটিলের থ্রো করার মুহূর্তেও দুই ব্যাটসম্যান একে অপরকে ক্রস করেননি, ফলে ইংল্যান্ডের রান তখনো ১ ছিল। ফলে ওভার থ্রোয়ে আসা ৪ রানে ওই সময় ইংল্যান্ডের সংগ্রহে ৫ যোগ হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠে থাকা ধর্মসেনা সেদিক বিবেচনা না করেই ৬ রান দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। সানডে টাইমসের সঙ্গে সে মুহূর্ত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ধর্মসেনা, ‘আমি যখন টিভিতে রিপ্লে দেখি, তখন নিজেই বুঝতে পারি আমার বিচারে ভুল ছিল। কিন্তু মাঠে আমাদের কাছে টিভি দেখার সুযোগ ছিল না। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।’
ধর্মসেনা অবশ্য দাবি করছেন, সিদ্ধান্তটা একা নেননি। মাঠের অন্য আম্পায়ার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেই নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার, ‘আমি লেগ আম্পায়ারের (ইরাসমাস) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যেটা অন্য দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিও শুনেছেন। যদিও তাঁরাও টিভি রিপ্লে দেখতে পারছিলেন না, তাঁরা সবাই বলেছিলেন ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় রান নিয়েছে। এরপরই আমি সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’