ওয়েস্ট ইন্ডিজে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টের সময়। সরাসরি ফ্লাইট খুবই কম। সেসব ফ্লাইটের টিকিট অনেক আগেই শেষ। দলগুলোর এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য তাই চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের তো তাহলে আর সমস্যা নেই। বিমানে ওঠো, আর নেমে পড়ো।
বাস্তবে তা হচ্ছে না। এই বিশ্বকাপে দলগুলোকে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়ার বেশ কটি চার্টার্ড ফ্লাইটই নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে। এখনই যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা দল আটকে আছে ত্রিনিদাদের পিকারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আগের রাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালের জন্য ত্রিনিদাদ থেকে বার্বাডোজে যাওয়ার চার্টার্ড ফ্লাইট ছাড়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে। তা ছাড়ার আগমুহূর্তে খবর আসে, ছোট একটা বিমান নামার সময় ঝামেলা হওয়ায় বার্বাডোজের রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দল, আইসিসি কর্মকর্তা ও আম্পায়াররা বিমান থেকে নেমে তাই টার্মিনালে ফেরত এসেছেন।
এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের বেশির ভাগের সঙ্গেই যোগ দিয়েছে তাঁদের পরিবার। ভোগান্তিটাও তাই বেশি। ত্রিনিদাদ থেকে সরাসরি বার্বাডোজ যেতে বিমানে ঘণ্টাখানেকের মতো লাগে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল শেষ করে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল তাই খুব ফুরফুরে মেজাজেই ছিল।
গায়ানায় বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল কখন শেষ হয় ঠিক নেই। ফাইনালের আগে মাত্র একটিই দিন—যে দলই জিতুক, গায়ানা থেকে বার্বাডোজ এসে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে না। যেখান দক্ষিণ আফ্রিকা দলের দুপুর নাগাদ বার্বাডোজের হোটেলে ঢুকে যাওয়ার কথা ছিল। উল্টো দলের খেলোয়াড়েরা এখন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত এবং অবশ্যই কিছুটা বিরক্ত।
এই বিশ্বকাপে চার্টার্ড ফ্লাইট নিয়ে এই বিড়ম্বনা এটাই প্রথম নয়। সবচেয়ে ভুগেছে শ্রীলঙ্কা। ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে আসার সময় একটা পুরো রাত কাটাতে হয়েছে মায়ামি বিমানবন্দরে। সেমিফাইনাল খেলতে সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ত্রিনিদাদ আসার সময় আফগানিস্তানের বিমানও দেরিতে ছেড়েছে। এর আগে নিউইয়র্ক থেকে সেন্ট ভিনসেন্ট যাওয়ার সময় বাংলাদেশ দলকেও প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে বিমানবন্দরে। বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাও সেন্ট ভিনসেন্ট এসেছিল একই বিমানে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকা পরিবার ও তাদের লটবহর বেশি হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ম্যানেজ করতেই দেরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিমানের আসনে অনেকের মালপত্র রাখার ব্যবস্থা করে সেই বিমান ছাড়ে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ত্রিনিদাদ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে বার্বাডোজ নিয়ে যাওয়ার বিমান ছাড়ার নতুন সময় ঠিক হয়েছে বিকেল সাড়ে ৪টায়। এর আগে বার্বাডোজ বিমানবন্দরের ঝামেলাটা না মিটলে আরও দেরি হতে পারে।