২০২৪ সালে প্রথম ‘ফিফটি’ দেখেছে টেস্ট ক্রিকেটও
টেস্ট ক্রিকেট ইজ বেস্ট ক্রিকেট!
ধুমধাড়াক্কার টি-টোয়েন্টি যতই বছরের একটা বড় সময় কেড়ে নিক, ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করুক, টেস্ট আসলে সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের কথাই ধরুন না। গত সোমবার ম্যাচের শেষ দিনের শেষ বিকেলে ভারতের ব্যাটিং ধসিয়ে কী দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যে জয়ের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট অনন্য এক মাইলফলকও স্পর্শ করেছে। সেটি ছিল ২০২৪ সালে টেস্ট ৫০তম হার-জিতের ম্যাচ।
ক্রিকেটের বনেদি এই সংস্করণে ১৪৭ বছরের ইতিহাসে সদ্য বিদায় নেওয়া সালটিই একমাত্র, যেখানে ৫০ ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪৬ টেস্ট ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০২২ সালে।
গত বছর টেস্ট খেলুড়ে ১২ দলই এই সংস্করণে খেলেছে। মোট ম্যাচ হয়েছে ৫৩টি, যার ৫০টিতেই হার-জিত এসেছে। জয়-পরাজয়ের শতকরা হার ৯৪.৩৩; যা এক বছরে কমপক্ষে ৩০ টেস্ট হয়েছে, এমন বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
টেস্টে হার-জিতের সংখ্যা বাড়া কিংবা ড্রয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে দুটি বড় কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে—(১) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে গড়ে ওঠা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং (২) ড্রয়ের মানসিকতা বদলে জয়ের লক্ষ্যে খেলা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে না পারলেও গত বছর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড—৯টি। বাজবলের সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া দলটি ২০২৪ সালে ম্যাচও খেলেছে বেশি— ১৭টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ জিতেছে ভারত।
বাংলাদেশ জিতেছে ৩ ম্যাচ, তিনটিই বিদেশের মাটিতে। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করা বাংলাদেশ গত বছর নিজেদের শেষ টেস্টটি জিতেছে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
২০২৪ সালের শেষ টেস্টে মুখোমুখি হওয়া জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তান গত বছর কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি।