- জাকেরকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিলেন মুশফিক
- টেস্ট শুরুর আগে কি প্রোটিয়াদের মন খারাপ
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে মাত্র ১ পেসার
- প্রথম ওভারে ৬ রান
- ফিরে গেলেন সাদমান
- এবার আউট মুমিনুল
- ২১ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের
- রাবাদার ৩০০
- মুশফিকের পর লিটনকেও ফেরালেন রাবাদা
- ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
- মিরাজকে ফেরালেন মহারাজ
- ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
- পিটের শিকার মাহমুদুল, মহারাজের শিকার জাকের
- তাইজুল–নাঈম টানছেন বাংলাদেশের ইনিংস
- ফিরে গেলেন নাঈম
- ১০০ পেরিয়ে অলআউট বাংলাদেশ
- মিরপুরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন টেস্ট ইনিংস বাংলাদেশের ১০৬
- প্রথম ওভারেই উইকেট পেল বাংলাদেশ
- মিরাজের বলে ক্যাচ ফেললেন মাহমুদুল
- তাইজুলের আঘাত
- হাসান ও তাইজুলের উইকেট
- এবার তাইজুলের শিকার বেডিংহাম
- তাইজুলের বল ছেড়ে বোল্ড ব্রিটজকে
- ইনিংসে তাইজুলের ১৩তম ৫ উইকেট
- আলোক স্বল্পতার কারণে আগেভাগেই শেষ দিনের খেলা
- মিরপুরের উইকেট আজও গতকালের মতো
- দ্বিতীয় দিনে ভালো শুরু প্রোটিয়াদের
- মিরাজ কি পারবেন
- রেকর্ড জুটি
- মুল্ডারের প্রথম
- মুল্ডারের পর মহারাজকে আউট করলেন হাসান
- হ্যাটট্রিক হলো না হাসানের
- প্রথম সেশন দক্ষিণ আফ্রিকার
- সেঞ্চুরির পথে ভেরেইনা
- ভেরেইনার সেঞ্চুরি
- অবশেষে উইকেট পেলেন মিরাজ
- ৩০৮ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২ রানের লিড
- রাবাদার জোড়া আঘাতে টালমাটাল বাংলাদেশ
- ভুলে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্স!
- দ্বিতীয় সেশনও দক্ষিণ আফ্রিকার
- মাত্র ৩!
- মিরপুর টেস্টে প্রথমবার
- চলতি বছরে নাজমুল
- বড় সংগ্রহ গড়তে পারবে বাংলাদেশ?
- ভয়ংকর রাবাদা
- যেভাবে আউট লিটন
- ফিরছে কি সেই মিরপুর টেস্ট?
- মিরাজ–জাকেরের প্রতিরোধ
- ফিফটির পথে মিরাজ
- আবারও ব্যাটসম্যান মিরাজ
- লাল বলের জাকের
- বাংলাদেশের ভালো শুরু
- অভিষেক টেস্টে জাকেরের ফিফটি
- ফিরলেন জাকের
- রেকর্ড জুটি
- বৃষ্টিতে আপাতত বন্ধ খেলা
- শুধু স্পিনার!
- আজ কি আর খেলা হবে?
- তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
- নতুন বলের পরীক্ষা
- শুরুতেই ধাক্কা
- দুর্দান্ত রাবাদা!
- সেঞ্চুরি কি পাবেন মিরাজ?
- রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে
- মেডেন নিয়ে বাংলাদেশের শুরু
- কী হলো তাইজুলের!
- মার্করাম আউট নন!
- সেই তাইজুলকেই উইকেট দিলেন মার্করাম
- তাইজুল ছাড়া আর কে!
জাকেরকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিলেন মুশফিক
বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টে আপনাকে স্বাগতম।
আগের দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিবিয়ানদের সঙ্গে সাকিববিরোধীদের মধ্যে ঝামেলার ঘটনা ঘটেছিল। সেটা মনে রেখেই হয়তো স্টেডিয়াম এলাকায় আজ রাখা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। এককথায় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
বিপুল নিরাপত্তার মধ্যেই মাঠে এসেছে দুই দল। এরই মধ্যে একটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে গেছে—টেস্ট অভিষেক হচ্ছে জাকের আলীর। তাঁকে এরই মধ্যে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট শুরুর আগে কি প্রোটিয়াদের মন খারাপ
বাংলাদেশ সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা দল খবরটি কাল রাতেই পেয়েছে—দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি হৃদয় ভাঙা ফাইনাল কেটেছে কাল রাতে। নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের। এটা হয়তো মন খারাপ করে দিয়ে থাকবে মার্করাম–রাবাদাদেরও।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে মাত্র ১ পেসার
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। নাজমুলের মনে হচ্ছে, মিরপুর শেরেবাংলার পিচ শুষ্ক এবং এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটা সহজ হবে না।
এ ধরনের পিচ বরাবরই স্পিনবান্ধব। সেটি মাথায় রেখে একাদশে একমাত্র পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদকে রেখেছে বাংলাদেশ। তিন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান।
কানপুরে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন সাকিব আল হাসান, জাকির হাসান ও খালেদ আহমেদ। তাঁদের জায়গা পূরণ করেছেন জাকের আলী, মাহমুদুল হাসান ও নাঈম হাসান।
বাংলাদেশের একাদশ:
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ ও নাঈম হাসান।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ:
এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহাম, রায়ান রিকেলটন, ম্যাথু ব্রিটজকে, কাইল ভেরেইনা (উইকেটকিপার), উইয়ান মুল্ডার, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও ডেন পিট।
প্রথম ওভারে ৬ রান
রাবাদার প্রথম ওভার থেকে ৬ রান এসেছে। মাহমুদুল হাসান করেছেন ২ রান। ৪ রান এসেছে লেগ বাই থেকে।
ফিরে গেলেন সাদমান
উইয়ান মুল্ডারের বলে আউট কোনো রান না করেই আউট হয়ে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। ফুল লেংথ ডেলিভারি ছিল। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বল চলে যাচ্ছিল। ইনিংসের শুরুতে সেই বল চেজ করে অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। উইকেটে এসেছেন মুমিনুল হক।
এবার আউট মুমিনুল
শুরু থেকে নড়বড়ে মনে হচ্ছিল মুমিনুল হককে। যদিও উইয়ান মুল্ডারের ওভারে দ্বিতীয় বলে চার মেরে জড়তা কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু টিকতে পারলেন না। ওভারের চতুর্থ বলটা মিডল স্টাম্পে ফেলে কিছুটা সুইং করিয়েছিলেন মুল্ডার। সেই বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনাকে ক্যাচ দিলেন মুমিনুল।
২১ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের
সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের পর ফিরে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও। ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার উইয়ান মুল্ডার। নাজমুলের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।
রাবাদার ৩০০
টেস্ট ক্রিকেটে কাগিসো রাবাদার ৩০০তম শিকার মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েছেন রাবাদা। তাঁর আগে যে পাঁচ দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন, তাঁরাও সবাই পেসার—অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, মাখায়া এনটিনি, মরনে মরকেল ও ডেল স্টেইন।
মুশফিকের আউটে ৪০ রানে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। রাবাদার অফ সাইডে পিচ করা বলটি দ্রুত ভেতরের দিকে আসে। মুশফিক একটু দেরিতেই লাইন কাভার করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। উপড়ে যায় স্টাম্প।
মুশফিকের পর লিটনকেও ফেরালেন রাবাদা
এ কি পাখি, নাকি উড়োজাহাজ! বলটি তাঁর বাঁ দিক দিয়ে চলে যাচ্ছিল। ট্রিস্টান স্টাবস উড়লেন এবং ছো মেরে ক্যাচটি নিলেন। ঠিক যেন বাজপাখি শিকার ধরল! রাবাদার বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে লিটনের দিকে যাচ্ছিল। আলতো হাতে শট খেললেন তিনি। বল চলে যাচ্ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্লিপের মধ্য দিয়ে। কিন্তু স্টাবস সেটাকে আর যেতে দিলেন কই!
