করোনায় আইপিএল ব্র্যান্ডের ক্ষতি ১৭০০ কোটি
করোনাভাইরাস মহামারি পাল্টে দিয়েছে পৃথিবী। স্বাভাবিকভাবেই পাল্টে গেছে ক্রীড়াঙ্গনও। মাঠে দর্শক নেই, তাতে দলগুলোর আয় যেমন কমেছে, তেমনি প্রতিযোগিতার আয়–উন্নতিও হুমকির মুখে।
খেলোয়াড়দের আয়েও এর প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ধনী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলের আয়েও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে করোনা মহামারি। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডাফ অ্যান্ড ফেলপস হিসাব কষে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর আইপিএলের ব্র্যান্ড মূল্য কমেছে ৩.৬ শতাংশ।
গত বছরের পুরো সময় করোনার আতঙ্ক বিরাজ করেছে পৃথিবীজুড়ে। ভয় এখনো দূর হয়নি। তবে গত বছর করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করার পর পিছিয়েছিল আইপিএলের সূচি। পাল্টে যায় ভেন্যুও—ভারত থেকে আইপিএল নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
ডাফ অ্যান্ড ফেলপস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আইপিএলের ব্র্যান্ড মূল্য ছিল ৪৭,৫০০ কোটি রুপি। করোনার প্রকোপে এই দাম গত বছর কমে ঠেকে ৪৫,৮০০ কোটি রুপিতে।
অর্থাৎ ১৭০০ কোটি টাকা ব্র্যান্ড মূল্য কমেছে আইপিএলের।স্পনসর থেকে কম অর্থ আয়, দর্শকহীন গ্যালারি, স্পনসরদের খাবার ও পানীয় বিক্রি না হওয়ার প্রভাব পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আয়েও।
ডাফ অ্যান্ড ফেলপসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টানা পঞ্চম বছরের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ৭৬১ কোটি রুপি, গত বছরের তুলনায় যা ৫.৯ শতাংশ কমেছে।’
চেন্নাই সুপার কিংসের ব্র্যান্ড মূল্য কমেছে ১.৫ শতাংশ, ১৩.৭ শতাংশ কমেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্র্যান্ড মূল্য। গত বছরের তুলনায় এ হিসেব কষা হয়েছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে মুম্বাইয়ের পর ব্র্যান্ড মুল্যে দ্বিতীয় চেন্নাই ও তৃতীয় কলকাতা।
চেন্নাইয়ের ব্র্যান্ড মূল্য ৭৩২ কোটি রুপি থেকে কমে ৬১১ কোটি রুপিতে ঠেকেছে। ৬২৯ কোটি রুপি থেকে কমে ৫৪৩ কোটি রুপিতে নেমেছে কলকাতার ব্র্যান্ড মূল্য। তবে আইপিএল সম্প্রচারকদের দর্শকসংখ্যা বেড়েছে।
গত বছর করোনায় মাঠে দর্শকদের আসা নিষিদ্ধ করা হয়। এতে ঘরে বসে টিভিতে ম্যাচ দেখেছেন বেশির ভাগ দর্শক। ডাফ অ্যান্ড ফেলপসের মতে, ‘মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় আইপিএলে টিভির দর্শকসংখ্যা বেড়েছে।’