তামিম-ঝড়ে মাতল বিপিএল
কুমিল্লা জিতলেই সারা দেশের মানুষকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে। এমন আশা দেখিয়েছেন এক ভিক্টোরিয়ানস ভক্ত। ফাইনালের আগে এমন অনুপ্রেরণা পেতে কার না ভালো লাগে। তামিম ইকবালেরও নিশ্চয় লেগেছে। মানুষকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর তাড়না যদি না–ও পান, নিজের প্রথম বিপিএল ফাইনাল স্মরণীয় করে রাখার ইচ্ছা তো জাগতেই পারে তাঁর। ষষ্ঠ বিপিএলে এসে প্রথম ফাইনালে খেলতে নেমে বিপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটাই খেললেন। তামিমের অবিশ্বাস্য ইনিংসে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়েছে কুমিল্লা।
ইনিংসের শুরুতে এমন কিছু সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল না। বরং দেশবাসীকে বিরিয়ানি খাওয়ানোকে বড় চাপের কাজ মনে করাচ্ছিল কুমিল্লা। দ্বিতীয় ওভারেই রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত এক বলে এলবিডব্লু এভিন লুইস। ৪ ওভার শেষেও কুমিল্লার রান মাত্র ১৭। সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারে ১৫ রান তুলে পাওয়ার ওভার ১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে শেষ করেছে কুমিল্লা।
১০ ওভার শেষেও কুমিল্লার রান (৭৩/১) আশা জাগাচ্ছিল না। ঢাকার ফিল্ডার আর ভাগ্যের সহযোগিতা মিলিয়ে দুবার করে জীবন পেয়েছেন এনামুল হক ও তামিম ইকবাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েই ফিরতে হয়েছে এনামুলকে। সাকিবের বল প্যাডে লেগেছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন! এনামুল রিভিউ নিতে চাইলে সাকিব মনে করিয়ে দিলেন রিভিউ নেওয়ার উপায় নেই! দুই বল পর শামসুর রহমান অযথা রানআউট হয়ে তামিমের বকা শুনে ডাগ আউটে ফিরলেন।
এর আগেই ১১তম ওভারে শুভাগত হোমকে পিটিয়ে ফিফটিটা পেয়ে গেলেন তামিম। ৩১ বলে ৫০, বেশ আক্রমণাত্মক ইনিংস। কিন্তু তখনো আসল ঝড় আসা বাকি। ১৫তম ওভারে প্রথম ঝড়টা টের পেলেন রুবেল। ২ চার ও ২ ছক্কায় এল ২৩ রান। ১৭তম ওভারে আন্দ্রে রাসেল এলেন। তাঁকেও ২ চার ও ২ ছক্কা। এর মাঝে প্রথম চার ও ছক্কাতেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন। ৫০তম বলেই। অর্থাৎ ১৯ বলে এসেছে দ্বিতীয় ফিফটি। সে ওভারে এল ২২ রান।
পরের ওভারে বন্ধু সাকিবকে পেয়ে টানা দুই বলে চার ও ছয়। ১৯তম ওভারে সে তুলনায় একটু শান্ত তামিম। মাত্র একটি ছক্কাই এল ১৯তম ওভারে। শেষ ওভারেও মাত্র (!) এক ছক্কাসহ এল ১০ রান। কুমিল্লাও থামল ১৯৯ রানে। তামিমও সন্তুষ্ট হলেন ১৪১ রানেই। ৬১ বলের ঝড়ে চার মাত্র ১০টি। কারণ চারের চেয়ে ছক্কা মারাতেই বেশি তৃপ্তি পেয়েছেন তামিম, মেরেছেন ১১টি ছক্কা।