ফাইনালে রোহিত-কোহলিদের জয় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ভারতবাসীর প্রার্থনা
ভারতীয়দের বৈশ্বিক ট্রফির দীর্ঘ খরা ঘোচানোর সুবর্ণ সুযোগ অবশেষে এসে গেল। আগামীকাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত।
সেই ম্যাচে রোহিত শর্মা–বিরাট কোহলিদের জয় কামনায় প্রার্থনায় বসেছেন ভারতবাসী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দলের সাফল্য চেয়ে প্রার্থনা করেছেন।
ভারত সর্বশেষ বৈশ্বিক শিরোপা জিতেছিল ২০১৩ সালে। ওই বছর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে দলটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল; বিশ্বকাপ জিতেছিল আরও দুই বছর আগে। তবে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০২১ ও ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হেরে যায়। এর মধ্যে ফাইনালে সর্বশেষ হারটা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।
ট্রফি–ছোঁয়া দূরত্বে থেকে এবার যাতে হতাশা নিয়ে ফিরতে না হয়, তাই রোহিত–কোহলিদের জন্য প্রার্থনায় বসেছেন ভারতীয়রা। ক্রিকেটপাগল ভারতীয়দের আশা, ঘরের মাঠে প্রিয় দল তাঁদের নিরাশ করবে না, প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি, পিটিআই ও এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, আজ সমগ্র ভারতে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রার্থনারত বেশির ভাগ মানুষ হিন্দুধর্মাবলম্বী। অনেকে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে, আবার কেউ কেউ নিজ এলাকাতে প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন।
এ সময় ভারতীয় দলের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড সঙ্গে নিয়ে অগ্নিপূজা করতে দেখা যায়। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে রূপান্তরিত লিঙ্গের মানুষও বিশেষ প্রার্থনা করেন।
বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে আজ রাজস্থানে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোহিত–কোহলিদের জয় কামনায় মোদি প্রার্থনা করতে যান সেখানকার বীর তেজাজি মন্দিরে। আগামীকাল ফাইনাল দেখতে তিনি নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামেও যাবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ফাইনালের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মারলেস।
এদিকে বিশ্বকাপ ফাইনাল উপলক্ষে আহমেদাবাদ উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়েও শহরের কোনো হোটেলে থাকার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেল না পেয়ে অনেকে হাসপাতালে বুকিং দিয়েছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার হওয়ার পরও টিকিটের জন্য চলছে হাহাকার। ফাইনাল কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেটা নিশ্চিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।