লিটন-নাহিদদের বিকল্প খুঁজতে আবার বসছে পিএসএল ড্রাফট
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি। এবার দল পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার—উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাস, ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাঁদের মধ্যে লিটন ও নাহিদের সব ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা কম।
পিএসএলের সময় জাতীয় দলের খেলা থাকায় এই দুজনসহ পাঁচ ক্রিকেটারকে তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজি পুরো মৌসুম পাবে না। আরেক খেলোয়াড় করবিন বশ শেষ মুহূর্তে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে ডাক পাওয়ায় পিএসএল ছেড়ে আইপিএলে নাম লিখিয়েছেন। সব মিলিয়ে ছয় খেলোয়াড়ের বিকল্প খুঁজতেই আজ সন্ধ্যায় আবার বসছে পিএসএল ড্রাফট। তবে সশরীর নয়, ড্রাফট হবে অনলাইনে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পান কম। পেলেও বিসিবির কাছ থেকে পুরো আসরের অনাপত্তিপত্র পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে না। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় নিয়মিতই। এবার যেমন লিটন, নাহিদ ও রিশাদকে এখনো ছাড়পত্র দেয়নি বোর্ড।
কারণটা অবশ্য অনুমেয়। এবারের পিএসএল শুরু হবে ১১ এপ্রিল। একই দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করার কথা বাংলাদেশ দলের। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল। জিম্বাবুয়ে দল ঢাকায় পা রাখবে ১৫ এপ্রিল।
লিটন ও নাহিদ এখন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রত্যাশিতভাবেই তাঁদের স্কোয়াডে রাখবেন বিসিবির নির্বাচকেরা। এক টেস্ট নাকি দুই টেস্টেই তাঁদের দলে রাখা হবে, সেই সিদ্ধান্ত বিসিবি এখনো চূড়ান্ত করেনি। তবে রিশাদ টেস্টের পরিকল্পনায় না থাকায় পুরো মৌসুম খেলার ছাড়পত্র পেতে পারেন।
গতির ঝড় তুলে আলোচনায় আসা নাহিদকে গোল্ড ক্যাটাগরি থেকে কিনেছে পেশোয়ার জালমি। সিলভার ক্যাটাগরিতে থাকা লিটনকে নিয়েছে করাচি কিংস। একই ক্যাটাগরির রিশাদ খেলবেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। রিশাদকে পুরো মৌসুমই পাওয়ার কথা লাহোরের।
তবে লিটন-নাহিদের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফর ডার ডুসেন এবং নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও মার্ক চ্যাপম্যান সব ম্যাচ খেলতে পারবেন না। ফন ডার ডুসেন, উইলিয়ামসন ও চ্যাপম্যানকে দলে ভিড়িয়েছে যথাক্রমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, করাচি কিংস ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার অনলাইন ড্রাফট থেকে পেশোয়ার জালমিকে করবিন বশের বদলিও খুঁজে নিতে হবে।
পিএসএল সাধারণত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হয়। কিন্তু এ বছর ওই সময়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ায় এবার এপ্রিল-মে মাসে পিএসএল আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।