- ১-১ নাকি ২-০?
- টস
- ফিরলেন আফিফ ও হাসান
- ওয়াফাদারের অভিষেক
- আজ আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াই?
- সিলেটের আকাশে মেঘ
- প্রথম ওভারেই গুরবাজকে ফেরালেন তাসকিন
- গুরবাজের পর জাজাইও তাসকিনের শিকার
- মিতব্যয়ী হাসান
- পাওয়ারপ্লে শেষ
- নাসুমের প্রথম ২ ওভারে ৬
- বৃষ্টি
- চেষ্টা
- থেমেছে বৃষ্টি
- ৭.৪৫-এ পর্যবেক্ষণ
- ওপেনিংয়ে কে?
- স্ট্যাট অ্যালার্ট
- মাঠ পর্যবেক্ষণ করে গেলেন আম্পায়াররা
- আবার পর্যবেক্ষণে আম্পায়াররা
- ১৭ ওভারের ম্যাচ
- ২ বলে দুবার বাঁচলেন নবি
- মোস্তাফিজের বলে কট-বিহাইন্ড নবি
- ১৫ রান, ১ উইকেট
- ইব্রাহিমকে থামালেন সাকিব
- সাকিবের জোড়া আঘাত
- শেষ করলেন নাসুম
- ১৬ রানের ওভার
- তাসকিনের ওভারে ১২, আফগানিস্তানের ১০০
- সাকিবের ওভারে ৬ সিঙ্গেল
- মোস্তাফিজের প্রত্যাবর্তন
- ১১৬ রানে থামল আফগানিস্তান
- লিটনের সঙ্গী আফিফ
- খরুচে ওয়াফাদার
- তৃতীয় ওভারে মুজিব
- মুজিবের বলে আফিফের ছক্কা
- ফিরতে ফিরতেও পারলেন না ওয়াফাদার
- শক্ত ভিত
- ১ রানের ওভার
- ৩ বলে ২ উইকেট মুজিবের
- নাজমুল বোল্ড
- চাপ?
- মুজিবের ওভারে ১২ রান
- ১৮ বলে দরকার ২০
- ছক্কার পর ফিরলেন হৃদয়
- ৬ বলে ৪
- ৬ উইকেটে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের তিনে তিন
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই সাকিব
১-১ নাকি ২-০?
রোমাঞ্চকর প্রথম ম্যাচে জয়ের পর সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ সিরিজ জয়ের সামনে বাংলাদেশ। টানা চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিততে পারবে বাংলাদেশ? নাকি ঘুরে দাঁড়াবে আফগানিস্তান?
দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
টস
আবার টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আবারও আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ।
তেমন কোনো কারণ নেই, তাড়া করতে চাই। দেখে মনে হয়েছে ভালো উইকেট।
বোলিং করতে পারলে ভালো লাগত। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে।
ফিরলেন আফিফ ও হাসান
দুটি পরিবর্তন আছে বাংলাদেশ দলে। সাকিব জানিয়েছেন, কাঁধের চোটের কারণে খেলতে পারছেন না রনি তালুকদার। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আফিফ হোসেনকে। সেক্ষেত্রে কে ইনিংস ওপেন করবেন, তা জানাননি। নাজমুল হোসেনেরই আসার কথা লিটন দাসের সঙ্গে।
বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার শরীফুল ইসলামকে, আগের ম্যাচে উইনিং শটটি যিনি খেলেছিলেন। দলে ফিরেছেন হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
ওয়াফাদারের অভিষেক
ফরিদ মালিক জায়গা করে দিয়েছেন ওয়াফাদার মোমান্দকে। ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি এ পেসারের অভিষেক হচ্ছে। আফগানিস্তান দলে একটিই পরিবর্তন।
আফগানিস্তান একাদশ
রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ওয়াফাদার।
আজ আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াই?
মাঠের রোমাঞ্চকর ক্রিকেটটা সাধারণত এমন মানসিকতার ফল। ফলাফল যা–ই হোক, বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি খেলাটা এখন দর্শক মাঠে টানে, শহরে হইচইয়ের জন্ম দেয়। টিভি পর্দায় ভিড় বাড়ায়। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের খেলার আসল উদ্দেশ্য তো এটাই!