বাংলাদেশ ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল। লাঞ্চ বিরতির আগেই বাংলাদেশের অর্ধেক ব্যাটসম্যান শেষ।
৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের পর ফিরে গেছেন লিটন দাসও। ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৫০ রান পেরিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন মাহমুদুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
মিরাজকে ফেরালেন মহারাজ
রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ফুলিশ লেংথের আর্ম বল দিয়েছিলেন কেশব মহারাজ। টার্ন করবে ভেবে মিরাজ সামনের পায়ে এসে বলটি খেলেন। বল আঘাত করে তাঁর সামনের প্যাডে। আম্পায়ার নিতিন মেনন আঙুল তুলে আউট ঘোষণা করেন। মিরাজ রিভিউ নেন। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে নিতিন মেননের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
মিরাজের আউটে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এই আউটের সঙ্গে সঙ্গেই লাঞ্চ বিরতি হয়ে গেছে।
৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
উইকেট শুষ্ক হবে, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হবে—টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার কারণ হিসেবে এটাই বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। কিন্তু টেস্টের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির আগেই ৬০ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। আউট হয়ে গেছেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের ৬ উইকেটের প্রথম ৫টিই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার উইয়ান মুল্ডার ও কাগিসো রাবাদা। মুল্ডার নিয়েছেন ৩ উইকেট, রাবাদা ২টি। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন স্পিনার কেশব মহারাজ।
পিটের শিকার মাহমুদুল, মহারাজের শিকার জাকের
প্রথম সেশনে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের উইকেট পতনের মিছিল দ্বিতীয় সেশনেও থামেনি। শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা দাপট দেখালেও এখন স্পিনাররা ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন। লাঞ্চ বিরতির পর ২ বলের ব্যবধানে আউট হলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও অভিষিক্ত জাকের আলী।
ইনিংসের ৩০তম ওভার করতে আসেন ডেন পিট। এই অফ স্পিনারের ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারেন মাহমুদুল। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে পরেরটা করেন আর্ম ডেলিভারি। সেই বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন মাহমুদুল। শেষ হয় তাঁর ৯৭ বলে ৩০ রানের ‘সংগ্রামী’ ইনিংস।
পরের ওভারে মহারাজ তাঁর তৃতীয় বল খানিকটা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। তাতে প্রলুব্ধ হয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জাকের। বড় শট খেলতে গিয়ে হন স্টাম্পড। টেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ১৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করে ফিরলেন তিনি।
তাইজুল–নাঈম টানছেন বাংলাদেশের ইনিংস
৭৬ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টানছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটা ১০০–এর ওপারে নিয়ে গেছেন তাঁরাই।
ফিরে গেলেন নাঈম
৭৬ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর তাইজুল ইসলামের সঙ্গে জুটি গড়ে বাংলাদেশের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন নাঈম। কিন্তু প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০০ পার করার পর আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। ১০২ রানে নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নাঈম আউট হয়েছেন ৮ রানে। রাবাদার বলে মুল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরার আগে নবম উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি গড়েছেন নাঈম। বাংলাদেশের ইনিংসে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
১০০ পেরিয়ে অলআউট বাংলাদেশ
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে ফিরলেন তাইজুল ইসলাম। কেশব মহারাজের ফুল লেংথের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পড়েছিল, হয়তো পিচের কোনো ক্ষতে। বল পিচ করেই দ্রুত টার্ন নিয়ে ভেঙে দেয় তাইজুলের স্টাম্প। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান এসেছে তাইজুলের ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মুল্ডার, রাবাদা ও মহারাজ। অন্য উইকেটটি ডেন পিটের।
মিরপুরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন টেস্ট ইনিংস বাংলাদেশের ১০৬
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টে সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটি বাংলাদেশেরই, ৮৭ রান। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রানে আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজকের ১০৬ রান এখানকার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে এটাই এই মাঠের সর্বনিম্ন রান।
বিদেশি দলগুলোর মধ্যে মিরপুরে সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় এবং নিজেদের প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ১১১ রান।
প্রথম ওভারেই উইকেট পেল বাংলাদেশ
কী দারুণ এক ডেলিভারি! হাসান মাহমুদের ব্যাক অব লেংথের বলটি অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পরে মুভ করে ভেতরে ঢোকে। মার্করাম বুঝতেই পারেননি। তাঁর ব্যাটের পাশ ঘেষে বলটি লাগে মিডল স্টাম্পের ঠিক ওপরে। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিরাজের বলে ক্যাচ ফেললেন মাহমুদুল
