ভারতের কাছে হারের পর যে ভুল স্বীকার করছেন বাটলার
টসে জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, পিচ ভালো, তবে বল নিচু হবে বলে আগে বোলিং করবেন। আর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, আগে ব্যাটিংটাই চেয়েছিলেন তিনি। কারণ খেলা যত এগোবে, পিচ তত ধীর হবে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তা–ই।
আগে ব্যাট করে ভারত তুলেছে ৭ উইকেটে ১৭১ রান। যা তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১০৩ রানে। দুটি উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, দুজন হয়েছেন রানআউট। ইংল্যান্ডের বাকি ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন ভারতের দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব।
ম্যাচ শেষে বাটলার জানান, নিজেদের বোলিংয়ের সময় সিদ্ধান্তে ভুল হয়েছিল তাঁর।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ভারত–ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টার বেশি সময় পর। এই উইকেটে স্পিনাররা যে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, সেটি ম্যাচের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন ও আদিল রশিদ আট ওভারে রান দিয়েছেন ৬.১৩ গড়ে (মোট ৪৯ রান)। বিপরীতে চার পেসারের খরচ ১২ ওভারে ১২০ রান (১০ গড়ে)। আবার ভারতের তিন স্পিনার অক্ষর, কুলদীপ ও রবীন্দ্র জাদেজারা ১১ ওভারে দিয়েছেন ৫৮ রান (৫.২৭ গড়ে), কিন্তু পেসাররা ৫.৪ ওভারে ৪৩ রান।
উইকেটে স্পিনারদের দাপট দেখে ম্যাচ শেষে বাটলারের উপলব্ধি, ডানহাতি স্পিনার মঈনকেও কাজে লাগাতে পারতেন তিনি, ‘আমার মনে হয় না টস খুব বড় কোনো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের দলে চমৎকার সব স্পিনার ছিল। আমাদের দুজনও (রশিদ ও লিভিংস্টোন) খুব ভালো বোলিং করেছে। আমার বোধোদয় হচ্ছে, পিচে স্পিন যেভাবে ধরে, তাতে মঈনকেও বোলিং করানো উচিত ছিল। ওরা সংগ্রহটা বেশ বড় করে নিয়েছে, এরপর দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তাড়া করাটা সব সময়ই কঠিন।’
এখন থেকে ঠিক এক বছর আগেও ক্রিকেটের দুটি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ছিল ইংল্যান্ড। গত বছরের অক্টোবর–নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড লিগ পর্ব থেকে ছিটকে একটি শিরোপার দখল খুইয়ে ফেলে। এবার ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হেরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মালিকানাও যাচ্ছে।
ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলোতে চোখ রেখে ইংল্যান্ড নিজেদের দলসংশ্লিষ্ট সবকিছু নিয়ে পর্যালোচনায় বসবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান বাটলার, ‘আমরা সবকিছুই পর্যালোচনা করব এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করব। দল হিসেবে কীভাবে ভালো করা যায়, যারা জড়িত আছে, তাদের নিয়ে এবং খেলার স্টাইল নিয়েও আলোচনা করা দরকার। এ ধরনের একটি হারের পর শুধু একটা ম্যাচ, সর্বশেষ কয়েকটা ম্যাচের খেলাই পর্যালোচনা করার মতো সুযোগ তৈরি হয়।’