সিলেটের আকাশে মেঘ
প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দিলেও ওভার কাটা যায়নি। আজ ম্যাচ শুরুর আগেই আকাশে মেঘ।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৪০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়। নিগার সুলতানাদের জন্য অভিনন্দন-বার্তা সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেও।
প্রথম ওভারেই গুরবাজকে ফেরালেন তাসকিন
আফগানিস্তান ৯/১, ১ ওভার
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেছিলেন গুরবাজ। চেয়েছিলেন সামনে খেলতে, বল গেছে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে। সে শটেই ফুটে ওঠে গুরবাজের মানসিকতা। ঠিক পরের বলে শর্ট লেংথ থেকে আবার তুলে মেরেছিলেন গুরবাজ, এবার বল ওঠে খাড়া ওপরে। অফ সাইড থেকে আরও তিন জন ফিল্ডার ছুটে আসতে চাইলেও তাসকিন না করে দিয়েছেন, নিজের বলে নিজেই ধরেছেন ক্যাচ। তাসকিন লেংথ কমিয়ে আনেন, গুরবাজ অবশ্য সেটির ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন। ৫ বলে ৮ রান করে ফিরলেন গুরবাজ, প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তাসকিন।
গুরবাজের পর জাজাইও তাসকিনের শিকার
৩ ওভারে ১৬/২
আবার তাসকিন! এ উইকেটে গতি আছে, ক্যারি আর বাউন্সের সঙ্গে আছে মুভমেন্টও।
অফ স্টাম্পের বাইরে গুডলেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বল, হজরতউল্লাহ জাজাই খেলবেন না ছাড়বেন করতে গিয়ে খোঁচা দিলেন। উইকেটের পেছনে বাকি কাজটি করেছেন লিটন দাস। দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন। এর আগে নিজের প্রথম ওভারে মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, একটিতে অবশ্য লাইনে গড়বড় করে ওয়াইডও দেন।
তবে প্রথম ম্যাচের মতো আবারও শুরুতেই চাপে আফগানিস্তান, চারে এসেছেন মোহাম্মদ নবি—প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের অন্যতম ত্রাণকর্তা।
নবির বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনও করেছিলেন তাসকিন, আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা তাতে সাড়া দেননি। বাংলাদেশ রিভিউও নেয়নি। পরে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, তাসকিনের বলটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। তাসকিন নবিকে বোলিং করেছেন দুই স্লিপ ফিল্ডার নিয়ে।
মিতব্যয়ী হাসান
৪ ওভারে ১৯/২
প্রথম ওভারে মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন, এবারও তাই। লাইন-লেংথ মিলিয়ে টেস্ট ম্যাচের আমেজে বোলিং করছেন হাসান। আফগানিস্তান তাঁর বিপক্ষে ঝুঁকি নেয়নি, ২ ওভারে তুলতে পেরেছে ৪ রান। প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে থাকা হাসান আজ ফিরেছেন শরীফুলের জায়গায়।
পাওয়ারপ্লে শেষ
পঞ্চম ওভারের প্রথমবারের মতো এসেছেন স্পিনার—নাসুম আহমেদ। তাঁর প্রথম ওভারে আসে মাত্র ১ রান।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। প্রথম বলেই ফ্লিক করে চার মারেন নবি। বলের গতি কাজে লাগান তিনি। পরের বলে আবার ফ্লিক করেন নবি, যদিও এবার সেখানে ফিল্ডার ছিলেন। আসে ২ রান। এরপর দিক পরিবর্তন করে ওভার দ্য উইকেট থেকে আসেন মোস্তাফিজ। ঝোঁকেন স্লোয়ারের দিকে, তাতে পরাস্তও হন নবি। পঞ্চম বলে আবার স্লোয়ার দেন, ইব্রাহিম ক্যাচ তুললেও ফিল্ডার ছিলেন না মিডউইকেটে। শেষ বলে অবশ্য ফ্লিক করে মিডউইকেট দিয়ে চার মারেন ইব্রাহিম। মোস্তাফিজের প্রথম ওভারে আসে ১৩ রান। পাওয়ারপ্লের শেষটা ভালোই গেল আফগানিস্তানের, যদিও প্রথম ৬ ওভারে ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।