লেগ স্টাম্পে ব্যাক অব লেংথের বল ছিল। মিরাজের বলটিতে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। ক্যাচটি দ্রুতই মাহমুদুলের কাছে গিয়েছিল, কিন্তু সোজা গিয়েছিল তাঁর হাতে। সেটি তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি।
তাইজুলের আঘাত
অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝখানে পিচ করা বলটি বাড়তি একটু বাউন্স করে টার্ন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। পা না নাড়িয়ে শট খেলতে গিয়েছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। ব্যাটের কানা নিয়ে বল চলে যায় স্লিপে। এবার সহজেই ক্যাচটি নেন সাদমান ইসলাম। ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
হাসান ও তাইজুলের উইকেট
প্রথম সেশনে ১০৬ রানে করে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ফিল্ডিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট নিতে পেরেছেন নাজমুল হোসেনের দল। মার্করামকে বোল্ড করে প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২ উইকেটে ৬৫ রান নিয়ে চা–বিরতিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এবার তাইজুলের শিকার বেডিংহাম
চা–বিরতির আগে আউট করেছিলেন ট্রিস্টান স্টাবসকে। চা–বিরতির পর ডেভিড বেডিংহামকেও ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২০তম ওভারের তৃতীয় বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন তাইজুল। ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই কাট করতে গিয়েছিলেন বেডিংহাম। তবে বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে।
বেডিংহামের আউটের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রায়ান রিকেলটন। ২০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৭৩।
তাইজুলের বল ছেড়ে বোল্ড ব্রিটজকে
কী খেললেন ব্রিটজকে! ওভারের প্রথম বলটাও এ রকমই করেছিলেন তাইজুল। সেটি টার্ন করে বেরিয়ে গিয়েছিল। এ বলটাও সেরকমই হবে বলে ভেবেছিলেন ব্রিটজকে। তবে অফ স্টাম্পের ওপর পিচ করে বলটি সোজা ঢুকে গেছে। বলটি ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন ব্রিটজকে।
এটা নিয়ে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তাইজুল। টেস্ট ক্রিকেট ২০০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার তিনি। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান। ২৪৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এই তালিকায় তাইজুলের পরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮৩ উইকেট)।
ইনিংসে তাইজুলের ১৩তম ৫ উইকেট
অফ স্টাম্পের বাইরে ভালো লেংথের বল ছিল। পিচের ক্ষতে পড়ে বল স্কিড করেছে। কাট করার জন্য পেছনের পায়ে গিয়েছিলেন রিকেলটন। কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে চলে যায় উইকেটকিপারের কাছে। ইনিংসে আরেকবার ৫ উইকেট পেলেন তাইজুল, টেস্ট ক্যারিয়ারে যা ১৩তম।
১০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আলোক স্বল্পতার কারণে আগেভাগেই শেষ দিনের খেলা
দিনের খেলা আরও ৬ ওভার বাকি ছিল। কিন্তু মিরপুর স্টেডিয়ামে দেখা দিল আলোক স্বল্পতা। আগেভাগেই তাই শেষ হলো দিনের খেলা। এর আগে ৬ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে তারা ৩৪ রানে, হাতে এখেনা ৪ উইকেট আছে প্রোটিয়াদের।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট পান এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে খেলা একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদ। তিনি এইডেন মার্করামকে বােল্ড করে ফেরানোর পর বাকি ৫ উইকেটই নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এটি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসে ১৩তম ৫ উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশকে লাঞ্চের ঠিক আগে ১০৬ রানে অলআউট করতে ৩টি করে উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, উইয়ান মুল্ডার ও কেশব মহারাজ। নিজের প্রথম উইকেটটি পেয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রাবাদা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান।
মিরপুরের উইকেট আজও গতকালের মতো
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতম। ৩৪ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে শন পোলক জানালেন আজও উইকেটে গতকালের মতো সুইং থাকবে। সকালের শুরুতে পেসাররা সুবিধা পাবেন। স্পিনাররাও টার্ন পাবেন বলে মনে করেন পোলক।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে।
দ্বিতীয় দিনে ভালো শুরু প্রোটিয়াদের
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনে প্রথম ৪ ওভারে ১৩ রান তুলেছে তারা। দিনের চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে ১৫০ রান পার করেছে প্রোটিয়ারা।
মিরাজ কি পারবেন
দ্বিতীয় দিনে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ। হাসান–তাইজুলরা উইকেট নিতে পারেননি, মিরাজ কি পারবেন ? দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬ উইকেটে ১৭৩। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড এখন ৬৭ রানের।
রেকর্ড জুটি
মুল্ডার-ভেরেইনার জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৮১ রান। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ রানের জুটিতেও ছিলেন মুল্ডার। ২০২২ সালে পোর্ট এলিজাবেথে কেশব মহারাজকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৯।
২০২২ সালে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন সাতজন। সে বছর যাদের অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ...
