আকাশ মেঘলা ছিল, ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। তবে মিরপুরে আজ অগ্রণী ব্যাংক-পারটেক্স ম্যাচ শেষ পর্যন্ত কোনো বাধা ছাড়াই শেষ হয়েছে। আর সেই ম্যাচ মহানাটকীয়তার পর জিতেছে পারটেক্স। তবে বিকেএসপির দুটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়েছে।
তিন নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের। পাশের মাঠে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিপক্ষ ছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু দুটি ম্যাচেই বৃষ্টি ও আলোক স্বল্পতায় টসই হয়নি।
বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় সুপার লিগে ওঠার পথে ধাক্কা খেয়েছেন গুলশান ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এই ম্যাচটি জিতলে গুলশান পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে যেতে পারত। অন্যদিকে লিজেন্ডস জিতলে উঠে যেত পাঁচে। পয়েন্ট ভাগাভাগির পর ৭ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আছে গুলশান। সমান ম্যাচে ৩ জয় পাওয়া লিজেন্ডস ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাতে। সুপার লিগে উঠবে শীর্ষ ছয়টি দল।
মেঘ বা বৃষ্টি ছিল মিরপুরেও। তবে থেমে থেমে হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ভেতরই সকালে ফ্লাডলাইট আর দুপুরের পর সূর্যের আলোয় খেলা হয়েছে। নাটকীয় ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ১ উইকেটে জয় পেয়েছে পারটেক্স। সপ্তম ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়,সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক আছে চারে।
টস হেরে ব্যাট করা অগ্রণী ব্যাংক শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে করে ২১৮ রান। ৮৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৪৮ বলে করেন ৩১ রান, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩৯ বলে করেন ১৯ রান। পারটেক্সের হয়ে ১০ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। ২ উইকেট করে পান মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু ও জাওয়াদ রোয়েন।
রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় ওভারেই ৩ রানে ওপেনার জয়রাজ শেখকে হারানো পারটেক্স ৯১ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর ৭০ রানের জুটি গড়েন আহরার আমিন ও মোহাম্মদ রাকিব। ৪৭ বলে ২২ রান করে আহরারের বিদায়ের পর জাওয়াদ রোয়েনকে (১৮) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪২ রান যোগ করেন রাকিব।
তবে ২০৩ থেকে ২০৯—এই ৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পারটেক্স। ১৬ বলে ১২ থেকে শেষ ওভারে তাদের ১ উইকেট হাতে রেখে দরকার হয় ১০ রান। এখানেও নাটকীয়তার শেষ হয়নি।
প্রথম বলে ডট দেওয়ার পর দ্বিতীয়টিতেই চার মারেন রাকিব। ৭৬ বলে ফিফটি ছুঁয়ে বাকি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন নাঈম হাসান।
চতুর্থ বলে তাইবুর রহমানকে আবার চার মারেন রাকিব। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান আবদুল গাফফারকে স্ট্রাইকে নিয়ে আসেন তিনি, ততক্ষণে ম্যাচ টাই হয়ে গেছে। শেষ বলে দরকার ছিল এক রানই। কোনো রকম ব্যাট ছুঁয়ে শেষ বলে দৌড় শুরু করেন গাফফার।
দুই ব্যাটসম্যান দাগ ছুতেই ম্যাচ জেতার আনন্দে পারটেক্সের ক্রিকেটাররাও ছুটে আসেন ড্রেসিংরুম থেকে। ১০৩ বলে ৫ চার ও সমান ছক্কায় ৮০ রান করে তাদের নায়ক হন এদিন রাকিব।