শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ—পুরোনো ইতিহাস, নতুন লড়াই
এবার আর ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই, হয় জেতো, অথবা বিদায় নাও! এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে গ্রুপ ‘বি’-এর এ ম্যাচে জয়ী দল সুপার ফোরে সঙ্গী হবে আফগানিস্তানের, হেরে যাওয়া দলকে নিতে হবে বিদায়।
কথার লড়াই অবশ্য শুরু হয়েছে ম্যাচের আগে থেকেই। আফগানিস্তানের ম্যাচের পরই শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছিলেন, আফগানিস্তানের চেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশে বলার মতো আর কোনো বোলার নেই, এমনও বলেছিলেন শানাকা। সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ অবশ্য অধিনায়কের কথা শুনে বিস্মিতই হয়েছিলেন।
গতকাল অবশ্য শানাকার কথার কড়া জবাবই দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। সরাসরিই বলেছেন, শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারই দেখেন না তিনি। তাঁদের তবুও দুজন বোলার আছেন, শ্রীলঙ্কার সেটিও নেই!
এরপর কথার লড়াইটা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে তাঁর উত্তরসূরিদের মাঠেই জবাব দেওয়ার জন্য বলেছেন। আর এশিয়া কাপে চোটের কারণে খেলতে না পারা নুরুল হাসানের দাবি, এ ম্যাচে ফেবারিট বাংলাদেশই।
দুই দলের দ্বৈরথের ইতিহাসটাও পুরোনো, ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে যেটি পেয়েছিল ভিন্ন এক মাত্রা। আজ কার্যত নকআউট ম্যাচে সে দ্বৈরথের কোন রোমাঞ্চ দেখা যাবে? সেটির জন্য প্রস্তুত আপনি?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের এ ম্যাচে প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
সেই পুরোনো আক্ষেপ…
‘ধুর, এসব আর বইলেন না। ফাটিয়ে ফেলার কথা বলে পাওয়ার প্লেতে সেই আগের মতো ৪ উইকেট নেই!’
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর থেকেই শোনানো হয়েছিল নতুন শুরুর পুরোনো গান। তবে কাল বাংলাদেশ দলের এক সদস্যের বলা ওপরের কথাতেই আসলে ফুটে ওঠে অনেক কিছু।
আজ কি দেখা যাবে ‘নতুন বাংলাদেশ’ দলকে?
প্রস্তুত দুবাইয়ের গ্যালারি
টস
টসে জিতেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অবশ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, তাঁরাও আগে ফিল্ডিং করতে চেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন
আগের ম্যাচে ওপেন করা দুজন—এনামুল হক ও মোহাম্মদ নাঈমকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। দলে নেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। এ তিনজনের বদলে দলে এসেছেন সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেন। ইবাদতের টি-টোয়েন্টি অভিষেক এটি, এর আগে খেলেছেন একটি ওয়ানডে।
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ।
আসিতার অভিষেক
শ্রীলঙ্কা দলে আছে একটি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন মাতিশা পাতিরানা। তাঁর জায়গায় অভিষেক হচ্ছে ডানহাতি পেসার আসিতা ফার্নান্ডোর।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
দানুশকা গুনাতিলাকা, পাতুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিত আসালাঙ্কা, ভানুকা রাজাপক্ষে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহীশ তিকসানা, আসিতা ফার্নান্ডো, দিলশান মাদুশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে কারা?
