ঢাকায় শুরু করা আলিম দারের ‘ঘরে’ এই প্রথম
ক্রিকেট দুনিয়ার অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের একজন তিনি। অন্যতম সেরাও। কিন্তু পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারের ক্যারিয়ারে একটা অপূর্ণতা রয়েই গিয়েছিল। ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে তিনি কখনোই ঘরের মাঠে দাঁড়ানোর সুযোগ পাননি। করোনা সেই সুযোগটি করে দিয়েছে তাঁকে। করাচিতে পাকিস্তান–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
২০০৩ সালের অক্টোবরে ঢাকায় বাংলাদেশ–ইংল্যান্ড টেস্ট দিয়ে শুরু তাঁর। গত ১৮ বছরে ১৩২টি টেস্ট পরিচালনা করে ফেলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টিভ বাকনরের রেকর্ড ভেঙেছিলেন সবচেয়ে বেশি টেস্ট পরিচালনা করে। করোনার এই সময় আইসিসির নতুন নিয়মে টেস্ট ম্যাচে তৃতীয় দেশের আম্পায়ার দাঁড়ানো আপাতত বন্ধ আছে। এই সুযোগে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেলেন আলিম দার।
ঘরের মাঠে টেস্টে আম্পায়ারিং করাটা আলিম দারের জন্য বেশ আবেগঘন ব্যাপার, ‘এটি অবশ্যই আমার জন্য আবেগঘন একটা ব্যাপার। ১৮ বছর আর ১৩২ টেস্টের অপেক্ষাটা অবশেষে ফুরাল। খেলোয়াড়দের মতোই ম্যাচ অফিশিয়ালদের একটা ইচ্ছা থাকে নিজেদের দেশের মাঠে ম্যাচ পরিচালনা করা। টেস্ট ম্যাচ যেহেতু বড় একটা ব্যাপার। তাই ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগটা বিশেষ কিছুই।’
ওয়ানডে বা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ আছে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়া হয় না দীর্ঘদিন ধরেই। আলিম দার এমনিতেও ঘরের মাঠে খুব বেশি ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাননি তাঁর ক্যারিয়ারে। ২০০৯ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘ এক দশক পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। আলিম দারের জন্য তাই ঘরের মাটিতে আম্পায়ারিং করাটা বড় এক ব্যাপারই। টেস্ট ম্যাচে সুযোগ হওয়ায় সেটি এখন তাঁর কাছে বিশেষ কিছুই।