- বাংলাদেশের হার
- অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাংলাদেশ
- সুপার এইটে দেখা যাবে অন্য বাংলাদেশকে?
- অ্যান্টিগায় রান-উৎসব?
- বৃষ্টিতে বিলম্বিত টস
- টস ও একাদশ
- তৃতীয় বলে বোল্ড তানজিদ
- শুরুতেই চাপ
- নাজমুলের ছক্কা
- অবশেষে লিটনের বাউন্ডারি
- পাওয়ারপ্লেতে ৩৯/১
- জুটি ও দলের ৫০
- জাম্পার বলে বোল্ড লিটন
- চারে রিশাদ
- থামলেন নাজমুল
- জাম্পা ২/২৪
- বাংলাদেশের ১০০
- তিন নম্বর অলরাউন্ডারকে ফেরালেন এক নম্বর অলরাউন্ডার
- হৃদয়ের দুই ছক্কা
- ২ বলে ২ উইকেট
- কামিন্সের হ্যাটট্রিক
- ১৪০ রানে থামল বাংলাদেশ
- আবার বৃষ্টি
- সংগ্রহ যখন ১৪০
- শুরুতে মেহেদী
- ওয়ার্নারের দেওয়া সুযোগ ছাড়লেন হৃদয়
- তাসকিন+মোস্তাফিজ=২৮ রান
- পাওয়ারপ্লেতে ৫৯
- রিশাদের পর বৃষ্টি
- আপডেট
- প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন রিশাদ হোসেন
- রিশাদের দ্বিতীয়
- ১০ ওভারে ৮০/২
- ওয়ার্নারের ফিফটির পর আবার বৃষ্টি
- ওভার কাটা যাবে দ্রুতই
- সাকিব কই?
- ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে জিতল অস্ট্রেলিয়া
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ কামিন্স
- বলছেন নাজমুল
- আগামীকাল ভারত
বাংলাদেশের হার
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচের বিস্তারিত পড়ুন নিচে—
অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সুপার এইট শুরু আজ। গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৪ রানের হার, বাকি ৩টি ম্যাচই জিতে বাংলাদেশ এসেছে শেষ আটে। কঠিন এক গ্রুপ পেরিয়েই এসেছে তারা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া এসেছে অনায়াসেই। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিশেষ করে টপ অর্ডারের চেহারা বিবর্ণ এখন পর্যন্ত। কেউ এখন পর্যন্ত ১০০ রান করতে পারেননি, ১২৫ স্ট্রাইক রেটের ওপরও খেলেননি কোনো ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং হেভিওয়েট। বাংলাদেশের মূল আশা বোলিং। সে বোলিং কি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে অস্ট্রেলিয়াকে? ব্যাটসম্যানরা কি এগিয়ে আসবেন লড়াইয়ে? কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে সে প্রশ্নের উত্তর। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া, যারা এ টুর্নামেন্টে নেমেছে ট্রেবল (ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জেতার আশায়।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্ বিন আনোয়ার।
সুপার এইটে দেখা যাবে অন্য বাংলাদেশকে?
একেবারে তলানিতে থাকা আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই পরিস্থিতি থেকে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটি জেতার কৃতিত্ব অনেক এবং এটিই এখন বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসের জায়গা। এমন চড়াই–উতরাই পার হওয়ার মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে একটা দল গড়ে ওঠে, দলের ভেতরের চরিত্রগুলো সুদৃঢ় হয়। আশা করি, বাংলাদেশ দলে সুপার এইটে দলীয় ও ব্যক্তিগত দৃঢ় চরিত্রের একটা প্রকাশ দেখতে পাব।
অ্যান্টিগায় রান-উৎসব?
নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ
এ উইকেটে রান হওয়ার কথা, যেটি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যাবে। কারণ, হাই স্কোরিং ম্যাচ খেলার অভ্যস্ততা আমাদের নেই, বড় স্কোর গড়ার একটা ঘাটতিও আছে। তবে মোটামুটি একটা স্কোর গড়তে পারলে সেটাকে রক্ষা করার শক্তি আমাদের বোলারদের আছে।
বৃষ্টিতে বিলম্বিত টস
শুরুতেই খারাপ খবর। অ্যান্টিগায় টসের আগেই নেমেছে বৃষ্টি। ফলে নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না টস। তবে আশা করা হচ্ছে, বৃষ্টি তেমন জোরাল নয়। সরাসরি সম্প্রচারে খেলোয়াড়দের অনুশীলনও করতে দেখা যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরই সরানো হচ্ছিল কাভার। দ্রুতই হওয়ার কথা টস। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মতে, অস্ট্রেলিয়া টসে জিতলে ব্যাটিং করতে চাইবে। বাংলাদেশেরও সেটিই করার কথা বলে মনে করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে একমত সাবেক বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান আতহার আলী খানও।
টস ও একাদশ
নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট পর হলো টস। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শের হাতে কয়েন, হেড কল করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্শ। নিজেদের ওপর আস্থা রেখে এগোনো কথা বলছেন মার্শ। নাজমুল বলেছেন, তিনিও ফিল্ডিং নিতেন। দুই দলই একাদশে পরিবর্তন এনেছে। অস্ট্রেলিয়া একাদশে ফিরেছেন প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার ও নাথান এলিস। বাংলাদেশ দল জাকের আলীকে বাদ দিয়ে এনেছে অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটকিপার), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
তৃতীয় বলে বোল্ড তানজিদ
১, ৯, ৩, ০—বাংলাদেশের আগের চারটি ওপেনিং জুটি। এবারও সেটি থামল ০ রানেই। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়েছেন তানজিদ হাসান। প্রথম দুটি বল শেপ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তবে ছিল লো ফুলটস। এরপর স্টাম্প লাইনে ফুললেংথে করেন স্টার্ক। ব্যাট নামিয়েও সেটি আটকাতে পারেননি পেছনের পায়ে আটকে থাকা তানজিদ। সামনে আসবেন নাকি পেছনেই থাকবেন, এ দ্বিধায় ভুগছিলেন বলে মনে হয়েছে। যদিও এ লেংথে সামনের পায়ে ভর দিয়ে খেলা উচিৎ ছিল তাঁর। ব্যাটের নিচের অংশে লেগে ঢুকেছে স্টাম্পে। নেপালের পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও কোনো রান না করেই আউট তানজিদ। পার্থক্য, আগের ম্যাচে প্রথম বলে আউট হলেও এবার ৩ বল খেলেছেন।
শুরুতেই চাপ
প্রথম ৩ ওভারে ডট বলই ১৪টি। হ্যাজলউডের প্রথম ওভার তো মেডেনই গেছে। প্রথম ওভারে স্টার্ককে কাট করে চার মেরেছিলেন নাজমুল। লিটন প্রথম রান পেয়েছেন দশম বলে গিয়ে। টপ অর্ডারের দশা এমন, টিকে থাকাই যেন কৃতিত্ব বাংলাদেশিদের! ৩ ওভারে ৮/১।
নাজমুলের ছক্কা
হ্যাজলউডের মেডেন ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে স্ট্রাইকে থাকা নাজমুল শুরুতেই চড়াও হলেন। লেংথ বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অনের ওপর দিয়ে ম্যাচের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন তিনি। এরপরও ৯ রানের বেশি আসেনি হ্যাজলউডের দ্বিতীয় ওভারে।