নাসুমের প্রথম ২ ওভারে ৬
৭ ওভারে ৩৮/২
আগের ম্যাচে বোলিং ওপেন করেছিলেন নাসুম আহমেদ। আজ পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ১ ওভার করেছেন তিনি। উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা আছে। নাসুম অবশ্য তাঁর কাজটি প্রথম ২ ওভারে করেছেন ভালোভাবেই—আঁটসাঁট বোলিংয়ে চাপ ধরে রেখেছেন। প্রথম ২ ওভারে এ বাঁহাতি স্পিনার দিয়েছেন ৬ রান।
বৃষ্টি
অষ্টম ওভারে এসেছিলেন সাকিব। তবে ২ বল করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। সিলেট থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বেশ জোরেই নেমেছে বৃষ্টি। আফগানিস্তানের স্কোর ৭.২ ওভারে ৩৯/২।
চেষ্টা
বাউন্ডারি ঠেকানোর চেষ্টা তাওহিদ হৃদয়ের, যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হননি তিনি।
ছবি: আনিস মাহমুদ
থেমেছে বৃষ্টি
সিলেটে বৃষ্টি থেমেছে। সিলেট থেকে মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, কাভার সরানো হচ্ছে।
ক্যাচ!
৭.৪৫-এ পর্যবেক্ষণ
বৃষ্টি থেমেছে সিলেটে। তবে মাঠ এখনো খেলার উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি। মোহাম্মদ জুবাইর বলছেন, সন্ধ্যা ৭-৪৫ মিনিটে আবার মাঠ পর্যবেক্ষণে নামবেন আম্পায়াররা। ফলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকছে। নিশ্চিতভাবেই কাটা যাওয়ার কথা ওভার।
ওপেনিংয়ে কে?
রনি তালুকদার চোটের কারণে নেই। তাঁর জায়গায় খেলছেন আফিফ হোসেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে কখনোই ওপেন করেননি তিনি, সর্বোচ্চ চার নম্বরে খেলেছেন। লিটনের সঙ্গী হিসেবে ওপেনিংয়ে কার আসা উচিৎ (যদি খেলা হয়) বলে মনে করেন আপনি?
স্ট্যাট অ্যালার্ট
মাঠ পর্যবেক্ষণ করে গেলেন আম্পায়াররা
মাঠ পর্যবেক্ষণে নেমেছিলেন আম্পায়াররা। এখনো খেলা শুরুর আনুষ্ঠানিক সময় জানানো হয়নি। তবে মাঠে ওয়ার্ম-আপ করছেন খেলোয়াড়রা। মাঠকে এখনো উপযুক্ত মনে করেননি আম্পায়াররা। পরের পর্যবেক্ষণ ৮-০৫ মিনিটে।
আবার পর্যবেক্ষণে আম্পায়াররা
আবার মাঠ পর্যবেক্ষণে নেমেছেন আম্পায়াররা। আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খানের সঙ্গে কথা বলতএ দেখা গেছে তাঁদের। এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালও। মাঠ শুকাতে ব্যস্ত মাঠকর্মীরা।
১৭ ওভারের ম্যাচ
১৭ ওভারে নেমে এসেছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। খেলা শুরু হবে ৮-১৫ মিনিটে।
সর্বোচ্চ দুজন বোলার করতে পারবেন ৪ ওভার করে। এখন পর্যন্ত তিন জন ২ ওভার করে বোলিং করেছেন বাংলাদেশের-তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
আফগানিস্তান খেলা শুরু করবে ৭.২ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে।
২ বলে দুবার বাঁচলেন নবি
সাকিবের ওভার বাকিই ছিল। আরেক প্রান্ত থেকেও আনা হয়েছে নাসুম আহমেদকে। সুযোগও তৈরি করেছেন নাসুম। একটু ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, তবে বলে গতি ছিল বেশ কম। নবি অনেকটা জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন, টাইমিং হয়নি সেভাবে। অবশ্য লং অনে থাকা ফিল্ডারের বেশ আগেই পড়েছে বল। নবি এরপর জীবন পেয়েছেন ১৫ রানে দাঁড়িয়ে, সেটিও দুবার! প্রথমে কাভারে সরাসরি ক্যাচ ফেলেছেন সাকিব। ঠিক পরের বলে কট-বিহাইন্ড হতে পারতেন, লিটন গ্লাভসে নিতে পারেননি। নাসুমের ওভারে এসেছে ৪ রান। ৩ ওভার করলেন এ বাঁহাতি স্পিনার, আরেকটি ওভার পাবেন কি না নিশ্চিত না। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়েছেন, উইকেটের ঘর শূন্য থাকলেও সেটি ভিন্ন হতে পারত সহজেই।
