‘কিং নয়, আমাকে শুধু বিরাট বলেই ডাকুন’—ভক্তদের কাছে কোহলির অনুরোধ
‘ব্যাঙ্গালোর’ থেকে ‘বেঙ্গালুরু’ নামকরণ হয়েছে সেই কবে। তবে দক্ষিণ ভারতের শহরটির আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের নামে এত দিন বহাল ছিল পুরোনো ব্যাঙ্গালোর নামটিই। মঙ্গলবার ঘটা করেই দলের নামের বানান পরিবর্তন করে বেঙ্গালুরু করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ‘আরসিবি আনবক্স’ নামের সেই অনুষ্ঠানে ২২ মার্চ থেকে শুরু ২০২৪ আইপিএলের বেঙ্গালুরু দলের নতুন জার্সিও উন্মোচনও করা হয়।
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিরাট কোহলিসহ দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই। কখনোই আইপিএল না জেতা দলটিকে শুভকামনা জানাতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন দলটির সমর্থকেরা। সেই অনুষ্ঠানেই কথা বলেছেন কোহলি। আরসিবির সাবেক অধিনায়ক সমর্থকদের একটি অনুরোধও করেছেন। তবে সেই অনুরোধ বেঙ্গালুরু–সমর্থকেরা মানবেন বলে মনে হয় না!
কোহলির নামের আগে ‘কিং’ বা রাজা শব্দটা ব্যবহার করেন তাঁর ভক্তরা। ভক্তদের আর দোষ কী, ২২ গজে কোহলি তো ব্যাট হাতেই রাজত্ব করেন। তবে কোহলি কাল আরসিবির অনুষ্ঠানে জানালেন ‘কিং’ শব্দটা শুনলে বিব্রত হন তিনি। ভক্তদের তাই অনুরোধ করেছেন তাঁর নামের আগে এই বিশেষণটা ব্যবহার না করতে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে মাত্রই মেয়েদের আইপিএল হিসেবে পরিচিত ডব্লুপিএলজয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নারী দলকে সংবর্ধনা দেওয়া দেয়। এরপর অ্যালান ওয়াকার ও রঘু বিষ্ণয়ের গানের পর উন্মোচন করা হয় বেঙ্গালুরু নতুন নকশার জার্সি। দলের নামের বানান পরিবর্তনের ঘোষণার পর মাইক্রোফোনের সামনে আসেন কোহলি।
‘কিংয়ের কেমন লাগছে?’—সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে ‘আবারও ফিরতে পেরে ভালো লাগছে’ বলার পরই থামতে হয় কোহলিকে। ভক্তদের উল্লাসই থামতে বাধ্য করে তাঁকে। হইচই একটু কমার পর কোহলি আবার শুরু করেন, ‘আমাকে বলতে দিন। আমাদের কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) রাতে চেন্নাইয়ে যেতে হবে। বিমান ভাড়া করা আছে, হাতে কিন্তু একদমই সময় নেই (হেসে)। সবার আগে আপনাদের আমাকে ওই নামে (কিং) ডাকা বন্ধ করতে হবে। আমি ফাফকে (ডু প্লেসি) বলেছি আপনারা যখন আমাকে ওই নামে ডাকেন, আমি বিব্রত হই, আমাকে শুধু বিরাটই ডাকুন।’
ভক্তরা কোহলির কথা শুনবেন কি না কে জানে। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও ভক্তদের তাঁকে ‘ক্রিকেট গড’ না বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেটিতে যে কাজ হয়নি, সেটি তো জানাই।