ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ
সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচেও হারল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের সাদামাটা স্কোর গড়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল আসগর স্ট্যানিকজাইয়ের দল। বৃহষ্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ফিরে এসেছিল সেই পুরোনো চিত্র। প্রথম ম্যাচটা নিদারুণ ব্যর্থতায় হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসেও পাল্টায়নি দৃশ্য। শ্লথ ব্যাটিংয়ের চাপে পড়ে দ্রুত উইকেট বিসর্জন এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারা—টি-টোয়েন্টিতে এই তো বাংলাদেশ!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরলেন লিটন দাস (১)। এরপর ধীরে ধীরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ব্যাটিং অর্ডার। তামিম ইকবাল একা লড়েছেন কিছুক্ষণ। কিন্তু ১৬তম ওভারে তামিম (৪৩) ফেরার পর লড়াকু স্কোরের স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের সাদামাটা স্কোর গড়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
কোনো ফিফটি নেই। চল্লিশোর্ধ্ব রানের একটি ইনিংস খেলেছেন শুধু তামিম। মুশফিকুর রহিমও (২২) নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। বাংলাদেশের ব্যাটিং কতটা ভঙ্গুর ছিল, তা বোঝাতে একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যায়—১২তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ বাউন্ডারি মারার পর টানা ৪০ বল ব্যাটসম্যানরা কেউ বাউন্ডারি মারতে পারেননি! ১৮.৪ ওভারে করিম জান্নাতকে ছক্কা মেরে এই গেরো কাটান আবু হায়দার। পরের বলেও চার মারেন এই পেসার।
রশিদ খানের করা ১৬তম ওভার ছিল ভয়াবহ। প্রথম বলেই সাকিবকে (৩) ফেরানোর পর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে তামিম ও মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন আফগান এই লেগি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ বোলারের হ্যাটট্রিকটা আবু হায়দার হতে দেননি। শেষের দিকে তাঁর ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংসে ১৩০ রানের কোটা টপকাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া রশিদের স্পিন ‘জুজু’তে এ ম্যাচেও ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা। ১১তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন তিনি। তার আগেই ১০ ওভারে ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পথভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল বাংলাদেশ। রশিদ এসে তা নিশ্চিত করেছেন মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে! ১৬তম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকারকে। সৌম্য আজ সাতে ব্যাটিংয়ে নেমেও মাত্র ৩ রান করে হতাশ করেছেন।
১৫তম ওভার থেকে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার কোন পথে হেঁটেছে, তা বোঝা যাবে এই পরিসংখ্যানে—১৫.১ ওভারে সাকিব যখন আউট হন, বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১০১। এখান থেকে ৭ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে সাকিবের দল। ৪ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেট নেন রশিদ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ৫৩টি ডেলিভারি ‘ডট’ দিয়েছেন।