এনামুল ও নাঈম বাদ পড়ায় কোনো স্বীকৃত ওপেনার না নিয়েই নামছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে অবশ্য পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগেই।
আপাতত কথার আগুনে জল ঢাললেন সাকিব
সত্যি বলতে কী, আমরা এসব নিয়ে কথাই বলিনি কোনো। নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকেই নজর আমাদের।
ওপেনিংয়ে মিরাজ ও সাব্বির
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেই ওপেন করতে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে। তবে ওই ম্যাচ ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। সাব্বির রহমানের অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেন করেননি কখনো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ ওপেন করতে এসেছেন দুজন।
স্কুপ করে সাব্বিরের চার
দিলশান মাদুশাঙ্কার শেষ বল, স্কুপ করে চার সাব্বির রহমানের। ওভারটি শুরু হয়েছিল লেগবাইয়ে আসা একটি চার থেকে, ব্যাটসম্যান ছিলেন মিরাজ। এরপর কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারলেও চার পাননি মিরাজ। প্রথম ওভার অবশ্য আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছেন দুজনই, উঠেছে ১১ রান।
তিন বছর পর নেমে ৬ বল টিকলেন সাব্বির
একজনের অভিষেক, আরেকজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছেন তিন বছর পর। তবে শেষ পর্যন্ত জিতলেন অভিষিক্ত শ্রীলঙ্কান পেসার আসিতা ফার্নান্ডোই। শর্ট বলে ঠিক স্বস্তিতে ছিলেন না মিরাজ বা সাব্বির, এবার পুল করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি সাব্বির। এজড হয়েছেন, উইকেটের পেছনে ধরা পড়ার আগে করেছেন ৬ বলে ৫ রান। মিরাজ ও সাব্বিরের ওপেনিং জুটি টিকল ২.৫ ওভার, উঠেছে ১৯ রান।
প্রথম ছক্কা মিরাজের
‘ইন্টেন্ট’ দেখতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। এখন পর্যন্ত মিরাজ তা দেখাচ্ছেনও। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন মহীশ তিকসানা, আঁটসাঁট বোলিংয়ে। পরের ওভারে এসে মিরাজের ব্যাটে ছক্কা খেয়েছেন তিনি। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অফের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন মিরাজ। ৪ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ২৯ রান।
ফার্নান্ডোর ওভারে ১৮
সূর্যকুমার নাকি মিরাজ? স্কুপ করে মারা মিরাজের মারা ছক্কাটি দেখে ধারাভাষ্যে থাকা সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের কথা ছিল এমনই। ওই ছক্কার পর মিরাজ মেরেছেন আরেকটি চার, ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে। প্রথম ওভারে এসেই সফল হওয়া আসিতা ফার্নান্ডো সর্বশেষ ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান।
মিরাজ এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৯ রান, পঞ্চম ওভার শেষে তিনি অপরাজিত ৩১ রানে। ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৪৭ রান।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৫
ষষ্ঠ ওভারে এসেছে ৮ রান, পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলল ৫৫ রান, ১ উইকেট হারিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ২৮ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল তারা।
হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড মিরাজ
পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর এলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মিরাজের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন করেছিলেন, তবে সাড়া দেননি আম্পায়ার আহমেদ শাহ পাক্তিন। মিরাজকে থামাতে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা, ব্যাটে বলে হয়নি, তবে ইমপ্যাক্টে ছিল বাইরে। রিভিউ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তবে ২ বল পরই ফিরতে হয়েছে মিরাজকে। হাসারাঙ্গার গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গেছেন তিনি, এবার আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। ২৬ বলে ৩৮ রান করে ফিরতে হলো মিরাজকে।
২০১৮ সালের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা কারও জন্য স্কোরটা খারাপ নয় নিশ্চয়ই!
ব্যর্থ মুশফিক
আগের বল ছিল ফুললেংথে, মিস করে গিয়েছিলেন মুশফিক। চামিকা করুনারত্নের পরের বলটি শর্ট অব আ লেংথে, সেখান উঠল তীক্ষ্ণভাবে। মুশফিক শুধু ব্যাট ছোঁয়াতে পেরেছেন তাতে, হয়েছেন কট বিহাইন্ড। কুশল মেন্ডিস নিলেন ইনিংসে দ্বিতীয় ক্যাচ, বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট—দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা, চাপে বাংলাদেশ।
সাকিবের ৬ হাজার, ১০ ওভারে বাংলাদেশের ৮৫/৩
টাইমিং করতে ভুগছিলেন সাকিব। তিকশানার বলে এরপর ইনসাইড আউটে দারুণ এক শটে চার মারলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মিরাজ ফেরার পর এটি প্রথম বাউন্ডারি বাংলাদেশ দলের। অবশ্য ওই চারের পর আবার তুলে মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলেছিলেন সাকিব। লং অনের ফিল্ডার দৌড়ে এলেও পৌঁছাতে পারেননি ক্যাচ পর্যন্ত। এর আগেও একবার ক্যাচ তুলেছিলেন সাকিব, সেটিও পড়েছিল নোম্যানস ল্যান্ডেই।
