শ্রীলঙ্কার উড়ন্ত সূচনার পর তানজিমের ৩ উইকেটপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশের খেলায় ফিরে আসা। মাঝে শ্রীলঙ্কার বড় একটা স্কোরের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ দিকে তাসকিন ও শরীফুলের চমৎকার বোলিংয়ে অল্পের মধ্যে আটকে রাখা। রান তাড়ায় শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোর পর অবশ্য ২৫৫ রানকেও অনেক বড় মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের সমর্থন পেয়ে নাজমুলের দারুণ শতকে উতরে গেল বাংলাদেশ।
শরীফুল ইসলাম ৭/১০
প্রথম দিকে ভালো বোলিং করলেও দুর্ভাগ্যবশত উইকেট পায়নি। তবে শেষ দিকে ওর ৩ উইকেট শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তাসকিন আহমেদ ৭/১০
শুরুতে ছন্দে ছিল বলে মনে হয়নি। ওর শর্ট পিচ বোলিংয়েও তেমন হুমকি দেখিনি। তবে শেষের দিকে ওকে দারুণ কার্যকর মনে হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেটও পেয়েছে।
তানজিম হাসান ৮.৫/১০
আক্রমণাত্মক এবং ইতিবাচক। উইকেট থেকে ঠিকই সহায়তা আদায় করেছে এবং ব্যাটারদের বিব্রত করেছে। খুবই কোণঠাসা অবস্থায় থাকা বাংলাদেশকে ওর ৩ উইকেটই উজ্জীবিত রেখেছিল।
তাইজুল ইসলাম ৪/১০
উইকেট থেকে সহায়তা না পাওয়া ওকে ভুগিয়েছে। মিরাজের সঙ্গী হিসেবে আজ সহায়কের ভূমিকা পালন করলে হয়তো ভালো হতো।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৭/১০
টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা না পাওয়া মিরাজকে অনেক ক্ষুধার্ত মনে হয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে ওর কারণেই শ্রীলঙ্কা বেশ চাপে ছিল।
সৌম্য সরকার ৩/১০
যতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করেছে, ব্যাটিংয়ে সেটি ছিল না। কিছুদিন আগেও ওকে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করতে দেখেছি, যা এখন দেখতে পাচ্ছি না।
লিটন দাস ২/১০
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছে না। নিজের জন্য ওর একটা সহজ-সরল ব্যাটিং–দর্শন বের করা প্রয়োজন। ব্যর্থতা মেনে ফিরে আসতে পারাও কিন্তু একধরনের স্কিল।
নাজমুল হোসেন ১০/১০
অধিনায়কের আরও একটা পরিশ্রমী ও ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স। শুরুতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। শ্রীলঙ্কা ইনিংসের মাঝের দিকে বোলিং পরিবর্তনেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।
তাওহিদ হৃদয় ৩/১০
এভাবে এর আগেও আউট হতে দেখেছি। ইনিংসের শুরুটা সবার জন্যই কঠিন। নিজের রক্ষণটা আরও মজবুত করতে পারলে ওর জন্য হয়তো ভালোই হবে। তবে ফিল্ডিংয়ে দারুণ ছিল।
মাহমুদউল্লাহ ৭/১০
খুবই স্বচ্ছন্দে খেলছিল। নিশ্চিত নই, তবে শুরুতে সমস্যা না থাকলেও পরের দিকে ওর মাংসপেশির ক্র্যাম্প–জাতীয় কিছু একটা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছিল। নাজমুলের সঙ্গে জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কাটি সামলেছে।
মুশফিকুর রহিম ৮.৫/১০
ক্যাচিং-কিপিং—সবকিছুতেই বেশ চনমনে মনে হচ্ছিল। তবে নাজমুলের সঙ্গে চাপের মুখে ওর ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওকে নিশ্চয়ই অনেক তৃপ্তি দেবে।