টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেন ফাফ ডু প্লেসি
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের অপেক্ষায় ছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। সিরিজটা শুরু হওয়ার কথা ছিল এ মাসের শেষ দিকে। কিন্তু করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে সেই সিরিজ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ডু প্লেসিও তাই আর অপেক্ষা করেননি। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ৩৬ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এ অধিনায়ক।
২০১২ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ডু প্লেসির। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংসে ফিফটি ও সেঞ্চুরি মেরে ড্র হওয়া টেস্ট হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। মোট ১০ সেঞ্চুরি এবং ২১ ফিফটির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দেখলেন তিনি। ৪০.০২ গড়ে ৪১৬৩ রান করেছেন ডু প্লেসি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শেষ করতে চেয়েছিলাম। তাতে একটা বৃত্ত পূরণ হতো। কিন্তু যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে শেষ না হলেও এ নিয়ে মনে কোনো খেদ নেই।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ডু প্লেসি লিখেছেন, ‘পরিষ্কার মনেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। নতুন অধ্যায় শুরুর এটাই সময়।’
এবি ডি ভিলিয়ার্সের পর ২০১৬ সালে প্রোটিয়াদের টেস্ট অধিনায়ক হন ডু প্লেসি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সরে দাঁড়ানোর আগে ৩৬ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেন তিনি। নিকট ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। ক্রিকেটের কুলীন এ সংস্করণ ছেড়ে এখন সম্ভবত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মনোযোগ দেবেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। এ বছর ও আগামী বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্ট ছাড়া নিয়ে ইনস্টাগ্রামে ডু প্লেসি সরাসরি বলেছেন, ‘সব সংস্করণে দেশের হয়ে খেলাটা আমার জন্য সম্মানের। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার সময়টা এখন। ১৫ বছর আগে কেউ যদি আমাকে বলত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬৯ টেস্ট খেলব আর অধিনায়কত্ব করব, তাহলে বিশ্বাস করতাম না।’
ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হারের পর টেস্টে নেতৃত্ব ছাড়েন ডু প্লেসি। তাঁর অধীনে টেস্টে ১৮ জয় ও ১৫ হার দেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ডু প্লেসির নেতৃত্বে প্রথম ২৭ টেস্টের মধ্যে ১৭ ম্যাচ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। ভারতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে ডু প্লেসি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সংস্করণে (টি-টোয়েন্টি) প্রোটিয়াদের আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। তার মানে এই নয় যে ওয়ানডে ক্রিকেট পরিকল্পনায় নেই। শুধু এই সংক্ষিপ্ত সময়ে টি-টোয়েন্টিকে প্রাধান্য দিতে চাই। এ নিয়ে সিএসএর (দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড) সঙ্গে কথা বলব।’