পরের ওভারে চামিকা করুনারত্নের প্রথম দুই বলে দুই চার মারেন সাকিব, দুটিই স্কুপ করে। ফাইন লেগকে ওপরে দেখে সুযোগ দেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর মধ্যে প্রথম চারটি দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৬ হাজার রানে পৌঁছে গেছেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি হলো তাঁর।
করুনারত্নের ওভার শেষ হয়েছে আফিফের মারা বাউন্ডারি দিয়ে, উঠেছে ১৫ রান। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৮৫ রান।
সাকিবের উইকেটে আবার চাপে বাংলাদেশ
প্রথম বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, তবে এক রানের বেশি নিতে পারেননি। এরপর তিকশানাকে আবার জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প হারালেন সাকিব। শুরুতে চাপে ছিলেন, এরপর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেটি সামাল দেওয়ার। তবে তাঁড় উইকেটে আবার চাপে পড়ল বাংলাদেশ।
১১তম ওভারে বোলিং শেষ করলেন তিকসানা। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট তাঁর।
মাঝের ওভারের চাপ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দুজন হয়েছিলেন বোল্ড, দুজন এলবিডব্লু। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুজন বোল্ড হয়েছেন, বাকি দুজন ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
মাদুশাঙ্কার ইয়র্কারে আফিফের বিপক্ষে ক্যাচের আবেদন হয়েছিল, তবে সেটি ছিল বাম্প বল, মানে ব্যাটে লাগার পর মাটিতে লেগেছিল বল। অবশ্য ব্যকওয়ার্ড পয়েন্টে দারুণ ফিল্ডিং করেছেন দানুশকা গুনাতিলাকা। এরপর আবার মাদুশাঙ্কার পেসে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন আফিফ, এবার বেঁচে গেছেন ফিল্ডার না থাকায়।
প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ৬ ওভারে তুলতে পেরেছে ৩৬ রান। তবে এ সময়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চাপে তারা।
বুম!
হাসারাঙ্গাকে আফিফের চার-ছয়
শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার তিনি, এ সময়ে টি-টোয়েন্টিরই অন্যতম সেরা। সেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ওপর চড়াও হলেন আফিফ হোসেন। প্রথমে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরেছেন। এরপর গুগলি পড়ে ফেলে স্লগ সুইপে দারুণ টাইমিংয়ে মেরেছেন ছয়। হাসারাঙ্গাকে মারা আফিফের ওই ছয়েই ১০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১০৩ রান।
হাসারাঙ্গার ওপর চড়াও মাহমুদউল্লাহও
আফগানিস্তানের বিপক্ষে রশিদ খানের সামনে বেশ সতর্ক ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ ওভারে তাঁর ওপর চড়াও হতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
আজ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ওপর চড়াও হলেন তিনি। স্লগ সুইপে দারুণ টাইমিংয়ে ছয়ের পর ইনসাইড আউটে মেরেছেন চার। আগের ওভারে আফিফের পর এবার খোলস ছেড়ে বেরোনোর ইঙ্গিত দিলেন মাহমুদউল্লাহ। হাসারাঙ্গার করা ১৫তম ওভারে এসেছে ১৪ রান।
৫ ওভার বাকি থাকতে ১২৩ রান বাংলাদেশের, ৪ উইকেটে। আফিফের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানে।
ছুটছেন আফিফ, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি
স্লোয়ার বাউন্সারে দারুণ টাইমিংয়ে ছয়। এরপর এ ইনিংসে পরিচিত হয়ে ওঠা স্কুপ করে চার। আফিফ হোসেন খেলছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, সর্বশেষ আসিতা ফার্নান্ডোর ওপর চড়াও হলেন তিনি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ফিফটি ছুঁয়েছে আফিফ ও মাহমুদউল্লাহর জুটি, ৩৩ বলে।
৪ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশ ১৩৮/৪।
২২ বলে ৩৯ করে ফিরলেন আফিফ
এতক্ষণ বলের গতি দারুণভাবে ব্যবহার করছিলেন আফিফ, ধীরগতির বলেও টাইমিং ছিল দারুণ। এবার মাদুশাঙ্কার স্লোওয়ারে পরাস্ত হলেন তিনি। মিডউইকেটে ক্যাচ দেওয়ার আগে অবশ্য খেলেছেন ২২ বলে ৩৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। যখন নেমেছিলেন, চাপে ছিল বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৭ বলে ৫৭ রানের জুটিতে নিশ্চিত করলেন বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত।
এবার ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
আরেকবার গতিপথ বদলাল দুবাইয়ের ম্যাচটির।
শেষ ওভার করতে আসা হাসারাঙ্গাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ২৭ রান তাঁর। আগের ওভারে আফিফের পর এবার মাহমুদউল্লাহ—৪ বলের মধ্যে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ।
হাসারাঙ্গা: ৪-০-৪১-২
৪ বলের মধ্যে ২ উইকেট, নেই দুই থিতু ব্যাটসম্যান, সামনে হাসারাঙ্গা। মোসাদ্দেকের তাতে কিছু যায় আসে না!