অবশেষে লিটনের বাউন্ডারি
প্রথম ১৪ বলে ২ রান ছিল লিটনের, এরপর স্টার্ককে টেনে চার। সে ওভারের শেষে কাট করে মেরেছেন আরেকটি, যেটি গেছে গালিতে থাকা ফিল্ডারের নাগালের একটু বাইরে দিয়ে। প্রথম ৩ ওভারে ৮ রানের পর সর্বশেষ ২ ওভারে উঠেছে ১৯ রান, ৫ ওভারে ২৭/১।
পাওয়ারপ্লেতে ৩৯/১
হ্যাজলউডকে সরিয়ে কামিন্সকে এনেছেন মার্শ। ফ্লিক করে তাঁকে চার মেরেছেন নাজমুল। এরপর ওয়াইডে এসেছে ৫ রান। এ বিশ্বকাপে শর্ট বলে বাংলাদেশের পড়েছে ৮ উইকেট, সেটিই করতে গিয়েছিলেন কামিন্স। তবে বুমেরাং হয়ে গেছে তা। কামিন্সের প্রথম ওভারে এসেছে ১২ রান। বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লে শেষ করেছে ৩৯ রান নিয়ে। তবে প্রথম ৩ ওভারে ৮ রান থেকে ৬ ওভারশেষে ভালো একটা লাফই দিয়েছে তারা।
জুটি ও দলের ৫০
প্রথম ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট—বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। পাওয়ারপ্লে শেষেই তাঁকে এনেছেন মার্শ। এ লেগ স্পিনারের প্রথম ওভারে অবশ্য এসেছে ৮ রান, যাতে ছিল নাজমুলের মারা একটি চারও।
আরেক প্রান্তে আনা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেওয়া মার্কাস স্টয়নিসকে, যিনি এ মুহূর্তে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডারও। স্টয়নিসের শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন নাজমুল, সেটি অবশ্য গেছে ম্যাথু ওয়েডের নাগালের বাইরে দিয়ে। ওই চারে বাংলাদেশের দলীয় ৫০ ও নাজমুল-লিটন জুটিরও ৫০ রান হয়ে গেছে। ৮ ওভারে ৫৭/১।
জাম্পার বলে বোল্ড লিটন
জুটিটা বড় হচ্ছিল। তবে জাম্পার ওপর চড়াও হতে গিয়ে লিটন বোল্ড হওয়াতে ভাঙল সেটি। স্লগ সুইপের চেষ্টা করেছিলেন লিটন। ড্রিফট করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলটি মিস করে গেছেন, পায়ে লেগে সেটি ঢুকেছে স্টাম্পে। ২৫ বলে ১৬ রান করেই থামলেন লিটন, শুরুর ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হলো না তাঁর।
চারে রিশাদ
সারপ্রাইজ, সারপ্রাইজ! চার নম্বরে পাঠানো হয়েছে রিশাদ হোসেনকে। ক্যারিয়ারে এর আগে কখনোই সাতের আগে ব্যাটিং করেননি তিনি। তবে এ কৌশল কাজে আসেনি। ম্যাক্সওয়েলকে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন রিশাদ। ১০ ওভারে ৬৭/৩।
থামলেন নাজমুল
জাম্পাকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিচার্ড ইলিংওর্থের সিদ্ধান্ত রিভিউ করার প্রয়োজন বোধ করেননি। ৩৬ বলে ৪১ রান করে ফিরে যেতে হলো নাজমুলকে।
জাম্পা ২/২৪
জাম্পার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং বাংলাদেশের বিপক্ষে—২০২১ বিশ্বকাপে ১৯ রানে ৫ উইকেট। আজ এ লেগ স্পিনার বোলিং শেষ করলেন ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে। শেষ বলে গিয়ে সুইপ করে চার মেরেছেন হৃদয়। এরপরও জাম্পা বড় ক্ষতিই করেছেন বাংলাদেশের। লিটনের পর নাজমুলের উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশ ৯৮/৪।
বাংলাদেশের ১০০
১৬তম ওভারে ১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। স্টার্ক ও জাম্পা শেষ করেছেন তাঁদের বোলিং। হ্যাজলউড ও কামিন্সের বাকি মোট ৩ ওভার, বাকি ১ ওভার স্টয়নিস বা ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে করাতে হবে মার্শকে। অবশ্য অধিনায়ক নিজেও অপশন, এ ম্যাচের আগে বোলিংয়ের জন্য ফিট হয়ে উঠেছেন তিনি। যিনিই আসুন না কেন, বাংলাদেশের প্রয়োজন একটা লাফ।