মুল্ডারের প্রথম
মুল্ডারের পর মহারাজকে আউট করলেন হাসান
মুল্ডারকে স্লিপে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে ১১৯ রানের জুটি ভেঙেছিলেন হাসান। আবার পরের বলেই হাসান ফিরিয়েছেন কেশব মহারাজকে। হাসানের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল ভেতরে ঢুকলে আটকাতে পারেননি মহারাজ। অফ স্টাম্প উড়ে গেছে! দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৮ উইকেটে ২২৭।
হ্যাটট্রিক হলো না হাসানের
নিজের করা সর্বশেষ ওভারের শেষ দুই বলে মুল্ডার ও মহারাজকে ফিরিয়েছিলেন হাসান। নতুন ওভারের প্রথম বলে বোলার ডেন পিট স্ট্রাইকে থাকায় হ্যাটট্রিকের দারুণ একটা সুযোগ ছিল হাসানের। তবে সেটা আর হয়নি।
প্রথম সেশন দক্ষিণ আফ্রিকার
মিরপুরে স্পিনারদের কীভাবে আটকাতে হবে, সেটাই বোধ হয় দেখালেন ভেরেইনা। তাইজুল, নাঈমদের বিপক্ষে একের পর সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলে ভেরেইনা অপরাজিত আছেন ৭৭ রানে। তাঁর এই দুর্দান্ত ইনিংস ও মুল্ডারের প্রথম ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল তারা। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড এখন পর্যন্ত ১৩৭ রানের। মিরপুর স্পিনারদের স্বর্গ হলেও দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। ইনিংসের ৬৫তম ওভারের শেষ দুই বলে মুল্ডার ও মহারাজকে আউট করেছিলেন এই পেসার।
সেঞ্চুরির পথে ভেরেইনা
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেও সাবলীল ক্রিকেট খেলছেন ভেরেইনা। অপরাজিত আছেন ৯১ রানে। উইকেটে তাঁর নতুন সঙ্গী ডেন পিটকেও খুব বেশি বিপদে ফেলতে পারছেন না বাংলাদেশের স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৬ রান।
ভেরেইনার সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কাইল ভেরেইনা। মিরপুরে ব্যাটসম্যানদের জন্য তুলনামূলক কঠিন এই উইকেটে নিজের সুইপ ও রিভার্স সুইপে ভরসা করেই বড় ইনিংস খেলছেন ভেরেইনা। এমনকি ৯৯ থেকে শতকে পৌঁছেছেনও সুইপ করেই।
ভেরেইনা সপ্তম উইকেটে মুল্ডারের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটির পর ডেন পিটের সঙ্গে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটি। এই দুই জুটিতেই ম্যাচ অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার রান এখন ৮ উইকেটে ২৯২। লিড ১৮৬ রানের।
অবশেষে উইকেট পেলেন মিরাজ
এর আগে ১৪ ওভার বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। অবশেষে মিরপুর টেস্টে উইকেট পেলেন বাংলাদেশের অফ স্পিনার। মিরাজের ফুল লেংথের বলটি ব্যাটে নিতে পারেননি পিট, আঘাত করে তাঁর প্যাডে। মিরাজের আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নেন পিট। পরে অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
৩০৮ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২ রানের লিড
২০২ রানের লিড নেওয়ার পর অলআউট হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনাকে স্টাম্পড করে প্রোটিয়া ইনিংসের সমাপ্তি টেনে দেন লিটন দাস। অলআউট হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৩০৮ রান।
১১৪ রান করে আউট হয়েছেন ভেরেইনা। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ১৪৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও ২টি ছক্কায়। ভেরেইনাকে ফেরানোর আগে মিরাজ ফিরিয়েছেন ড্যান পিটকেও।
রাবাদার জোড়া আঘাতে টালমাটাল বাংলাদেশ
সাদমান ইসলামকে লেগ স্লিপে টনি ডি জর্জির ক্যাচ বানানোর ৩ বল পরেই মুমিনুল হককে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন কাগিসো রাবাদা। ১ রানে ফিরেছেন সাদমান, মুমিনুল কোনো রান করতে পারেননি। ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ করেছে ২ উইকেটে ৪ রান।
ভুলে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্স!
দ্বিতীয় সেশনও দক্ষিণ আফ্রিকার
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ ৪ রানেই হারিয়েছে ২ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব এখন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও ওপেনার মাহমুদুল হাসানের। ২ উইকেটে ১৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। এখনো পিছিয়ে ১৮৩ রানে।
মাত্র ৩!
