১৩ বছরের বৈভব এবার বাংলাদেশের পথের কাঁটা
বৈভব সূর্যবংশী—বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটমহলে আলোচনায় নামটি। এক বছরে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ৪৯টি সেঞ্চুরি, মাত্র ১৩ বছর বয়সে আইপিএলে দল পাওয়া বৈভবকে বারবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
সেই বৈভব এখন খেলছেন যুব এশিয়া কাপে ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে। এই টুর্নামেন্টে তিনি যেভাবে খেলছেন, তাতে তাঁকে নিয়ে আলোচনাটা যে মোটেই বাড়াবাড়ি নয়, সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে এই বৈভব–বাধা পার হতে হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে।
বৈভব যে এশিয়া কাপে অনেক রান করেছেন এমন নয়, ৪ ম্যাচে ১৬৭। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন ৭ নম্বরে। তবে বাঁহাতি এই ওপেনার স্ট্রাইক রেটের কারণেই আলাদা। তাঁর খেলা দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি আসলে টি-টোয়েন্টি, নাকি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলছেন। কাল সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তুললেন ২২ রান। এর আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে করেছেন ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৬ রান, সেদিন ছক্কা মেরেছেন ৬টি। সব মিলিয়ে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪৬, যা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।
ভারতের আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্রেও ভয়ংকর ব্যাটসম্যান। এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে। মানে শিরোপা ধরে রাখতে হলে ভারতীয় দুই ওপেনারকে দ্রুত ফেরাতে হবে বাংলাদেশকে।
সেটা করার মতো সামর্থ্য বাংলাদেশ দলের পেসারদেরও আছে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক বাংলাদেশ দলের দুই পেসার আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন। দুজন নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট।
ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর গ্রুপ পর্বে নেপালের বিপক্ষেও অপরাজিত ফিফটি করেন আজিজুল।
কাল দুবাইয়ে সেমিফাইনালে ৩৯ বলে ৫০ ছোঁয়া আজিজুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬১ রান করে। আজিজুল ৪ ম্যাচে রান করেছেন ২২৪, গড় ১১২। তবে স্ট্রাইক রেট টিপিক্যাল ওয়ানডে ক্রিকেটারদের মতো ৮৪.৫২। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কালাম সিদ্দিকীর। ৪ ম্যাচে তাঁর রান ১৬১। স্ট্রাইক রেট বেশ করুণই, মাত্র ৬১।
৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে একবার যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়াসহ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ আটবার শিরোপা জিতেছে ভারত। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান জিতেছে একবার করে। দেখা যাক, বাংলাদেশ শিরোপার সংখ্যাটা এবার বাড়াতে পারে কি না!