আইপিএল খেলতে স্ত্রী–সন্তানদের ছেড়ে থাকা যায় কিন্তু...
জিওফ বয়কট খেপেছেন। তিনি ক্ষুব্ধ সেই সব ক্রিকেটারের ওপর, যাঁরা দেশের হয়ে খেলার চেয়ে ‘টাকা কামানো’য় বেশি আগ্রহী। আর এই ‘টাকা কামানো’র বিষয়টা যে আইপিএল, সেটা তিনি বলেছেন সরাসরিই।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফে তিনি কলম ধরেছেন ইংলিশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডের একটা মন্তব্যের পর। সিলভারউড বলেছেন, আইপিএলে খেলা ইংলিশ ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শুরুতে না-ও খেলতে পারেন। বয়কটের রাগ ইসিবির এমন সিদ্ধান্তে।
কারণ, সিলভারউড যখন এমনটা বলছেন, সেটি ইসিবির মত আছে বলেই বলছেন। কলামে তিনি সোজাসাপ্টাই লিখেছেন, দেশের হয়ে খেলে নাম কামানোর পরই তো আইপিএল এই খেলোয়াড়দের ডেকেছে। ইংল্যান্ডের হয়ে না খেললে, আইপিএল থেকে ডাক আসার সম্ভাবনা ছিল শূন্যের কোটায়। তাহলে দেশকে আইপিএলের নিচে স্থান দেওয়া কেন?
বয়কট আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়া ইংলিশ ক্রিকেটারদের নিয়ে বলেছেন, মনে হচ্ছে ক্রিকেটাররা ভুলে গেছেন যে দেশের হয়ে খেলে নাম করার পরই তাঁর আইপিএলে কদর হয়েছে, সেখান থেকে ডাক এসেছে। সুতরাং কৃতজ্ঞতাবশতই তাঁদের আইপিএলের চেয়ে ইংল্যান্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
জৈব সুরক্ষাবলয়ই এখন করোনাকালে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার মূল অনুষঙ্গ। কিন্তু এই ব্যবস্থা খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে। সে কারণে ক্রিকেটে রোটেশন নীতি বা খেলোয়াড়দের অদলবদল করে খেলানোর একটা ব্যাপার শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড চায়, এ নীতি অনুসরণ করে বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষাবলয়ে মানসিক স্বস্তি নিশ্চিত করতে। তবে ভারতে এই ‘অদলবদল’ নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। টেস্ট সিরিজে শোচনীয় হারের স্বাদ নিতে হয়েছে ইংলিশদের।
বয়কট এই অদলবদল নীতির কড়া সমালোচনাই করেছেন, ইংল্যান্ড ভারতে অদলবদল নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়েছে। ইসিবির উচিত ক্রিকেটারদের নরম মনে না করা।
এর পরপরই বয়কটসুলভ এক মন্তব্যই বেরিয়ে এসেছে তাঁর কলামে, ‘ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলার সময় জৈব সুরক্ষাবলয় নিয়ে অনেক অভিযোগ করছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, আইপিএলে খেলার জন্য তারা নির্দ্বিধায় স্ত্রী, বান্ধবী আর সন্তানদের ছেড়ে থাকতে পারবে, এটা আমি বাজি ধরে বলতে পারি।’
বয়কট সব শেষে দেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের কথাই বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা ভালো টাকা আয় করুক, এটা আমিও চাই। কিন্তু সেটা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব বিসর্জন দিয়ে নয়। আমি মনে করি, দেশের হয়ে গোটা সিরিজে যদি কোনো খেলোয়াড় না খেলতে চায়, তাহলে তাকে জাতীয় দলে ডাকাই উচিত নয়।’