মোস্তাফিজের বলে কট-বিহাইন্ড নবি
জীবন পেয়ে অবশ্য কাজে লাগাতে পারলেন না নবি। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন তিনি পরের ওভারেই। লিটনেরও দায়মোচন হলো তাই। দুবার জীবন পেয়ে আর ১ রান যোগ করতে পেরেছেন, ১৬ বলে ২২ রান করে থামতে হলো তাঁকে। বৃষ্টির পর আবারও চাপে আফগানিস্তান। ৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট পড়েছে তাদের।
১৫ রান, ১ উইকেট
মোহাম্মদ নবির উইকেট পেলেও মোস্তাফিজ গুণলেন ১৫ রান। চারের পর তাঁকে ছক্কা মেরেছেন ইব্রাহিম জাদরান। প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভার খরুচে মোস্তাফিজ। ২ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান।
ইব্রাহিমকে থামালেন সাকিব
১০.১ ওভারে ৬২/৪
আগের ওভারে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। এবার সাকিবের ওপর হতে গেলেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে সফল হলেন না। তুলে মেরেছিলেন, বল উঠেছিল বেশ খানিকটা। লং অনে আফিফ হোসেন ভালো ক্যাচ নিয়েছেন। ২৭ বলে ২২ রান করে নবিকে অনুসরণ করলেন ইব্রাহিম। বৃষ্টির পর আফগানিস্তান আক্রমণাত্মক হওয়ার মিশনে নেমেছে দ্রুতই, ২ উইকেটও হারিয়ে ফেলল তারা এ সময়ে।
সাকিবের জোড়া আঘাত
নজিবুল্লাহ জাদরান বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। সিদ্ধান্ত গেছে টেলিভিশন আম্পায়ারের কাছে। সাকিবের বলে নজিবুল্লাহ বোল্ড হয়েছেন কি না, প্রশ্ন সেটিই। টেলিভিশন আম্পার মাসুদুর রহমানের বেশি সময় লাগেনি। ১১তম ওভার সাকিব শুরু করেছিলেন উইকেট দিয়ে, শেষও করলেন উইকেট দিয়ে। ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
শেষ করলেন নাসুম
চতুর্থ ওভার করে গেলেন নাসুম। উইকেটশূন্যই থেকেছেন। কিন্তু দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। সাকিব বা লিটন সুযোগ নিতে পারলে নাসুম অবশ্য উইকেট পেতে পারতেন।
১২ ওভারশেষে ৫ উইকেটে ৭৩ রান আফগানিস্তানের।
১৬ রানের ওভার
এবার হাসান মাহমুদের ওভারে এল ১৬ রান। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছিলেন হাসান।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই চারের পর মেরেছেন ছক্কা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেওয়ার পেছনে ভালো অবদান ছিল ওমরজাইয়ের। আজও করতে পারবেন অমন কিছু? ১২ বলে ২০ রানে অপরাজিত আপাতত তিনি। ৪ ওভার বাকি, ৮৮ রান আফগানিস্তানের।
তাসকিনের ওভারে ১২, আফগানিস্তানের ১০০
যে শটে চার এল, তাতে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফ্লায়িং স্লিপ ও উইকেটকিপারের মাঝ দিয়ে গিয়েছিল সেটি। তবে এরপর দারুণ এক শটে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন করিম জানাত। তাসকিন আহমেদের করা ১৪তম ওভারে এসেছে ১২ রান। আফগানিস্তান ছুঁয়েছে ১০০। বাকি ৩ ওভার।
সাকিবের ওভারে ৬ সিঙ্গেল
সাকিবকে দেখেশুনে খেলেছেন ওমরজাই ও জানাত। বাংলাদেশ অধিনায়কের করা ১৫তম ওভারে এসেছে ছয়টি সিঙ্গেল। দেখে মনে হচ্ছে, ৪ ওভারই করবেন সাকিব। তবে পরের ওভারটি কাকে দেন, সেটি প্রশ্ন। তিন পেসারেরই সর্বশেষ তিন ওভার ছিল বেশ খরুচে।
