‘সরফরাজ ভাবতে পারে, সে প্রতারিত হয়েছে’
সরফরাজ খান আর কীই–বা করতে পারেন! ব্যাট হাতে যা করার তাঁর সবটাই তো করেছেন। ২০১৯-২০ ও ২০২১-২০২২ টানা দুই মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে করেছেন ৯০০-এর বেশি রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সরফরাজের গড়ই সর্বোচ্চ (৮০.৪৭)।
এরপরও সাদা পোশাকটা এখনো গায়ে তুলতে পারেননি। জায়গা হয়নি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেও। সরফরাজ জায়গা না পেলেও জায়গা পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি সেনসেশন সূর্যকুমার যাদব।
বিতর্কটা এখানেই! রঞ্জি ট্রফিসহ ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও কেন উপেক্ষিত সরফরাজ, যেখানে সাদা বলে পারফর্ম করেই লাল বলের দলে সূর্যকুমার। এই নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার।
আকাশ চোপড়ার মতে, সরফরাজ ভাবতেই পারেন, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ বলেছেন, ‘সরফরাজের নামটা টেস্ট দলে নেই। সে ভাবতেই পারে, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার দলে থাকা উচিত ছিল।’
২০০৯ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে ভারতের হ্যারিস শিল্ড আন্তস্কুল টুর্নামেন্টে ৪৩৯ রানের ইনিংস খেলে আলোয় আসেন সরফরাজ খান। এরপর দীর্ঘতম সংস্করণে যতগুলো সুযোগ পেয়েছেন, সবটাই কাজে লাগিয়েছেন।
রঞ্জি ট্রফির গত মৌসুমে ১২২.৭৫ গড়ে রান করছেন ৯৮২। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ৪৩১ রান, গড় ১০৭.৭৫। এত রান করার পরও সরফরাজের সুযোগ না মেলায় হতাশ আকাশ, ‘দলে জায়গা পাওয়ার জন্য যা করা দরকার, সবটাই সরফরাজ করেছে। সত্যি বলতে আমি কিছুটা হতাশ। যদি সূর্য আর সরফরাজের যেকোনো একজনকে দলে নেওয়া যেত, তখনো সরফরাজকেই নেওয়া উচিত ছিল। কারও ঘরোয়া ক্রিকেটে এত ভালো মৌসুম গেলে তাকে পুরস্কৃত করা উচিত।’
টেস্ট দল ঘোষণার পর ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান টুইট করেছেন। সে টুইটে কারও নাম উল্লেখ না করলেও, তিনি যে সরফরাজকে দলে না নেওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়, ‘টেস্ট দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে রঞ্জি ট্রফির পারফরম্যান্সই আগে বিবেচনা করা উচিত।’
টেস্ট দলে সরফরাজকে জায়গা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিতর্ক ছড়াচ্ছে। টেস্টে সুযোগ পেলে সূর্যকুমার সফল হবেন না, এমন কোনো দাবি অবশ্য সমালোচনাকারীরা করছেন না। তাঁদের প্রশ্ন টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সূর্যকুমারের রেকর্ডটাও যদিও খুব একটা খারাপ নয়। ৭৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৪৪.৭৫ গড়ে।