প্রথম ইনিংসে ২০২–এর বেশি রানে পিছিয়ে থাকার পর বাংলাদেশ হারেনি মাত্র ৩টি টেস্টে। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ বেঁচেছে বৃষ্টিতে, অন্যটি তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের ওপেনিং জুটিতে।
মিরপুর টেস্টে প্রথমবার
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ২৬ রানের। সেটিও এসেছিল দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের জুটিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৬। এখনো পিছিয়ে ১৪৬ রানে।
ইনিংস বড় করতে পারলেন না নাজমুল
আম্পায়ারের জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া কঠিন কিছু ছিল না। মহারাজের করা আউটসাইড অফ স্টাম্পের ফুল ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গেলে নাজমুলের প্যাডে বল লাগে। তাতে এলবিডব্লিউ হয়ে ২৩ রান করে বিদায় নেন নাজমুল। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৫৯।
চলতি বছরে নাজমুল
মুশফিকের ৬০০০
প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁলেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ টেস্টে এসে এই কীর্তি গড়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের, ৫১৩৪।
৩ উইকেটে ১০১
দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা হলো বাজে। ৪ রানেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ২ উইকেট। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন ও মাহমুদুল হাসানের ৫৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলেছে বাংলাদেশ। নাজমুল ২৩ রানে আউট হলেও মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা পার করে দেন মাহমুদুল। আলোক সল্পতায় খেলা বন্ধের আগে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০১। ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল। ২৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত মুশফিকুর। ৩১ রানের ইনিংস খেলার পথে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ১০১ রানে।
বড় সংগ্রহ গড়তে পারবে বাংলাদেশ?
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১০১। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে হলে করতে হবে আরও ১০১। অবশ্য জয়ের লক্ষ্য থাকলে অনেক দূরে যেতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের জন্য এমন কঠিন সমীকরণের তৃতীয় দিনে সবাইকে স্বাগত।
ভয়ংকর রাবাদা
প্রথম ফিরলেন মাহমুদুল হাসান। রাবাদার বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে বেডিংহামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর একই ওভারে আউট হয়েছেন মুশফিকও। রাবাদার ভেতরে ঢোকা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্প উড়ে গেছে মুশফিকের। অনেকটাই প্রথম ইনিংসের মতো। বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১০৬ রান। এখনো পিছিয়ে ৯৬ রানে।
যেভাবে আউট লিটন
ফরোয়ার্ড ডিফেন্স খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। কেশব মহারাজের ধীর গতির বল টার্ন করে লিটনের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় কাইল ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার মহারাজের আবেদনে সাড়া না দিলে একেবারে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। সেটি সফলও হয়।
লিটন ফিরেছেন ৭ রান করে। ১১২ রানে নেই বাংলাদেশের ৬ উইকেট। এখনো পিছিয়ে ৯০ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত জাকের আলী।
ফিরছে কি সেই মিরপুর টেস্ট?
দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে করেছে ৩০৮। তাতেও ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। হাতে উইকেট আছে ৪, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে রান লাগবে ৭৫।
২০২১ সালে এই মিরপুরেই প্রথম ইনিংসে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
মিরাজ–জাকেরের প্রতিরোধ
জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মিরাজ। মিরাজ ব্যাটিং করছেন ২১ রান নিয়ে, জাকের ১১ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৫। এখনো পিছিয়ে ৫৭ রানে।
ফিফটির পথে মিরাজ
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন যখন ফেরেন তখনো ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯০ রান। এমন পরিস্থিতি থেকে অভিষিক্ত জাকেরকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েছেন মিরাজ। গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটি। মিরাজ ব্যাটিং করছেন ৪৭ রান নিয়ে। জাকের তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন, অপরাজিত আছেন ২২ রানে।
আবারও ব্যাটসম্যান মিরাজ
দলের প্রয়োজনে আরও একবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন মিরাজ। পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় এই ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা অনেকটাই দূর করেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে মিরাজ ছন্দেই ছিলেন। ভারত সফরে রান না পেলেও পাকিস্তান সফরের দুই টেস্টে দুটি ফিফটি করেছিলেন মিরাজ। সেই ফিফটি দুটোও এসেছিল দলের বিপদের সময়ে। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৯৬।
