খুলনার সংগ্রহে রাজশাহীর মন খারাপ হতেই পারে
বিপিএলে আজ ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৩ রান তুলেছে খুলনা টাইটানস
না, অস্বাভাবিক কিছুই ঘটেনি। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের মতোই ব্যাট করেছে খুলনা টাইটানস। কিংবা এভাবেও বলা যায়, ঢাকা ডায়নামাইটসের বাঁচা-মরার ম্যাচে তাঁদের ‘সুবিধা’-ই করে দিয়েছে খুলনার ব্যাটসম্যানেরা।
সুবিধা? হ্যাঁ, ক্রিকেটীয় অর্থে তো সেরকমই দাঁড়ায়। এই বিপিএল থেকে খুলনার আর কিছুই পাওয়ার নেই। শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে আগেই। গ্রুপপর্বে এটাই তাঁদের শেষ ম্যাচ। আর এই শেষ ম্যাচটাই আবার ঢাকা ও রাজশাহী কিংসের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। খুলনার বিপক্ষে জিতলে শেষ চারে উঠবে ঢাকা, কিন্তু হারলে বিদায় নিশ্চিত, শেষ চারে উঠবে রাজশাহী। মোট কথা খুলনার পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে ঢাকা ও রাজশাহীর ভাগ্য। সেই হিসেবে ঢাকা-খুলনা ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে বলাই যায়, খুলনার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে রাজশাহী তেমন কোনো সাহায্য পায়নি!
ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেলেছে খুলনা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৩ রান। এই সাদামাটা স্কোর ক্রিকেটীয় অর্থে ঢাকার তারকা ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করে দেওয়াই। যদিও ঢাকা আগের পাঁচটি ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ১২৭ রানও তাড়া করতে পারেনি দলটি। কিন্তু আজকের বাঁচা-মরার ম্যাচে ঢাকার ব্যাটসম্যানেরা যে অন্যরকম থাকবেন সে কথা বলাই বাহুল্য।
অথচ পয়েন্ট টেবিলের তলানি থাকা খুলনা পারত ঢাকা-রাজশাহীর শেষ চারে ওঠার সমীকরণকে জমিয়ে তুলতে। বিপিএল থেকে বিদায় নেওয়ার আগে উত্তেজনার পারদ আরেকটু চড়িয়ে দিতে। কিন্তু দলটির ব্যাটসম্যানেরা তা পারলেন কোথায়! খুলনার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে কখনোই মনে হয়নি যত বেশি সম্ভব রান তোলার সেরকম কোনো তাগাদা আছে। প্রথম ৬ ওভারে স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫, এরপর ১০ ওভার শেষে তা ৪ উইকেটে ৬৫, আর ১৫তম ওভার শেষে রান রেট আরও কমেছে! সেটি বোধ হয় আরও দুটি উইকেট পড়ার জন্য (৬ উইকেটে ৮৭)।
শেষ ৩০ বলে মাত্র ৩৬ রান তুলতে পেরেছে খুলনা। কোনো ফিফটি নেই, সর্বোচ্চ ৩০ রান ডেভিড ভিসের। তবে খুলনার ম্রিয়মাণ ব্যাটিংয়ে ঢাকার বোলারদের অবদানও কম নয়। বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিব ও পেসার রুবেল হোসেনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। সাকিবও ২ উইকেট নিয়েছেন ৩২ রান খরচায়। খুলনার টপ অর্ডারে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই সাকিব-রুবেলের শিকার।
ঢাকার বোলাররা তো নিজেদের কাজটা করলেন। এখন ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব দলটির ব্যাটসম্যানদের। লক্ষ্যটা তেমন বড় না হওয়ায় খুলনার ব্যাটসম্যানদের ওপর রাজশাহীর অভিমান হওয়াই কী স্বাভাবিক নয়!