দ্বিতীয় দিনের বিকেলটা যেখানে শেষ করেছিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান, তৃতীয় দিনের সকালটা যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই শুরু করলেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। কাল বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেও শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করলেন তারা। তামিম–মাহমুদুল হাসানের কল্যাণে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫৭। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে। শতক পেরেনো সংগ্রহ। পাঁচ বছর আগে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান তুলেছিলেন তামিম ও সৌম্য সরকার।
সকাল থেকেই শ্রীলঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান। এই সেশনে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিকও হয়েছেন তামিম। এই ইনিংসের আগে সর্বোচ্চ রান ছিল মুশফিকুর রহিমের। তামিম দাঁড়িয়ে ছিলেন ৪ হাজার ৮৪৮ রানে। মুশফিককে (৮১ টেস্টে ৪৯৩২) পেরিয়ে যেতে তামিমের দরকার ছিল ৮৪ রান। সেটি আজ তুলে ফেলেছেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তামিম ১০ বাউন্ডারিতে ১৫২ বলে অপরাজিত ৮৯ রানে। মুশফিকের চেয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন ৫ রানে।
তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তরুণ মাহমুদুল হাসানও। তিনিও দেখেশুনে খেলছেন শ্রীলঙ্কান বোলারদের। মারার বলটাই মারছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিটি তুলে নিয়েছেন মাহমুদুলও। তিনি অপরাজিত ১৩৪ বলে ৫৮ রান নিয়ে। তাঁর ইনিংসে বাউন্ডারি ৯টি। তবে তাঁর ইনিংসে একটাই খুঁত রয়ে যাচ্ছে। আসিত ফার্নান্দোর বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে লাসিথ এম্বুলদিনিয়াকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ধরতে পারেননি এম্বুলদিনিয়া।