লাল বলের জাকের
পাল্টা প্রতিরোধ
৩ উইকেটে ১০১ রান থেকে ৬ উইকেটে ১১২— ইনিংস হার চোখরাঙানি দিচ্ছিল। কারণ তখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে ৯০ রানে। এমন পরিস্থিতিতে ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হিসেবে আবারও মেহেদী হাসান মিরাজের আবির্ভাব। নিজে ফিফটি করেছেন, অভিষিক্ত জাকের আলীকে নিয়ে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। ৬ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত ৫৫ রানে, জাকের ৩০ রানে। বাংলাদেশ পিছিয়ে মাত্র ১ রানে। অর্থাৎ, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে নামা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। কাগিসো রাবাদার করা ওভারে তিন বলের মধ্যেই আউট হয়েছেন দিন শুরু করা দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। রাবাদার বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে বেডিংহামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল। এরপর রাবাদার ভেতরে ঢোকা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্প উড়ে গেছে মুশফিকের। অনেকটাই প্রথম ইনিংসের মতো একইভাবে বোল্ড হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। লিটন দাসও কিছুই করতে পারেননি। কেশব মহারাজের বলে আউট হয়েছেন ৭ রান করে।
বাংলাদেশের ভালো শুরু
ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় সেশন। প্রথম ৩ ওভার থেকে রান উঠেছে ১৩। মিরাজ ৫৯ ও জাকের ৩৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন।
অভিষেক টেস্টে জাকেরের ফিফটি
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছিলেন মাত্র ২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সেটাও এসেছে দলের বিপদের সময়ে। মোসাদ্দেক হোসেনের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৮ নম্বরে নেমে অভিষেক টেস্টে ফিফটি করেছেন জাকের। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মিরাজের সঙ্গে মিলে অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি গড়েছেন। বাংলাদেশের লিড ৩৭ রানের।
ফিরলেন জাকের
মিডল-লেগ স্টাম্পে করা মহারাজের করা আর্ম ডেলিভারি প্যাডে লাগে জাকেরের। মহারাজরা অনেকটা নিশ্চিতই ছিলেন। খুব বেশি আবেদনও করেননি। জাকের রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বল আঘাত হেনেছে লেগ স্টাম্পে। ৫৮ রান করে ফিরেছেন জাকের।
বাংলাদেশের লিড ৫০ রান। সেই ওভারেই নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকেও এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন নাঈম।
রেকর্ড জুটি
বৃষ্টিতে আপাতত বন্ধ খেলা
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান তোলার পর বৃষ্টি এসে বন্ধ করে দিয়েছে খেলা। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭, নাঈম হাসান ১২ রানে ব্যাট করছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৬৫ রানে।
শুধু স্পিনার!
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও আলোকস্বল্পতায় বল করতে পারবেন না পেসাররা। বৃষ্টির পর খেলার শুরুর পর থেকেই বোলিং করছেন এইডেন মার্করাম ও কেশব মহারাজ।
আজ কি আর খেলা হবে?
আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধের আগে তৃতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৫ ওভার। রান উঠেছে ১৬। ৮৭ রানে ব্যাটিং করছেন মিরাজ, নাঈম অপরাজিত ১৬ রানে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৩, লিড ৮১ রানের।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
১০১ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৬ উইকেট। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় আজ সারা দিন খেলা হয়েছে ৫৭.৫ ওভার। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১৮২ রান। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২৮৩।
এর কৃতিত্বটা মূলত মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর এই জুটি থেকে এসেছে রেকর্ড ১৩৮ রান। জাকের ৫৮ রানে আউট হলেও মিরাজ অপরাজিত আছেন ৮৭ রানে। বাংলাদেশের লিড ৮১ রান।
নতুন বলের পরীক্ষা
লিড ৮১ রানের, হাতে উইকেট আছে ৩টি। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ দিতে পারে, সেটাই এখন প্রশ্ন। বড় লক্ষ্য দেওয়া অবশ্য মোটেই সহজ হবে না। কারণ, চাইলেই এখন নতুন বল নিতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিরাজ অপরাজিত আছেন ৮৭ রানে। নাঈম দিন শুরু করবেন ১৬ রান নিয়ে।
শুরুতেই ধাক্কা
শুরুটা ভালো করতে হতো বাংলাদেশের। সেটা হলো না। কাগিসো রাবাদার নিচু হয়ে আসা ইনসুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়েছেন নাঈম। রাবাদার ৫ উইকেট। বাংলাদেশের রান এখন ৮ উইকেটে ২৮৮।
দুর্দান্ত রাবাদা!
