টি–টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার চার হ্যাটট্রিকের তিনটিতেই বাংলাদেশ
১৭ বছর আগের ব্রেট লির সেই হ্যাটট্রিকে নামগুলো ছিল—সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও অলক কাপালি। আজ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকে নামগুলো—মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। দুটি হ্যাটট্রিকই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচে। এর মধ্যে প্রথমটি ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে। সর্বশেষটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে। আরও স্পষ্ট করে বললে সর্বশেষ ম্যাচে। দুটি হ্যাটট্রিকই অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসারের।
অ্যান্টিগায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ সুপার এইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন কামিন্স। চলতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক এবং অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করলেন কামিন্স। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের চারটি হ্যাটট্রিকের তিনটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার লি। সেটি আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই প্রথম হ্যাটট্রিক। ১৩ বছর পর ২০২০ সালে জোহানেসবার্গে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার।
পরের বছর মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন পেসার নাথান এলিস। এরপর আজ সেই তালিকায় নাম লেখালেন কামিন্স। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা প্রথম হ্যাটট্রিক পাওয়ার পর দ্বিতীয়টির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৩ বছর। এরপর দ্রুতই আরও দুটি হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।
কামিন্সের হ্যাটট্রিকটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৯তম। তবে এই সংস্করণে ৪ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও আছে। রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা, কার্টিস ক্যাম্ফার ও জেসন হোল্ডারের দখলে এই কীর্তি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কামিন্সের হ্যাটট্রিকটি সপ্তম। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ২০০৭ বিশ্বকাপে লির সেই হ্যাটট্রিকের পর পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক দেখা যায়নি। পরের ছয়টি হ্যাটট্রিক হয়েছে ২০২১, ২০২২ এবং এবারের বিশ্বকাপে। এর মধ্যে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গেছে তিনটি হ্যাটট্রিক। আয়ারল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ক্যাম্ফার, শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দক্ষিণ-আফ্রিকা ইংল্যান্ড ম্যাচে কাগিসো রাবাদা হ্যাটট্রিক করেন।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরব আমিরাত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কার্তিক মেইয়াপ্পন। একই বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে হ্যাটট্রিক রয়েছে জস লিটলের। তারপর এবারের বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে সেই তালিকায় নাম লেখালেন কামিন্স।
ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিকের সংখ্যা ৫০, টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক ৪৬টি।