কলকাতাকে দুঃসংবাদ দিলেন লারা
সবকিছু ভাগ্যের হাতে তুলে দিয়েছেন এউইন মরগান। আইপিএলের ১৪ ম্যাচ শেষে ঠিক ১৪ পয়েন্ট পেয়েও প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এবারের আইপিএলে এই প্রথম সব কটি দলই অন্তত ৬ ম্যাচ জিতেছে। ফলে এবার প্লে-অফের সমীকরণ বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। কাল যেমন দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে দিল্লি।
মজার ব্যাপার, হেরেও খুব ক্ষতি হয়নি বেঙ্গালুরুর। তারাও এলিমিনেটরে পৌঁছে গেছে। কলকাতার কপালে সে সৌভাগ্য নেই। নিজেদের ভাগ্য মাঠে নির্ধারণ করতে পারছে না তারা। তাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে আজকের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে হায়দরাবাদ জিতলেই কপাল পুড়বে কলকাতার। আর এমন ম্যাচের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে মন খারাপ করা এক কথাই শুনিয়েছেন ব্রায়ান লারা। তাঁর ধারণা, হায়দরাবাদের জয়ের কাজটা সহজ করে দিতে পারে মুম্বাই।
টেবিলের শীর্ষ দল হিসেবে আগেই প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে মুম্বাই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাতে পারলেই ফাইনালে উঠবে তারা। তাই আজকের ম্যাচ নিয়ে সমীকরণের কোনো চাপ নেই মুম্বাইয়ের। লারা মনে করেন, এমন ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে মুম্বাই, যা সুবিধা করে দেবে সানরাইজার্সের। স্টার স্পোর্টস শো ক্রিকেট লাইভে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় ভালো খেলে ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে সানরাইজার্স। তাই ভালো খেলতে তারা যে মুখিয়ে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। মুম্বাই এ ম্যাচটা সহজ চোখে দেখতে পারে। কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে, তাতে সানরাইজার্সেরই লাভ হবে।’
তবে মুম্বাইয়ের জন্যও ম্যাচটা এক অর্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন লারা, ‘কিন্তু এই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটার জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সেটি বাকি টুর্নামেন্টের জন্যও। তারা জিতলে আত্মবিশ্বাস পাবে আর সেটি তুলে নেওয়ার রসদও দলটির আছে।’ সানরাইজার্স জিতলে এলিমিনেটরে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে। হারলে তাদের জায়গায় উঠে আসবে কলকাতা। এ হিসাব বিচারে আজ মুম্বাই-হায়দরাবাদ ম্যাচে মুম্বাইয়ের জয়ের প্রার্থনায় থাকার কথা কলকাতার সমর্থকদের।