দুই বছর ধরে ছক্কা মারা অনুশীলন করেছেন খুশদিল
মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১০৩ রানের ইনিংস খেলার পর নিজের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারটা খুশদিল শাহকে দিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তানের জয়ে সেদিন বড় ভূমিকা ছিল খুশদিলের। তাঁর ২৩ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৫ রানের জবাবে বাবর আজম ১০৭ বলে ১০৩ রান করে আউট হন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো টানা তিন শতকের রেকর্ডটি করলেও জয়ের জন্য পাকিস্তানের তখনো প্রয়োজন ছিল ৪৫ বলে ৬৫ রান। মোহাম্মদ রিজওয়ান অর্ধশতক পেলেও ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি। রিজওয়ানের ফেরার সময় পাকিস্তানের জন্য কাজটা কঠিনই ছিল। ৩২ বলে তখনো লাগে ৫০ রান।
এ সময়েই খুশদিল শাহ দেখান নিজের ঝলক। রোমিও শেফার্ডকে ৪৭তম ওভারে টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন পাকিস্তানের দিকে। শেফার্ডের করা ইনিংসের ৪৯তম ওভারে খুশদিল মারেন একটি করে চার ও ছয়। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান, সিলসের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে কাজ শেষ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
সাম্প্রতিককালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খুশদিল শাহ নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। অনুশীলন করে করে নিজের ব্যাটিংকে করেছেন ক্ষুরধার। ক্রিকেট পাকিস্তানকে খুশদিল জানিয়েছেন, দুই বছর ধরে নিজের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে আলাদা করে ছক্কা মারার অনুশীলন করছেন। তবে ম্যাচে তাঁর ভাবনা খুব পরিষ্কার, ‘পরিস্থিতি যা-ই হোক, দিতে হবে শতভাগ।’
ছক্কা মারতে নিজের প্রস্তুতির বর্ণনা দিয়েছেন খুশদিল, ‘দুই বছর ধরে আমি ছক্কা মারার অনুশীলনটা আলাদা করে করছি। পাওয়ার হিটিংয়ে জোর দিয়েছি। নিজের অফ স্টাম্প নিয়ে কাজ করেছি। ১০-১২ দিনের যে ক্যাম্প হয়, তাতে কোচরা ব্যাটিংয়ের কিছু দিকে উন্নতি ঘটাতে পারেন। আমি আমার নাগালের মধ্যে যে বলই আসবে, সেটা মারতে চাই। বাকি বলে এক-দুই নিতে চাই।’
মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের ওই মুহূর্তে ঠিক কী ভাবছিলেন খুশদিল, সেটিও জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি যখন ব্যাটিং করতে যাই, তখন রিজওয়ান সঙ্গে ছিল। দেখলাম, তখনো জয়ের জন্য ৭০ রানের মতো লাগে। আমি তখন ম্যাচটা যতদূর সম্ভব টেনে নিতে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে চেয়েছি। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি আমার নাগালের মধ্যে পাওয়া বলের জন্য অপেক্ষা করব। আমি ওই ওভারে পেয়েও গেলাম কয়েকটা। আমি সেগুলো মেরে দিয়েছি।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজা তো ম্যাচের পরপরই বলেছেন, ‘খুশদিল তাঁর দিলখুশ করে দিয়েছেন।’ খুশদিল আর কতভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ‘দিলখুশ’ করতে পারেন, দেখার বিষয় এখন এটিই।