তিন নম্বর অলরাউন্ডারকে ফেরালেন এক নম্বর অলরাউন্ডার
১৭তম ওভারে এলেন স্টয়নিস, এসেই সফল তিনি। স্টয়নিসের কাটারে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব। নিজেই ক্যাচ নিয়েছেন দারুণ একটি বিশ্বকাপ কাটানো স্টয়নিস। ১০ বলে ৮ রান করে ফিরে গেলেন সাকিব। বাংলাদেশ খেল আরেকটি ধাক্কা।
হৃদয়ের দুই ছক্কা
প্রথমে শর্ট আর্ম জ্যাব। এরপর ফ্লিক। স্টয়নিসকে টানা দুই ছক্কা হৃদয়ের। হৃদয় জানতেন, বাতাস পক্ষে আছে তাঁর। সেদিকেই তাক করে খেলেছেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশ ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি এসেছিল চতুর্থ ওভারে।
২ বলে ২ উইকেট
স্টয়নিসের ওভারে ১৪ রান তুলে একটু মোমেন্টাম এনেছিলেন হৃদয়। কিন্তু কামিন্স সেটি থামিয়ে দিলেন। প্রথম ৪ বলে মাত্র ৫ রান দেওয়ার পর পঞ্চম বলে গিয়ে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর উইকেট। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক পরের বলে আবার উইকেট। আবার শর্ট বল। মেহেদী হাসান আপার কাট করেছিলেন, সেটি সোজা ক্যাচ গেছে ডিপ থার্ডে থাকা জাম্পার হাতে। ১৮ ওভারে ১২২/৭!
কামিন্সের হ্যাটট্রিক
আগের ওভারে শেষ দুই বলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। শেষ ওভারে এসেছে প্রথম বলেই ফেরালেন হৃদয়কে। স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েছেন তাওহিদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখল সপ্তম হ্যাটট্রিক!
১৪০ রানে থামল বাংলাদেশ
প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে শুরুতেই উইকেট হারানো মোটেও নতুন কিছু নয় বাংলাদেশের। প্রথম ৩ ওভারে এসেছিল ৮ রান। পরের ৫ ওভারে আসে ৪৯ রান, লিটন বলপ্রতি রান না তুললেও নাজমুল খেলছিলেন বেশ ভালোই। তবে লিটনের উইকেটের পর রানের গতি কমে আসে একেবারেই। ওই সময়ে ৮ ওভারে ওঠে মাত্র ৪৬ রান। শেষ দিকে হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ গেছে ১৪০ রান পর্যন্ত। প্যাট কামিন্স করেছেন হ্যাটট্রিক। লিটন-নাজমুলের ওই ৫৮ রানের জুটি বাদে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। চারে আনা হয়েছিল রিশাদকে, সে টোটকাও কাজে দেয়নি। ফ্লাডলাইটের নিচে অ্যান্টিগার উইকেট যে বিশাল স্কোরের, তা নয়। তবে এরপরও বাংলাদেশ যে ‘বিলো-পার’ স্কোরে আটকে গেছে, সেটি বলাই যায়। বোলারদের কাজটিও তাই ম্যাচের মাঝপথে বেশ কঠিনই মনে হওয়ার কথা।
আবার বৃষ্টি
বৃষ্টিতে টস বিলম্বিত হলেও খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পর আবার অ্যান্টিগায় বৃষ্টি নেমেছে।
সংগ্রহ যখন ১৪০
যদিও সেন্ট ভিনসেন্টের সে উইকেটের সঙ্গে এবারের উইকেটের পার্থক্য আছে। আগের প্রতিপক্ষও ছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য এক দেশ।
শুরুতে মেহেদী
