কেউ ছয় বছর, কেউ তিন বছর আগে দেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি খেলেছেন, তাঁরাই বিপিএলের অধিনায়ক

বিপিএল নাকি বুড়ো ক্রিকেটারের পুনর্বাসনকেন্দ্র! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা, সেটা ভিন্ন আলোচনা, তবে অন্য বড় লিগগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় তারকাদের তেমন একটা পায় না বিপিএল।

চোখ রাখতে হয় বেশির ভাগ সাবেক বা সেরা সময় পেছনে ফেলে আসা ক্রিকেটারদের ওপর। আজ শুরু হতে যাওয়া বিপিএলও ব্যতিক্রম নয়। অধিনায়কদের ব্যাপারটাই একবার ভেবে দেখুন। এবার বিপিএলে যাঁদের অধিনায়কও করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই সর্বশেষ দুই বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিই খেলেননি।

আরও পড়ুন

ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা যেমন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন ২০২১ সালে। সেরা সময় পার করে এসেছেন অনেক আগেই। বিশ্বের বড়  লিগগুলোতেও তাঁকে তেমন একটা দেখা যায় না। সর্বশেষ খেলেছেন আবুধাবি টি-টেন লিগে। এবারের বিপিএলের একমাত্র বিদেশি অধিনায়কও এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।

এক ফ্রেমে তামিম, মিঠুন, শরীফুল। তামিম বরিশালকে নেতৃত্ব দেবেন, মিঠুন চিটাগংকে।
শামসুল হক

সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়কত্ব আরিফুল হকের কাঁধে। এই অলরাউন্ডার সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৮ সালে। পেরেরা তো তবু শ্রীলঙ্কার হয়ে না খেললেও দেশ–বিদেশে বিভিন্ন লিগে খেলেছেন, আরিফুলের সে সুযোগটাও আসে না। বাংলাদেশের হয়ে সব মিলিয়ে ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আরিফুলের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি (এনসিএল)। সেখানে চ্যাম্পিয়ন দল রংপুরের হয়ে খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার।

আরও পড়ুন

মোহাম্মদ মিঠুন নেতৃত্ব দেবেন চিটাগং কিংসকে। তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ২০২১ সালে। আর এনামুল হক বিজয়, যিনি দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক, তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ২০২২ সালে। অথচ এই দলেই এনসিএলে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক আকবর আলী ছিলেন। কিন্তু তাঁকে অধিনায়ক করেনি রাজশাহী।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বা জাতীয় দলে নেই—এমন অনেক ক্রিকেটারও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রাসঙ্গিক হতে পারেন। যেমন ধরুন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া এই ওপেনার গত বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন।

অনুশীলনে সিলেট। গতকাল অনুশীলনের ছবি।
শামসুল হক

তামিম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ছেড়েছেন ২০২২ সালে। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসানকে তামিমের ক্যাটাগরিতে রাখা যায়। ২০২২ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি এখনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আলোচনাতে ভালোভাবেই আসেন। আর খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই।

তবে আরিফুল, মিঠুনদের কেউই সেই অর্থে এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আলোচনাতে নেই। তাই তাঁদের জন্য নিজেদের নতুন করে প্রমাণের বড় সুযোগ এটি। না পারলে সেই পুরোনো গল্পও ফিরে আসতে পারে। সেটা কী? টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়ক পরিবর্তন।

আরও পড়ুন