কী দেখে ভাষা হারালেন শোয়েব আখতার?
শোয়েব আখতার কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন! তিনি নিজেই বলেছেন, এমনটা খুব কমই হয়। মানুষ কষ্টে কিংবা খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলে। শোয়েব ভাষা হারিয়েছেন খুশিতেই। রাওয়ালপিন্ডির একটা ক্রিকেট মাঠ নিজের নামে নামকরণ দেখেই তাঁর এই অবস্থা।
রাওয়ালপিন্ডির ‘খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি মাঠ’টি খুব বিখ্যাত কিছু নয়। অন্তত করাচি জাতীয় স্টেডিয়াম কিংবা লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মতো ‘তারকাখ্যাতি’ নেই এই মাঠের। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফির অন্যতম দল খান রিসার্চ ল্যাবরেটরির (কেআরএল) নিজস্ব মাঠ এটি। শোয়েব তাঁর ক্যারিয়ারের একটা সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন এই খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি দলের হয়েই। কেআরএলই তাদের নিজেদের ক্রিকেটারকে সম্মান জানিয়েছে মাঠের নামকরণ করে। শোয়েব এটি দেখেই আপ্লুত।
ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার হিসেবে স্বীকৃতি শোয়েব পেয়ে গেছেন ১৮ বছর আগে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানি এই ফাস্ট বোলার ১০০ মাইল গতিতে বোলিং করে স্বীকৃত ক্রিকেটে দ্রুততম হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন। গত ১৮ বছরে এই রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি কেউই। কেআরএলের কাছে ব্যাপারটা খুব গর্বের। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বোলার একসময় তাদের হয়ে খেলেছেন। সেই গর্ব থেকেই নিজেদের মাঠের নামকরণটা শোয়েবের নামেই করেছে তারা।
এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত শোয়েব, বেশ কিছুটা আবেগাক্রান্তও। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘এটি জানাতে আমি সম্মানিত ও একই সঙ্গে গর্ব বোধ করছি। রাওয়ালপিন্ডির কেআরএল স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ হয়েছে, শোয়েব আখতার স্টেডিয়াম। আমি সাধারণত বাক্যহারা হই না। কিন্তু আজ আমি বাক্যহারা। সত্যি কথা বলতে, বছরের পর বছর ধরে মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে। সম্মান দেখিয়েছে। এখন আমি তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
উপমহাদেশে রাজনীতিকদের নামে ক্রীড়া স্থাপনার নামকরণ করার একটা চল আছে। অনেক নামকরণ হয় নির্দিষ্ট একটি দেশের বিখ্যাত ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজনীতিকের নামে। সেগুলো নিয়ে তেমন বিতর্ক নেই। কিন্তু অনেক সময় পুরোপুরি রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্রীড়া স্থাপনার নামকরণ করা হয়। সেটি নিয়ে চলে এন্তার বিতর্ক। শোয়েব আখতারের নামে রাওয়ালপিন্ডির এ মাঠের নামকরণ প্রশংসিতই হচ্ছে। কারণ, শোয়েবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এ শহরেই।
খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি ছাড়াও রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন শোয়েব। ইংল্যান্ডে তিনি খেলেছেন সমারসেট, উস্টারশায়ার, সারে ও ডারহামের হয়ে।