হাঁটতে পারলেই মাঠে থাকবেন স্টোকস
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন বেন স্টোকস। করেছেন মাত্র এক ওভার বোলিং। ইংলিশ গ্রীষ্মে আগামীকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর অ্যাশেজ, অধিনায়ক স্টোকসের ফিটনেস স্বাভাবিকভাবেই আছে আলোচনায়। তবে তিনি বলছেন, ‘শুধুমাত্র হাঁটতে না পারলেই’ তিনি খেলবেন না।
গত মার্চে হাঁটুর চোটের কারণে ইনজেকশন নিতে হয়েছিল স্টোকসকে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ টেস্টেও বোলিং করেননি তিনি। এরপর আইপিএল খেলতে গিয়ে পায়ের পাতায় আবার চোট পান, যেটির কারণে বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। পরে অবশ্য দলে সুযোগ পাননি। আইপিএল প্লে-অফের আগেই ইংল্যান্ডের প্রস্তুতির কারণে দেশে ফেরেন স্টোকস।
নিজের হাঁটু নিয়ে অবশ্য বেশ আশাবাদী ইংল্যান্ড অধিনায়ক। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘ওয়েলিংটনের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় আছে। চেন্নাইয়ের মেডিকেল দলের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি, তারা ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। নিজের শরীরের দিক দিয়ে আমি ২০১৯–২০ সালের মতো অবস্থায় আছি।’
এ সময়ের কঠোর পরিশ্রমের কথা বলতে গিয়ে স্টোকস বলেছেন, ‘আমি জানি, এই গ্রীষ্ম এবং এর আগের প্রস্তুতিতে নিজের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েই আমার আক্ষেপ থাকবে না। কারণ, আমি সব উজাড় করে দিয়ে খেটেছি। শুধুমাত্র তখনই আমি মাঠে থাকব না, যখন হাঁটাচলা করতে পারব না।’
স্টোকস এ মৌসুমের কোনো একপর্যায়ে গিয়ে বোলিং করবেন, এমন আশার কথা জানিয়েছিলেন প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও, ‘আমার মনে হয় গ্রীষ্মের কোনো একপর্যায়ে গিয়ে সে বোলিং করবে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সে বিশ্বমানের অলরাউন্ডার, সে বোলিং করতে পারলে তো দারুণ। না পারলেও আমরা একটা পথ খুঁজে নেব।’
স্টোকসের ফিটনেস নিয়েও দারুণ খুশি ম্যাককালাম, ‘স্টোকসি দারুণ উন্নতি করেছে। তাকে ফিট মনে হচ্ছে, দারুণ অবস্থায় আছে। হাসছে। দলে ফিরতে পেরে খুশি সে, আর আমাদের নেতা হিসেবে তার জীবনীশক্তি দুর্দান্ত। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণ করব, দেখা যাক কী হয়।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মৌসুম শুরু হলেও নিশ্চিতভাবেই ইংল্যান্ডের বড় আলোচনা আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজে ড্র করলেও ভস্মাধার ধরে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাককালাম-স্টোকসের অধীনে এবার নতুন কিছুর আশাতেই আছে ইংল্যান্ড। এ জুটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১২ টেস্টের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। তবে এই অ্যাশেজ দিয়েই তাঁর অধিনায়কত্ব সংজ্ঞায়িত হবে না, এমনও বলেছেন স্টোকস, ‘এই অ্যাশেজটা আমাদের পথচলার অংশ। যে পথচলা চলতেই থাকবে। অধিনায়ক বা খেলোয়াড় হিসেবে এটিই আমার শেষ নয়, দলের জন্যও নয়। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়েই যাব।’
অ্যাশেজেও তাঁদের খেলার ধরন বদলাবে না, সেটি অবশ্য আগেই বলেছেন স্টোকস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁদের আক্রমণাত্মক খেলার ধরন কতটা কার্যকরী হবে, আদতে হবে কি না, এমন আলোচনা প্রসঙ্গে স্টোকসের কথা, ‘এটা আসলে ইংলিশ মানসিকতা, কোনো কিছুকে সরাসরি নেতিবাচক বানিয়ে ফেলা। আমরা যেসব দলের বিপক্ষে খেলেছি, প্রতিটি দলের সঙ্গে খেলার সময়ই বলা হয়েছে—সে দলের বিপক্ষে খেলা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’
এরপর স্টোকস যোগ করেন, ‘এভাবেই নিজেদের সেরা খেলাটা বের করে আনতে পারি আমরা। যাদের বিপক্ষে খেলি, প্রতিটি দলই চ্যালেঞ্জ। তবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই একই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হয় আমাকে।’