রেকর্ড পরাজয় থেকে সাকিব যা শিখলেন
হারটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ হওয়ার কথা নয়, হয়ওনি। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০১ রানেই। ১০৪ রানের বিশাল হার, যেটা রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়।
এমন ধাক্কার পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেদের বোলিংয়ের দিকেই আঙুল তুলবেন স্বাভাবিক। তা তুলেছেনও।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘প্রথম ওভারের পর আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। উইকেটটা ভালো ছিল। রাইলি রুশো দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। কুইন্টনও ভালো খেলেছে। ওদের দুজনের জুটিটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’
প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু এরপর আর বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তা পায়নি। পরে আর উইকেট নিতে না পারাটাকেই সর্বনাশের মূল বলে মনে করছেন সাকিব, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করিনি। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। যেহেতু উইকেট ভালো ছিল, আগের দিন এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যা করেছে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও তা–ই করেছে। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দুজন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে গেছে।’
এ তো গেল বোলিংয়ের কথা। আজকের ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সাকিবের কথায়ও এসেছে ব্যাটিং–দুর্বলতার বিষয়টি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি ও বাউন্সের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমাদের বাউন্স ও পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে।’