প্রথমে টেনে লং অফ দিয়ে চার মারলেন, এরপর সুইচ হিটে আরেকটি। হাসারাঙ্গা বোলিং শেষ করলেন ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে, নিয়েছেন ২ উইকেট।
তবে আবার শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ ফিরিয়ে দিয়েছে মোসাদ্দেকের ওই দুই বাউন্ডারি।
ফিরলেন মেহেদী
স্লোয়ারে আফিফকে ধোঁকা দিয়েছিলেন মাদুশাঙ্কা। এবার করুনারত্নে দিলেন মেহেদী হাসানকে। এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন মেহেদী, কাজে আসেনি। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট পেল শ্রীলঙ্কা।
সাইফউদ্দিন নেই, নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ।
শেষ ওভারে ১৭, বাংলাদেশের ১৮৩
সাইফউদ্দিন নেই। তাসকিন যেন বললেন, ‘তাতে কী!’
আসিতা ফার্নান্ডোকে টেনে ছয় মেরেছেন তিনি। স্ট্রাইক ফিরিয়ে দিয়েছেন মোসাদ্দেককে। কাভারে মিসফিল্ডের কারণে চার পাওয়া মোসাদ্দেক দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে মারলেন আরেকটি চার। শেষ বলে ২ রানে বাংলাদেশ পৌঁছাল ১৮৩ রানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ১৮০ পেরোল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে ১৭, বাংলাদেশের ১৮৩
সাইফউদ্দিন নেই। তাসকিন যেন বললেন, ‘তাতে কী!’
আসিতা ফার্নান্ডোকে টেনে ছয় মেরেছেন তিনি। স্ট্রাইক ফিরিয়ে দিয়েছেন মোসাদ্দেককে। কাভারে মিসফিল্ডের কারণে চার পাওয়া মোসাদ্দেক দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে মারলেন আরেকটি চার। শেষ বলে ২ রানে বাংলাদেশ পৌঁছাল ১৮৩ রানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ১৮০ পেরোল বাংলাদেশ।
দুবাইয়ে ম্যাচটির প্রথম ইনিংস অবশ্য রঙ বদলেছে বারবার।
নতুন দুই ওপেনারের জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি, তবে মিরাজের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো পায় বাংলাদেশ। মিরাজের পর মুশফিকও দ্রুত ফিরে গেলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ। আফিফের সঙ্গে সাকিবের জুটির শুরুটাও ভালো হয়। এরপর আবার চাপ বাড়ে সাকিবের অসময়ে আউটে।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৫ রান তুললেও পরের ৬ ওভারে ৩৬ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারায় তারা। আফিফ ও মাহমুদউল্লাহর জুটি আবার এগিয়ে নেয় বাংলাদেশকে। দুই থিতু ব্যাটসম্যান অবশ্য ফেরেন ৪ বলের ব্যবধানে। বাংলাদেশকে এরপর আরেকটু কম রানের মধ্যে আটকে রাখার সুযোগও তৈরি করে তাতে শ্রীলঙ্কা। তবে ফর্মে থাকা মোসাদ্দেকের ৯ বলে ২৪ ও তাসকিন আহমেদের ৬ বলে ১১ রানের অপরাজিত দুটি ক্যামিওতে ১৮০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ ৮ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৯২ রান। শেষ ৬ ওভারে উঠেছে ৭৪ রান।
যে রেকর্ড মনে করতে চাইবে না বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে ১৮৩ বা এর চেয়ে বেশি রান করেও এর আগে টি-তোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র একবার। সে ম্যাচের প্রতিপক্ষ? শ্রীলঙ্কা!
২০১৮ সালে মিরপুরে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ করেছিল ১৯৩ রান। শ্রীলঙ্কা সে লক্ষ্য পেরিয়ে গিয়েছিল ২০ বল বাকি থাকতেই!