সেঞ্চুরি কি পাবেন মিরাজ?
৯৮ রানে অপরাজিত মিরাজ। তাইজুল ফেরার পর উইকেটে এসেছেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের লিড ১০২।
সেঞ্চুরি পেলেন না মিরাজ
৮৭ রানে দিন শুরু করেছিলেন। করতে পেরেছেন আর ১০ রান। নাঈম, তাইজুলকে হারানোর পর কিছুটা তাড়াহুড়ো করছিলেন মিরাজ। রাবাদার করা শর্ট অফ লেংথে করা ডেলিভারিতে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন এই অলরাউন্ডার। ৩০৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১০৬ রান।
রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে
মেডেন নিয়ে বাংলাদেশের শুরু
দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যটা আরও বড় হলেও হতে পারত। চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মাত্র ২৪ রান। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। শুরুটা হয়েছিল নাঈম হাসানকে দিয়ে। ১৬ রান অপরাজিত থাকা নাঈম আউট হন দিনের তৃতীয় বলেই। এরপর তাইজুলও উইকেটে টিকতে পারেননি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মিরাজ। লক্ষ্য ছোট হলেও বাংলাদেশেরই উজ্জীবিত থাকার কথা। কারণ, এই টেস্টে তো ইনিংসে ব্যবধানে হারার শঙ্কা ছিল বাংলাদেশের!
১০৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৮।
কী হলো তাইজুলের!
লক্ষ্য ছোট। জিততে হলে দলের অন্যতম সেরা বোলার তাইজুলকে জ্বলে উঠতেই হবে। তবে তিনি আপাতত নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। প্রথম দুই ওভারে বাউন্ডারি দিয়েছেন ৪টি। ৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৭।
মার্করাম আউট নন!
তাইজুলের বলে সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মার্করাম। বল পায়ে লাগলে আউট দেন আম্পায়ার। তবে মার্করাম নেন রিভিউ। আল্ট্রাএজে দেখা যায় মার্করামের ব্যাটে লেগেছে বল। ৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৯।
সেই তাইজুলকেই উইকেট দিলেন মার্করাম
আগের বলটি টার্ন করে বেরিয়ে গেছে। তাইজুল পরের বলটি করলেন স্লাইডার। তাতে ব্যাট–প্যাডের মধ্যে থাকা গ্যাপ দিয়ে বোল্ড হন মার্করাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৪২।
তাইজুল ছাড়া আর কে!
মার্করামের পর আরেক ওপেনার ডি জর্জিকে আউট করেছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বড় শট খেলতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৭২। মিরপুর টেস্ট জিততে প্রয়োজন ৩৪ রান।
টেস্ট চলছে ভারত–পাকিস্তানেও
ঘরের মাঠে ভারত খেলছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মাটিতে ৩৬ বছর পর টেস্ট জিতেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে পাকিস্তান খেলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানে ৩ ম্যাচের সিরিজ আছে ১–১ সমতায়।
বেডিংহাম আউট
মিরপুর টেস্ট জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার আর মাত্র ৯ রান প্রয়োজন। শেষ সময়ে হারের ব্যবধান কমালেন তাইজুল। ফেরালেন বেডিংহামকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৯৭।
প্রথম ইনিংসের আক্ষেপ!
মিরপুর টেস্টের ফল হয়তো প্রথম ইনিংসেই নির্ধারণ হয়ে গেছে। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১০৬ রানে। এর সুযোগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২ রানের লিড নেয়। মিরপুরের এই মাঠে ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে টেস্টে লড়াই করাটাও কঠিন। বাংলাদেশ অবশ্য লড়াই করতে পেরেছে।
২০২ রানের লিড টপকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তারা। তবে এরপরও বাংলাদেশের হার ৭ উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকা মূলত হেসেখেলেই এই রান তাড়া করেছে। এশিয়ায় গত ১০ বছরে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট জয়।
বাংলাদেশের লড়াইয়ের কৃতিত্বটা মূলত মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটির। ৬ উইকেটে ১১২ রান করা বাংলাদেশ এই জুটির কল্যাণেই দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ৩০৭ রান। মিরাজ করেছেন ৯৭ রান। রাবাদা উইকেট নিয়েছেন ৬টি।