ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন মুশফিক
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশে শিশু অধিকার নিয়ে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। পাশাপাশি যুবসমাজে সচেতনতা তৈরিতেও সহায়তা করবেন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ এই তথ্য জানিয়েছে।
মুশফিকের আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাকিব আল হাসান ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন। সাকিব আল হাসান ২০১৩ সাল থেকেই ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন। আর হাবিবুল বাশার ও মোহাম্মদ আশরাফুল কাজ করেছেন ২০০৫ সালে। তরুণ ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজও যুক্ত ইউনিসেফের সঙ্গে। গত বছর থেকে তিনি কাজ করছেন শিশু অধিকার দূত হিসেবে।
শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুশফিক। ইউনিসেফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, 'শিশু অধিকার এবং ইউনিসেফের কাজ- দুটোই আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি এবং নিজের কথাগুলো ছড়িয়ে দিতে এটি আমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং একজন বাবা হিসেবে আমি শিশুদের জন্য, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে মানুষকে একত্রিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।'
মুশফিক কিছুদিন আগেই তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর মত প্রকাশ করেছেন। করোনার সময় দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গণসচেতনতা মূলক কাজ করেছেন। এবার ইউনিসেফও মুশফিকের মেধা ব্যবহার করতে চায়। ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘মুশফিকুর রহিম জাতীয় দূত হিসেবে ইউনিসেফে যোগদান করায় আমরা তাকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানাতে চাই। শিশু অধিকারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তার সম্মান, মেধা ও উপস্থিতি দিয়ে তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেবেন।’
মুশফিকের নতুন ভূমিকায় বিসিবিও আনন্দিত। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মুশফিকুর রহিম শিশুদের দাবি-দাওয়া জোরালোভাবে তুলে ধরতে ক্রিকেটাঙ্গনের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। আমরা মনেপ্রাণে আশা করছি যে, ইউনিসেফের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন গঠনে অবদান রাখবে।’