এমন ক্যাচ ফেলে দিলেন মুশফিক!
৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলসের পর উইলি ইয়ং। প্রথমজন মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে, পরের দুই জন তরুণ অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের অফ ব্রেকে বোকা হয়ে। আকাশেই উড়ছিল বাংলাদেশ। ২৭১ রানটা তখন নিউজিল্যান্ডের কাছে অনেক দূরেরই মনে হওয়ার কথা। কিন্তু ডেভন কনওয়ে আর টম ল্যাথাম দারুণ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। ১১৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছেন, তখনই বড় আঘাত। তামিমের ডাইরেক্ট থ্রোতে রান আউট হলেন কনওয়ে। উইকেটে জমে যাওয়া কনওয়ের ফেরাটা নিউজিল্যান্ডের জন্য বড় আঘাতই। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৩৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৩ রান তুলেছে তারা। জয়ের জন্য ৬৭ বলে তাদের দরকার ৬৯ রান। কিন্তু আর একটি উইকেট তুলে নিলেও আবারও বিপদে পড়ে যাবে কিউইরা। তবে নতুন উইকেটে আসা জিমি নিশামের ক্যাচ ফেলে সে আশা দূরে ঠেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ল্যাথাম অবশ্য ফিফটি করে উইকেটে আছেন। তবে তিনি থাকতে পারতেন না, যদি শেখ মেহেদী তাঁর সহজ একটা ক্যাচ মিস না করতেন।
উইকেট তুলে নেওয়া যখন সমস্যা তখন ক্যাচ মিসের মহড়া। তাসকিন নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। তাঁর বলে মুশফিকুর রহিম সহজ ক্যাচ ফেলার পর মিঠুন কাভারে ফেলেছেন একটা হাফ চান্স। এর পরপরই মেহেদীর ক্যাচ মিস। মেহেদী ডিপ মিড উইকেটে তাঁর বলেই আরও একটি ক্যাচ নিতে পারতেন, যদি ঠিক সময়মতো তিনি বলটা চোখে দেখতেন। ক্যাচ মিসের মহড়ায় ম্যাচটাই পায়ে ঠেলার উপক্রম এখন বাংলাদেশের।
কনওয়েকে ফেরাতে রানআউটের আশ্রয়ই নিতে হলো তামিমকে। মেহেদী এখনো পর্যন্ত ৯ ওভার বোলিং করে ৩৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু বাকিরা বেশ খরচে বোলিং করেছেন। বিশেষ করে মোস্তাফিজ, তাসকিন আহমেদ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন—রান দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন এখনো পর্যন্ত। আরেক অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে মোটামুটি ভালো করলেও উইকেট তুলে নিতে পারেননি। বৈচিত্র্য আনতে অধিনায়ক তামিমম ইকবালকে দ্বারস্থ হতে হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের। উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মিঠুন আজ ক্রাইস্টচার্চে করেছেন অফ স্পিন। নতুন উইকেটে আসা জিমি নিশামের সহজ ক্যাচ ফেলে বড় সম্ভাবনাকেই যেন মাটিতে ফেলে দিয়েছেন মুশফিক।
কনওয়ে আর ল্যাথাম—দুজনই নিজেদের ইনিংস সাজিয়েছেন খুব ঠান্ডা মাথায়। কনওয়ে ৯৩ বলে ৭৩ রান করে ফিরেছেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। ল্যাথাম ৭৬ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত তিনি।