মোস্তাফিজের ওপরই ভরসা রাখছেন সাকিব। ২ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ২৭ রান।
মোস্তাফিজের প্রত্যাবর্তন
ওয়াইড দিয়ে শুরু করলেও মোস্তাফিজ করেছেন দারুণ এক ওভার। স্লো ইয়র্কার, অফ স্টাম্পের বাইরে করে গেছেন। হতাশ ওমরজাই তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিপ থার্ডম্যানে।
এ ওভারে মোস্তাফিজের ওপর ভরসা রেখেছিলেন সাকিব। সে আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিলেন তিনি। মাত্র ৩ রান দিয়েছেন শেষের আগের ওভারে। আফগানিস্তান ১ ওভার বাকি থাকতে তুলেছে ১০৯ রান।
১১৬ রানে থামল আফগানিস্তান
মোস্তাফিজের পর শেষ ওভারে নিজে না এসে তাসকিনের ওপর ভরসা রেখেছেন সাকিব।
লেংথ, শর্ট অব আ লেংথে করে তাসকিন প্রথম দুই বল দেন ডট। তৃতীয় বলে একই লেংথ থেকে পুল করতে গিয়ে লং অনে নাজমুল হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন করিম জানাত। নতুন ব্যাটসম্যান মুজিব স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন রশিদ খানকে। নন স্ট্রাইক প্রান্তে যেন ফুঁসছিলেন রশিদ, সুযোগ পেয়ে পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন আফগানিস্তান অধিনায়ক। শেষ বলটি শর্ট লেংথে ছিল, রশিদ সেটি ছেড়েই দেন ওয়াইড ভেবে। আম্পায়াররা অবশ্য তেমন কিছু ভাবেননি। ১৭ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ১১৬ রান। বাংলাদেশের লক্ষ্য অবশ্য বদলাবে। এবং সেটি ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
বৃষ্টির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাতের জুটি একটা লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সর্বশেষ ম্যাচে যেটি করেছিল নবি ও ওমরজাইয়ের জুটি। তবে শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ৩ ওভারে এসেছে মাত্র একটি বাউন্ডারি, সেটিও শেষের আগের বলে মেরেছেন রশিদ খান।
ম্যাচের মাঝপথে বাংলাদেশকেই ফেবারিট বলতে হবে। কিন্তু আফগান-চ্যালেঞ্জ তো আছেই।
লিটনের সঙ্গী আফিফ
১ ওভারে ৯/০
লিটন দাস নেমেছেন নতুন এক ওপেনিং সঙ্গী নিয়ে—আফিফ হোসেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিংয়ে এলেন আফিফ।
প্রথম ওভারে অবশ্য ঝলক দেখিয়েছেন লিটোন। প্রথম দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মেরেছেন, বোলার ফজলহক ফারুকির হাতে লেগে দিক পরিবর্তন করলেও চার হয়েছে ঠিকই। পরের বলে পুল করে মেরেছেন আরেকটি চার। শেষ বলে এসেছে সিঙ্গেল। ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের।
খরুচে ওয়াফাদার
কাভারের ওপর দিয়ে চার। স্লিপের নাগালের বাইরে দিয়ে চার। কাভার দিয়ে পাঞ্চ করে চার। অভিষিক্ত ওয়াফাদার মোমান্দকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এভাবে স্বাগত জানিয়েছেন লিটন।
আফিফের বিপক্ষে প্রথম দুই বল এরপর ওয়াফাদার করেছেন ডাউন দ্য লেগে ওয়াইড। পঞ্চম বলে অবশ্য সুযোগ তৈরি করেছিলেন—হেঁটে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু বেঁচে গেছেন ডিপ থার্ডম্যানে নোম্যানস ল্যান্ডে পড়ায়।
প্রথম ওভারে ওয়াফাদার দিয়েছেন ১৯ রান।
তৃতীয় ওভারে মুজিব
২ ওভারে ২৮ রান ওঠার পর রশিদ ঝুঁকেছেন মুজিব উর রেহমানের দিকে। তাঁর প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন লিটন, মুজিব অবশ্য এরপর ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বেশ ভালোভাবে। পরের ৫ বলে শুধু ওয়াইড থেকে এসেছে একটি রান। সেটি কি ‘হতাশ’ করবে লিটনকে?