মেন্ডিসকে জীবন দিলেন মুশফিক
তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। ডানদিকে ডাইভ দিয়ে নাগাল পেয়েছিলেন মুশফিক, গ্লাভসে নিয়েছিলেনও। বল এরপরই বেরিয়ে গেছে, এরপর আরও দুইবার চেষ্টা করলেও গ্লাভসে বল রাখতে পারেননি বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার। ২ রানে জীবন পেলেন মেন্ডিস। শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলার সুযোগ হারাল বাংলাদেশ।
নিসাঙ্কার পর আক্রমণাত্মক মেন্ডিস
মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়েছিলেন পাতুম নিসাঙ্কা, ছয়ের পর চার মেরে। পরের ওভারে সাকিবের ওপর চড়াও হলেন কুশল মেন্ডিস। তিনটি বল ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব, লেগ সাইডে তিন দিক দিয়ে তিনটি বাউন্ডারি মেরেছেন মেন্ডিস। স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয়ের পর মিডউইকেট দিয়ে আরেকটি, শেষে ফাইন লেগ দিয়ে চার। বাংলাদেশ অধিনায়কের করা পঞ্চম ওভারে এসেছে ১৮ রান। ৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছে ৪৪ রান, বিনা উইকেটে।
অভিষেকে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট ইবাদতের
এবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দেখল ইবাদত হোসেনের স্যালুট! সেটিও এক ওভারে দুইবার!
অভিষেকে প্রথম ওভার করতে এসেই বাংলাদেশকে ডাবল ব্রেকথ্রু দিলেন এ পেসার, ফেরালেন পাতুম নিসাঙ্কাকে। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে টপ এজড হয়েছেন নিসাঙ্কা, শর্ট মিডউইকেটে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। শেষ বলে ক্যাচ তুলেছেন চারিত আসালাঙ্কাও। শর্ট বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন আসালাঙ্কা, তবে মিডঅফে থাকা মাহমুদউল্লাহকে পার করাতে পারেননি।
নিসাঙ্কা ফিরেছেন ১৯ বলে ২০ রান করে, আসালাঙ্কা ৩ বলে ১ রান করে। ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৪৮ রানে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার করতে এসে ইবাদত মাত্র ৪ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট।
অভিষেকে আজ প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছিলেন আসিতা ফার্নান্ডো। ইবাদত ছাড়িয়ে গেলেন তাঁকেও।
মুশফিকের ‘দায়মোচন’... হলো না
২ রানে এই কুশল মেন্ডিসকে জীবন দিয়েছিলেন মুশফিক। এবার আর তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন না তিনি… তখন পর্যন্ত ব্যাপারটি তাই ছিল। তবে আউট হয়ে উঠে যেতে ধরা মেন্ডিস থামলেন আম্পায়ারের কথা শুনে। টেলিভিশন আম্পায়ার তখন দেখছিলেন নো বল। মেহেদী হাসানের পা সূক্ষ্ণ ব্যবধানে ছিল দাগের ওপরে। নো বল হওয়াতে আউট হওয়ার বদলে ২৯ রানে দাঁড়িয়ে আরেকবার জীবন পেলেন মেন্ডিস।
ইবাদতের আরেকটি
এবার তাঁর শিকার দানুশকা গুনাতিলাকা। স্লো বাউন্সারে তুলে মারতে গিয়ে টপ এজড হয়েছিলেন গুনাতিলাকা, বল উঠেছিল বেশ ওপরে। ফাইন লেগ থেকে অনেকটা ছুটে এসে, ক্যাচের নিচে নিজেকে প্রস্তুত করে, মুশফিককে থামিয়ে ক্যাচটি নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
মেন্ডিস না ফিরলেও ফিরেছেন গুনাতিলাকা।
মেন্ডিসের তৃতীয় জীবন
মেন্ডিস আউট হতে চান, তবে বাংলাদেশ যেন তাঁকে আউট করতে চাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান যে বেঁচে গেলেন আরেকবার। গুনাতিলাকা ফেরার ঠিক পরের বলেই তাঁর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার অনীল চৌধুরি অবশ্য দেন ওয়াইড। সাকিব শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেননি। তবে রিভিউ নিলে মেন্ডিসকে ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। বল গ্লাভসের ঠিক পাশে থাকার সময় আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা গেছে।
২ রান, ২৯ রানের পর এবার ৩১ রানে বাঁচলেন মেন্ডিস।
এবার তাসকিনের আঘাত
মেন্ডিস না ফিরলেও অন্যপ্রান্তে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা টিকতে পারছেন না। আরেকটি শর্ট বলে আরেকটি উইকেট পেল বাংলাদেশ। এবার অবশ্য বোলার তাসকিন আহমেদ। তাঁর শর্ট বলে আপার কাট করেছিলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। থার্ডম্যানে থাকা বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েছেন।
শ্রীলঙ্কা চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ৭৭ রানে।
স্যালুট!
