অসম্ভবকে সম্ভব করার উপহারে গাড়ি মিলল গিল–সুন্দরদের
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা কোনো দিন ভুলতে পারবে না ভারতীয়রা। এই সিরিজের ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনবদ্য জয় নিয়ে ভবিষ্যতে স্মৃতিগাথা লেখা হবে অসংখ্য। কী দুর্দান্ত এক সিরিজই না জিতে ফিরলেন অজিঙ্কা রাহানেরা। অভিজ্ঞরা তো ছিলেনই, সঙ্গে যোগ হয়েছিলেন তরুণ তুর্কিরা। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সিরিজ জয় বললেও যেটি কম বলা হয়। ব্রিসবেনে রীতিমতো অসম্ভবকে সম্ভব করা ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য যে উপহার ও প্রশংসার ডালি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষা করবেন, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ব্রিসবেন টেস্টেরই প্রসঙ্গে আসছে বারবার। শেষ টেস্টে যে কিংবদন্তিরই জন্ম দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। চোট-আঘাতে জর্জরিত ভারতীয় দলের সে টেস্টে ১১ জন নামানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল। দলে ছিলেন না উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, এমনকি রবীন্দ্র জাদেজার মতো ক্রিকেটাররা। প্রথম তিন টেস্টে দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান, সিডনির ‘বীর’ হনুমা বিহারিকে ছাড়াও খেলতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। টি নটরাজন, ওয়াশিংটন সুন্দর ও শার্দুল ঠাকুরকে দলে এনে ১১ জন বানাতে হয়েছিল। কেবল ব্রিসবেনই কেন, চোট-আঘাতের কারণে মেলবোর্ন ও সিডনি—মাঝখানের দুটি টেস্টেই নানা ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ভারতকে। এই সিরিজে নানামুখী সমস্যায় পাঁচ ক্রিকেটারের অভিষেকে একধরনের বাধ্যই হয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন এর আগে অভিষিক্ত হয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়া শার্দুল ঠাকুর।
কিন্তু সেই অভিষিক্ত ও তরুণেরাই তো গর্বিত করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটকে। মেলবোর্নে যেমন মোহাম্মদ শামির চোটের কারণে খেলাতে হয়েছে মোহাম্মদ সিরাজকে। সেই সিরাজই কী অসাধারণ একটা সিরিজই না কাটিয়েছেন। প্রমাণ করেছেন নিজের যোগ্যতা। দ্বিতীয় টেস্ট খেলা শার্দুল আর ‘নেট বোলার’ সুন্দর তো রীতিমতো অসাধারণ। যাঁদের খেলারই কথা ছিল না, নির্দিষ্ট করে বললে, পরের টেস্টটা কবে খেলবেন, যেটি যাঁরা জানেন না, সেই শার্দুল আর সুন্দরই ব্রিসবেন জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। পেসার টি নটরাজনও কম যান না। ভারতীয় ক্রিকেটে আগামীর সম্ভাবনা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন।
দেশে ফেরার পর এমনিতেই শুভেচ্ছা আর প্রশংসায় ভাসছেন ক্রিকেটাররা। তরুণেরা আরও বেশি করেই। অভিষিক্ত পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে তো চলেছে রীতিমতো বন্দনা। সেই ধারাবাহিকতাতেই অভিষিক্ত পাঁচজনকেই একটি করে এসইউভি গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিখ্যাত গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা।
টুইটারে আনন্দ মাহিন্দ্রা তরুণ অভিষিক্তদের উপহারের কথা ঘোষণা করে লিখেছেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যেন স্বপ্ন দেখে আর অসম্ভবকে সম্ভব করে, সেই প্রত্যাশায় ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের আমাদের এই উপহার।’
স্বপ্ন দেখা আর অসম্ভবকে সম্ভব করার এর চেয়ে দারুণ উদাহরণ আর কী হতে পারে?