মুজিবের বলে আফিফের ছক্কা
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার করতে এসেছিলেন মুজিব। ১৭ ওভারের ম্যাচে পাওয়ারপ্লে ৫ ওভারের। আফিফ শুরুতে দুবার রিভার্স সুইপের চেষ্টা করেও সফল হননি, যদি প্রথমটি উইকেটকিপারও মিস করায় হয় বাই চার। পঞ্চম বলে টেনে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন আফিফ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসেছে ১৩ রান। আগের ২ ওভারে ৯ রান আসার পর উন্নতি বলতে হবে ভালোই। ৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ।
ফিরতে ফিরতেও পারলেন না ওয়াফাদার
৭ ওভারে ৬১/০
প্রথম ওভারে ১৯ রান দিয়েছিলেন। এরপর আক্রমণ থেকে ওয়াফাদারকে সরিয়ে নেওয়া হলেও পাওয়ারপ্লে শেষে তাঁকে আনেন রশিদ। প্রথম ৫ বলে মাত্র ১ রান দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ধরে রাখতে পারেননি। শেষ বলে লেগ স্টাম্পের ওপর শর্ট লেংথে পেয়ে পুল করেছেন আফিফ, হয়েছে ছক্কা। আগের ওভারে রশিদ এসে দেন ৪ রান। লিটন ও আফিফের নতুন ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দারুণ ভিত।
শক্ত ভিত
ব্রেকথ্রু খুঁজে হয়রান আফগানিস্তান। প্রথম ৮ ওভারে সেটির দেখা পায়নি তারা। বাংলাদেশ তুলেছে ৬৬ রান।
১ রানের ওভার
৯ ওভারে ৬৬/০
এবার ফজলহক ফারুকিকে ফিরিয়েছেন রশিদ। লিটনের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন আম্পায়ার নাকচ করে দেওয়ার পর রিভিউও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইমপ্যাক্ট ছিল বেশ বাইরে। শেষ পর্যন্ত উইকেটের দেখা পাননি ফারুকি, কিন্তু এ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১ রান।
৩ বলে ২ উইকেট মুজিবের
অবশেষে!
অবশেষে জুটি ভাঙলেন মুজিব উর রেহমান। আগের ওভারে মাত্র ১ রান এসেছিল। সেটিই হয়ত চাপ বাড়িয়ে দিল লিটনের। মুজিবের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন লিটন। এক্সট্রা কাভারে ডানদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন রশিদ খান। ৩৫ বলে ৩৫ রান লিটনের।
এক বল পর আফিফ হোসেন করতে গেলেন স্লগ সুইপ। মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন তিনি। প্রথমবার ওপেন করতে এসে আফিফ করেছেন ২০ বলে ২৪ রান।
৯.১ ওভার উইকেটশূন্য, এরপর ৩ বলে ২ উইকেট!
নাজমুল বোল্ড
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ফুললেংথের বলে লাইন পুরো মিস করে গেছেন বড় শটের চেষ্টা করা নাজমুল হোসেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বোল্ড হলেন নাজমুল। হুট করেই চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ।
চাপ?