মেন্ডিসের চতুর্থ জীবন
ভাগ্য মেন্ডিসের পক্ষে, এটি এখন লিখতে গেলে সেটি ক্লিশে হয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান বাঁচলেন চতুর্থবারের মতো! তাসকিনের শর্ট বলে মিডউইকেটে খেলেছিলেন দাসুন শানাকা। সেটিতেই রান নিয়েছেন মেন্ডিস। সাব্বির রহমানের থ্রো সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারলে নিশ্চিত রানআউট হতেন মেন্ডিস। চতুর্থ জীবন পাওয়ার সময় তাঁর রান ছিল ৪৪। এর আগের তিনটি জীবন পেয়েছিলেন ২, ২৯ ও ৩১ রানে।
এরপর নিজের চতুর্থ ওভারও শেষ করেছেন সাকিব। ৪ ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছেন ৩১ রান। উইকেট পাননি।
ওয়াইড, ছয়, ছয়, ২ ওয়াইড, ১ নো, ২, ১, ২, ১—ইবাদতের ওভারে ২২
তৃতীয় ওভার করতে এসে এলোমেলো হয়ে গেলেন ইবাদত। দাসুন শানাকার দুই ছয়ের আগে পরে ওয়াইড, নো করলেন। সব মিলিয়ে দিলেন ২২ রান।
এ ওভারেই ১০০ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। আর ৫০ হয়েছে চারটি জীবন পাওয়া মেন্ডিসের। মাত্র ৩২ বলে মাইলফলকে গেছেন তিনি।
এ ওভারের আগে ওভারপ্রতি ১১-এর ওপর করে রান লাগত শ্রীলঙ্কার। এখন প্রয়োজন ৯.৫৭ করে।
মেন্ডিস-শানাকার ৫০
১৪তম ওভারে প্রথমবারের মতো মিরাজকে এনেছেন সাকিব। শানাকা ক্যাচ তুলেছিলেন, তবে কাভারে বেশ খানিকটা ছুটে যাওয়ার পর ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি সাকিব। মিরাজের শেষ বলে সাইটস্ক্রিন বরাবর ছক্কা মেরেছেন মেন্ডিস। তাতেই শানাকার সঙ্গে তাঁর জুটি পেরিয়ে গেছে ৫০, মাত্র ৩৪ বলেই।
নিশ্চিতভাবেই ম্যাচে টিকে থাকতে হলে এ জুটি ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে।
অবশেষে (আউট) মেন্ডিস!
জুটি ভাঙার প্রয়োজন ছিল, সাকিব আনলেন তাঁর বড় অস্ত্র মোস্তাফিজকে। মোস্তাফিজ বের করে আনলেন তাঁর ক্ল্যাসিক স্লোয়ার। শর্ট লেংথের বলটিকে থার্ডম্যানে পাঠাতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস, সফলও হন। তবে ছুটে এসে আরেকটি ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তাসকিন। চার বার বেঁচে যাওয়া মেন্ডিস অবশেষে ফিরেছেন ৩৭ বলে ৬০ রান করে।
তাসকিনের আরেকটি উইকেট
ফিল্ডিংয়ে তাসকিন, বোলিংয়েও তাসকিন! (এর আগে ব্যাটিংয়েও ক্যামিও খেলেছিলেন)।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব আ লেংথের বলে জায়গা বানিয়ে স্ল্যাশ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মেহেদী হাসান ভুল করেননি, শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। নিজের শেষ ওভার করতে এসে দ্বিতীয় উইকেট পেলেন তাসকিন।
২৭ বলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৪৫ রান।
তাসকিন, ২/২৪
১৬তম ওভারে এসে মাত্র ৪ রান দিলেন তাসকিন, সঙ্গে একটি উইকেট। ৪ ওভারে এ পেসার দিয়েছেন ২৪ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট।
১৮ বলে ৩৪
১৭তম ওভারে শেষ হয়ে গেল মোস্তাফিজের ৪ ওভার। ১ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেছেন ৩২ রান।
শেষ ৩ ওভারের জন্য আপাতত সাকিবের অপশন ইবাদত, মেহেদী ও মিরাজ। দুই অফ স্পিনার আবার করেছেন ১ ওভার করে। মোসাদ্দেক বোলিংয়ে আসেননি এখনো।
১৮ বলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৩৪ রান। ৩০ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত শানাকা।
গেম, সেট…?
