লিটন ৭.৫, মিরাজ ৩

এই ইনিংসে কিছুটা খুঁজে পাওয়া যায় লিটন দাসকে। দেখেশুনে খেলেও ১১৫ স্ট্রাইক রেটে ৭৬ রান তাঁর মেধারই ইঙ্গিত বহন করে। উইকেট কতটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল, সেটিও। আশা করি, সামনের ম্যাচে এই ধরনের ইনিংস আরও দেখতে পাব।

আশা করি, তানজিদ কনফিউজড হয়ে যাবেন না। আগামীতে সুযোগ আসুক আর না আসুক, তানজিদের ব্যাপারে সবার সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, এটা তাঁর ক্যারিয়ারের মাত্র শুরু।

৫০ ওভারের ম্যাচে এতটা অস্থির হওয়ার বোধ হয় প্রয়োজন নেই। ধারাবাহিকভাবে ভালো ইনিংস খেলতে চাইলে ধীরস্থির হয়ে খেলাটা জরুরি, বিশেষ করে নাজমুলের ব্যাটিং পজিশন বিবেচনায়।

প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি মাঝের ওভারে ভালো বোলিং করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে একজন স্পিনারকে শেষের দিকে ব্যবহার করাটা অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। দুই উইকেট পড়ার পর একটা জুটির প্রয়োজন ছিল, তা করতে পারেননি।

ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই অনুজ্জ্বল ছিলেন।

স্কোরটাকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে আসতে ভূমিকা রেখেছেন। আশা করি, এটি প্রয়োজনের সময় প্রভাব বিস্তারকারী ইনিংস খেলতে সাহস জোগাবে।

খুব বেশি কিছু করার ছিল না। তবে ইংল্যান্ডের এই সমৃদ্ধ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৩৯ রানের এক ইনিংস তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

বোলিংয়ে খরুচে হয়েও তাঁর শেষ স্পেলের কারণে ইংল্যান্ড ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারেনি। চাপের মুখে দারুণ সাহসের পরিচয় দিয়েছেন।

নতুন বলে আগের মতো কার্যকর মনে হচ্ছে না। তাঁর মানের একজন বোলারের পুরো ১০ ওভার করার কথা।

শুরুটা খুব ভালো না হলেও ইংল্যান্ডের স্কোর একটা গ্রহণযোগ্য সীমানায় আটকে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শেষ পর্যন্ত দেখে মনে হয়েছে তিনি হাল ছেড়ে দেননি।

নতুন বলে আরও কার্যকরী হবেন আশা করেছিলাম। ইনিংসের শুরুর বোলিং আরও ভালো হতে পারত।