কোনো ছবিতেই কেন নেই মাহমুদউল্লাহ?
প্রথমে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ। এরপর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করোনাকালের দুটি টুর্নামেন্টেই হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।
অথচ দলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন ফটোশুটে মাহমুদউল্লাহকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তরুণদের মঞ্চ ছেড়ে দিয়ে নিজে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারেন দুটি টুর্নামেন্টেই।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির ফাইনালে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ছিলেন আরেক অভিজ্ঞ মাশরাফি বিন মুর্তজাও। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারানোর পর সেদিন দলের খেলোয়াড়দের কাছে শিরোপা তুলে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
এরপর মাশরাফির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গিয়ে দাঁড়ান দলের ঠিক পেছনে।
শিরোপা-উল্লাসে যখন দলের তরুণ ক্রিকেটাররা ব্যস্ত, তখন দুই অভিজ্ঞ এক কোনায় দাঁড়িয়ে শিরোপা জয়ের মুহূর্তটি উপভোগ করছিলেন নীরবে।
তরুণদের দলের বড় অংশ হিসেবে অনুভব করাতেই নাকি মাহমুদউল্লাহর এই মঞ্চ ছেড়ে দেওয়া। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা তো অনেক দিন ধরেই খেলছি। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। যারা তরুণ, আমাদের ভবিষ্যৎ, যদি ছোট কাজের মাধ্যমে তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারি, ভালো অনুভূতি এনে দিতে পারি, একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব। এ কারণে মনে হয়েছে ওদের অনুভব করাই যে তারা দলের অনেক বড় অংশ।’
ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে প্রথম এই সংস্কৃতি চালু করতে দেখা যায়। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর অধিনায়ক ধোনিকে ছবিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আইপিএল শিরোপা ও বড় দ্বিপক্ষীয় সিরিজের শিরোপা জয়ের পরও ধোনিকে দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে খুব কমই দেখা গেছে। দলের সবচেয়ে তরুণ সদস্যের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে তিনি সরে যেতেন এক কোনায়।
ধোনি নেই, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির তৈরি সেই সংস্কৃতি রয়ে গেছে। যেকোনো সিরিজ জয়ের পর এখন ভারতীয় দলের ট্রফিসহ তোলা ছবিতে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের খুঁজে পাওয়া যায় একদম কোনায়। ট্রফি হাতে উল্লাস করতে দেখা যায় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের।
*মাহমুদউল্লাহর পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকালের ছাপা সংস্করণে।