২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অভ্যাস বদলাচ্ছে না বাংলাদেশ

টেস্ট সিরিজের আগে সেই পরিচিত অনুভূতি, প্রস্তুতির ঘাটতি!ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলছে জেসন হোল্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে ক্যারিবীয়রা। কন্ডিশন ভিন্ন হলেও উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা আছেন টেস্ট খেলার আমেজে। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ উল্টো। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার।

টেস্ট পেসার আবু জায়েদ যেমন খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। আজ অনুশীলনে সাদা বলে লেগ কাটার ও অফ কাটার অনুশীলন করছেন তিনি। মিরপুরের উইকেট এখন দৌড়ে এসে স্লোয়ার বল ছোড়া বোলারদের সাহায্য করছেন। আবু জায়েদও সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লাল নতুন বলে সুইং আর সিমের সুবিধা নেওয়ার কথা আপাতত ভুলেই যেতে হচ্ছে। টেস্টের প্রস্তুতি আর নেওয়া হলো কই! গত বছরও ভালোভাবে প্রস্তুত না হয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠেও সে অভ্যাসটাই বজায় রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।  

টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত আবু জায়েদ।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

টুর্নামেন্ট শেষে হয়তো নিজেদের মধ্যে দুই দলে ভাগ হয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সাকিব-তামিমেরা। লাল বলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলার আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এতটুকুই। আবু জায়েদও জানেন এটা যথেষ্ট নয়, ‘আসলে আমরা যারা টেস্ট ক্রিকেটার আছি, তাদের ভেতরে-ভেতরে কিছু অনুশীলন করা উচিত। যেহেতু টেস্ট শুরুর আগে খুব বেশি সময় পাব না, লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটও তেমন একটা নেই। আমার কাছে মনে হয় টেস্ট বোলারদের আরও বেশি সময় বল করা, নতুন বলে বল করা—এগুলো নিজে নিজে করতে হবে।’

আবু জায়েদ মনে করেন, এমন বড় টেস্ট সিরিজের আগে জাতীয় লিগ, বিসিএলের মতো প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট হলে টেস্টের প্রস্তুতিটা আদর্শ হতে পারত। ‘বিসিএল বা এ রকম কোনো টুর্নামেন্ট হয়, আমরা যখন শুরু করেছিলাম বিসিএল বা ২-৩টা অনুশীলন ম্যাচ হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’—বলছিলেন আবু জায়েদ।

টেস্টে পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জায়েদ।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামা নতুন কিছু না। গত বছর শেষে ভারত সফর ও এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান যাওয়ার আগে অনুশীলনের যথেষ্ট সময়ই পায়নি দল। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বেশ কয়েকবার অপ্রস্তুত হয়ে বড় টেস্ট সিরিজে খেলার ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এবার ঘরের মাঠেও একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

ক্রিকেটাররা খেলার মধ্যে ঠিকই আছেন। তাতে শুধু ফিটনেসই ঠিক থাকছে। কিন্তু লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটের অভ্যাস থেকে বাংলাদেশ টেস্ট দল অনেকটাই দূরে। গত ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের পর কোনো টেস্ট ক্রিকেটারই প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি। টেস্ট পেসার আবু জায়েদ যেমন বলছিলেন, ‘টুর্নামেন্ট দরকার ছিল, কারণ আগে আমার ক্রিকেটে ফিরতে হবে, তারপর ফিটনেসে ফিরতে হবে।’

ম্যাচশূন্যতা জাতীয় দলের ক্যাম্পে পুষিয়ে ওঠা ছাড়া উপায় নেই আবু জায়েদদের, ‘২৫ তারিখ থেকে যে ক্যাম্পটা শুরু হবে, হয়তোবা সেখানে আমরা আবারও লাল বলে অনুশীলন শুরু করব। এ ছাড়া দেখবেন যে ক্রিকেট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাল বল দিয়ে শুরু হচ্ছে।’