আগের বলে ফুলটসে চার দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান, তবে পরের বলেই প্রতিশোধ নেওয়া হলো তাঁর। স্লটে পেয়ে তুলে মেরেছিলেন দাসুন শানাকা। লং অফে মোসাদ্দেক হোসেনকে পার করাতে পারেননি।
মেহেদী ১৮তম ওভারে দিয়েছেন ৯ রান। ১২ বলে প্রয়োজন ২৫ রান, বাকি ৩ উইকেট।
৬ বল, ৮ রান
প্রথম দুই বলে দুটি ডাবলসের পর লেগ সাইডে পেয়ে করুনারত্নে মেরেছেন চার। তৃতীয় বলটি আবার ইবাদত হোসেন করেছেন নো বল। ফ্রি হিটে অবশ্য বাউন্ডারি প্রায় করতে ধরেছিলেন করুনারত্নে, তবে সাব্বির সেটি হতে দেননি।
পঞ্চম বলে তিকশানার শটে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়েছিলেন করুনারত্নে, তবে স্ট্রাইক প্রান্তে সাকিবের সরাসরি থ্রোয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে, ১০ বলে ১৬ রান করে। সাকিব থ্রো করতে পারতেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তে, সেদিকে শুরুতে তাক করতে নিয়েছিলেন।
শেষ বলে আসিতা ফার্নান্ডো এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মেরেছেন চার।
নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ওভার পিছিয়ে থাকার কারণে শেষ ওভারে অতিরিক্ত একজন ফিল্ডার রাখতে হবে আবার বাংলাদেশকে।
২ উইকেটে হেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ
শেষ ওভার, মেহেদী হাসান, প্রয়োজন ৮ রান
প্রথম বল, লেগবাই থেকে সিঙ্গেল।
দ্বিতীয় বল, ফার্নান্ডোর চার।
তৃতীয় বল, ডাবলস। স্কোর টাই।
সেটি আবার নো বল। খেলা শেষ তাতেই!
দুবাইয়ে রাতটা শ্রীলঙ্কার। ২ উইকেটের জয়ে সুপার ফোরে আফগানিস্তানের সঙ্গী তারাই। বিদায় নিল বাংলাদেশ।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর হার বাংলাদেশেরই
৮টি ওয়াইড, ৪টি নো বল—অতিরিক্ত কলামের এ দুই খাতে বাংলাদেশের খরচ। এর আগে শ্রীলঙ্কা কোনো নো বা ওয়াইড করেনি।
শেষ পর্যন্ত এমন সূক্ষ্ণ ব্যবধানের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল সেটিই?
১৮৩ রান তাড়ায় কুশল মেন্ডিস ও পাতুম নিসাঙ্কার ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ইবাদত হোসেনের স্বপ্নের অভিষেক ওভার, তাসকিন আহমেদের ফিল্ডিং ও বোলিংয়ের পর মোস্তাফিজুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এনে দেওয়া ব্রেকথ্রুতে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
শুরুতেই মেন্ডিসের ক্যাচ ফেলেন মুশফিক, এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ে আজ ঠিকঠাকই ছিল বাংলাদেশ। তবে ভোগালো ওই অতিরিক্ত খাতও।
মেন্ডিস অবশ্য ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন নানাভাবে। চার বার জীবন পাওয়ার পর ৩৭ বলে তিনি করেন ৬০ রান। এরপর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক শানাকা খেলেন ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। শানাকা ফেরার পর আবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত আবার এলোমেলো হয়ে পড়ে তারা।
১৮৩ বা এর বেশি রান করেও এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হারল বাংলাদেশ। দুটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।