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ সম্মিলিতভাবে বেশ ফর্মে। তবে অ্যান্টিগায় বোলিং ওপেন করতে এলেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। অস্ট্রেলিয়ার দুই বাঁহাতি ওপেনার নিশ্চিতভাবেই এর বড় কারণ। এবারের বিশ্বকাপে আজই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মেহেদীকে রিভার্স সুইপে একটি চার মেরেছেন ওয়ার্নার। অবশ্য প্রথম ওভারে ৫ রানের বেশি আসেনি।
ওয়ার্নারের দেওয়া সুযোগ ছাড়লেন হৃদয়
তানজিমকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, সেটি ক্যারি করেছিল। কিন্তু হৃদয় সুযোগটা নিতে পারেননি। ৫ রানে জীবন পেয়েছেন ওয়ার্নার। প্রথম ৫ বলে ৫ রান দিলেও শেষে গিয়ে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে করেছিলেন তানজিম। হেড তাতে মেরেছেন চার। ২ ওভারে ১৪/০।
তাসকিন+মোস্তাফিজ=২৮ রান
তাসকিনের প্রথম ওভারে এসেছে ১৫ রান। এরপর মোস্তাফিজকে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই এনেছেন নাজমুল। প্রথম ৪ বলে ৩ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ, পঞ্চম বলে জায়গা বানিয়ে ছক্কা মেরেছেন হেড। শেষ বলে জায়গা বানিয়ে অফ সাইড দিয়ে মেরেছেন চার। ৫ ওভারে ৪৯ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৯
মেহেদীর শর্ট বল। ওয়ার্নারের ছক্কা। পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়ার ৫৯ রান। প্রথম ৬ ওভারের ৩ ওভার করেছেন মেহেদী। বাকি ৩ ওভার ৩ পেসার। লড়াইয়ে থাকতে গেলে পাওয়ারপ্লেতে উইকেট প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ। উল্টো হেড ও ওয়ার্নার কার্যত ছিটকে দিলেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের পাওয়ারপ্লেতে স্কোর ছিল ৩৯/১।
রিশাদের পর বৃষ্টি
উইকেটের খোঁজে দুই বাঁহাতির বিপক্ষেই রিশাদকে এনেছেন নাজমুল। তাঁর দ্বিতীয় বলে রিভার্স সুইপে মারা চারের পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন আম্পায়াররা।
আপডেট
বাংলাদেশ সময় সকাল ৯-৩৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। ওভার কাটা যায়নি কোনো।
প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন রিশাদ হোসেন
দ্বিতীয় বলে ওয়ার্নার চার মেরেছিলেন তাঁকে। তৃতীয় বলটি করতে এরপর প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে রিশাদকে। পঞ্চম বলে গিয়ে রিশাদ এনে দিলেন প্রথম উইকেট। তাঁর গতি কমিয়ে আনা বলটি মিস করে গেছেন ট্রাভিস হেড। ভেঙেছে ৬৫ রানের ওপেনিং জুটি।
নাজমূল আবেদীনের বিশ্লেষণ
রিশাদের দ্বিতীয়
সুইপের চেষ্টা। মিস। এলবিডব্লু! রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট। ওয়ার্নারের সঙ্গে আলোচনার পর রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। বল ব্যাটে লাগেনি, আল্ট্রা-এজে কিছু ছিল না। বল ব্যাটে লাগার সময় দৃশ্যমান ছিল লেগ স্টাম্প। উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। ৪ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দুটিই নিলেন রিশাদ।
১০ ওভারে ৮০/২
বাংলাদেশের স্কোর এ সময়ে ছিল ৬৭/২। প্রথম ১০ ওভারে বোলিংয়ে আসেননি সাকিব আল হাসান। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান ৪ ওভার শেষ করেছেন আগেই।
ওয়ার্নারের ফিফটির পর আবার বৃষ্টি