দ্রুত ৩ উইকেট পড়েছে, কমে এসেছে রানের গতিও। সর্বশেষ ৪ ওভারে উঠেছে মাত্র ১৩ রান। ৩০ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন এখন ৪০ রান। মুজিব ও রশিদ করে ফেলেছেন ৩ ওভার করে, সর্বোচ্চ দুজন করতে পারবেন ৪ ওভার করে।
মুজিবের ওভারে ১২ রান
চাপ? কীসের চাপ! তাওহিদ হৃদয় যেন বলতে চাইলেন সেটিই। মুজিবকে জায়গা বানিয়ে কাভারের ওপর দিয়ে মারলেন, প্রথম বলেই চার। তৃতীয় বলে এসেছে আরেকটি চার—তাতে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন সাকিব। কাট করলেও আউটসাইড-এজড হয়েছিল। মুজিবের শেষ ওভারে এসেছে ১২ রান। ২৪ বলে এখন দরকার ২৮।
১৮ বলে দরকার ২০
মুজিবকে চার মেরে বার্তা দিয়েছিলেন হৃদয়। রশিদের দ্বিতীয় বলে স্লটে পেয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে বার্তা দিয়েছেন সাকিবও। পরিস্থিতি যেমনই হোক, এমন দুই-একটি শটই যে চাপ ফিরিয়ে দিতে পারে আফগানিস্তানের দিকে। রশিদের ওভারে এসেছে ৮ রান। ১৮ বলে প্রয়োজন ২০ রান। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেন রশিদ।
ছক্কার পর ফিরলেন হৃদয়
প্রথম বলে ডাবলস। এরপর ফ্লিক করে ছক্কা। হৃদয় অবশ্য থামলেন ওমরজাইয়ের তৃতীয় বলে। ডাউন দ্য গ্রাউণ্ডে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেও তাঁকে পার করাতে পারেননি হৃদয়। হৃদয়কে বেশ ঝাঁজাল বিদায় দিয়েছেন ওমরজাই। ম্যাচ রেফারির চোখ থাকার কথা সেদিকে। উইকেট পড়লেও বাংলাদেশের এখান থেকে ১৪ বলে প্রয়োজন ১২ রান।
৬ বলে ৪
১৬তম ওভারটি করে গেলেন ফারুকি। শেষ বলে ডাবলস নিয়েছেন সাকিব, তবে ফিল্ডিংয়ে খুশি হননি রশিদ খান। আবার শেষ ওভারে ম্যাচ, এবার ৬ বলে প্রয়োজন ৪ রান। করিম জানাত, আবার?
৬ উইকেটে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিক ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। এবার আর তেমন কিছু হলো না। ওয়াফাদেরের প্রথম বলেই মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন শামীম হোসেন, ৫ বলে বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে তাতেই। আগের ম্যাচে শামীম শেষ করে আসতে পারেননি, হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ একটি জুটির অংশ থাকলেও। এবার ম্যাচজয়ী শটটি খেললেন তিনি।
এ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তৃতীয় বার এসে আফগানিস্তানকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।
১১৯ রানের লক্ষ্যে যেমন শুরু দরকার ছিল বাংলাদেশের, পেয়েছে তেমনই। লিটন ও আফিফের ৬৭ রানের ওপেনিং জুটিই গড়ে দেয় সফল রান তাড়ার ভিত। আফগানিস্তান এরপর দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিলেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয় তা হতে দেননি। হৃদয় আগেভাগে থামলেও সাকিব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৮ রানে।
একমাত্র টেস্ট জিতলেও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্বাগতিকদেরই।
বাংলাদেশের তিনে তিন
প্রতিপক্ষ ইংল্ল্যান্ড, ফল ৩-০
প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, ফল ২-১
প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, ফল ২-০
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই সাকিব
আজ আমি ও কোচিং স্টাফ চেয়েছে তরুণরা বেশি সময় কাটাক এবং কাজ শেষ করে আসুক। এরপর (অবশ্য) আমাকে আসতে হয়েছে। আশা করি এ জয়ে পাওয়া আত্মবিশ্বাস সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে কাজে দেবে।