তাসকিন আহমেদকে ফ্লিক করে ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে অষ্টম ফিফটি পূর্ণ করতে তাঁর লেগেছে ৩৪ বল। পরের বলে তাঁর নেওয়া সিঙ্গেলে ১০০ পূর্ণ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। এবং এরপর আবার নেমেছে বৃষ্টি! এবার বেশ জোরেই। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, এ সময়ে পার স্কোর ৭২ রান।
ওভার কাটা যাবে দ্রুতই
অ্যান্টিগায় পেরিয়ে গেছে রাত ১২টা, মানে শুরু হয়ে গেছে নতুন দিন। আপাতত বৃষ্টি সেখানে। স্থানীয় সময় ১২-১২ মিনিটের (বাংলাদেশ সময় ১০-১২ মিনিট) পর থেকে ওভার কাটা শুরু হবে। আর খেলা না হলে ডিএলএস পদ্ধতিতে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া জিতবে বড় ব্যবধানেই। খেলা শুরু হতে হবে বাংলাদেশ সময় ১০-৪৫ মিনিটের মধ্যে।
সাকিব কই?
১২তম ওভার পর্যন্ত বোলিংয়ে আসেননি সাকিব। ক্রিজে দুই বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড ছিলেন সপ্তম ওভার পর্যন্ত। ওয়ার্নার অবশ্য অপরাজিত এখনো। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ওভারের পর চতুর্থটি করেননি সাকিব, ক্রিজে অনেকটা সময় ছিলেন বাঁহাতি ডেভিড মিলার। অবশ্য মজার ব্যাপার হলো, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুই বাঁহাতি ওপেনারের বিপক্ষেই আনা হয়েছে লেগ স্পিনার রিশাদকে। লেগ স্পিনার ও বাঁহাতি অর্থোডক্স—বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে দুধরনের বোলারেরই গতিপথ একই হওয়ার কথা। কিন্তু রিশাদ ৩ ওভার করে ফেললেও সাকিব আসেননি এখনো। বোলিংয়ে অবশ্য সময়টা খুব একটা সুবিধার যাচ্ছে না সাকিবের। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে উইকেটশূন্য ছিলেন। নেপালের বিপক্ষে শেষ দিকে অবশ্য ২ উইকেট নেন।
ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে জিতল অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ১১.২ ওভারের পর অ্যান্টিগায় খেলা শুরু হতে পারেনি আর। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সে ব্যবধানেই ম্যাচটি জিতল তারা।
১৪০ রানের সম্বল নিয়ে দ্রুত উইকেটের দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেটি তারা পায়নি। কার্যত হেড ও ওয়ার্নারের ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রিশাদ হোসেন আশা জোগালেও ওয়ার্নারকে টলানো যায়নি। অবশ্য ১৪০ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আটকানো দুরূহ কাজই হওয়ার কথা ছিল।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ কামিন্স
হ্যাটট্রিক করা প্যাট কামিন্স হয়েছেন ম্যাচসেরা। ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়া পেসার।
জুনিয়র পর্যায়ে কয়েকটি (হ্যাটট্রিক) ছিল, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ছিল না। বেঞ্চে থাকা (অ্যাশটন) অ্যাগার ও (নাথান) এলিসের টি-টোয়েন্টি হ্যাটট্রিক আছে, এ ক্লাবে যোগ দিতে পেরে ভালো লাগছে। এটি পেয়ে দারুণ লাগছে। তারা আমাকে ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছে।প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক
বলছেন নাজমুল
উইকেট ভালো ছিল, অন্তত ১৭০ রানের লক্ষ্যে এগোনো উচিৎ ছিল।নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক
আগামীকাল ভারত
বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাতেই আবার নামবে বাংলাদেশ। এ মাঠেই প্রতিপক্ষ ভারত।