স্লিপে তিনজন, চারজন। সবুজাভ উইকেটে আছে বাউন্স ও মুভমেন্ট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এমন আবহে উত্তরাঞ্চলের ওপর তাণ্ডব চালালেন পূর্বাঞ্চলের পেসাররা। খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমানের তোপে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানেই গুটিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চল, খালেদ ও রেজাউর নেন ৪টি করে উইকেট। জবাবে পারভেজ হোসেনের অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে ৩৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তুলে প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানে এগিয়ে গেছে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখা পূর্বাঞ্চল।
দিনের প্রথম ২ ওভারেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় উত্তরাঞ্চল—আবু জায়েদের বলে মাহমুদুল হাসান ও খালেদের বলে অমিত হাসানকে ক্যাচ দেন সাব্বির হোসেন। আবদুল্লাহ আল মামুন ও আইচ মোল্লা তৃতীয় উইকেট জুটিতে একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন, যেটি ভাঙেন খালেদ। সে সময়ে ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে উত্তরাঞ্চল। নিয়মিত বিরতিতেই এরপর উইকেট হারিয়ে গেছে তারা, অলআউট হয়ে গেছে ৩৪.৩ ওভারের মধ্যেই।
পারভেজ ও জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটি ভালো একটি শুরু এনে দেয় পূর্বাঞ্চলকে, দুজন যোগ করেন ৪৭ রান। জাকিরের পর অমিতের উইকেটও হারিয়েছে পূর্বাঞ্চল, তবে ১৪০ বলে ৬৬ রান করা পারভেজ অপরাজিত আছেন দিন শেষে। তাঁর সঙ্গী অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাটিং করছেন ১২ রানে।
দিনের অন্য ম্যাচে অবশ্য প্রথম দিন শেষে সমান বলতে হবে দুই দলকেই। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণাঞ্চল, জবাবে ১৩ ওভারে ৫৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চল ১২৭ রানেই হারায় ৭ উইকেট, প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র ফজলে মাহমুদই (৪৬) পেরোতে পারেন ২০ রান। এরপরও তারা ২০০ পেরোয় সাতে নামা মঈন খানের ১১০ বলে ৭৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে। গত ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের রোমাঞ্চকর ড্রয়ের দুই নায়ক মঈন ও সুমন খান এবার অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ১৭৫ বলে ৬৭ রান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম, ২টি করে নেন আবু হায়দার ও শুভাগত হোম।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও শুরুটা দারুণ করেন সুমন, নিজের প্রথম ২ ওভারে তিনি ফেরান দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম ও আবদুল মজিদকে। দিনের শেষ ওভারে গিয়ে অধিনায়ক সাইফ হাসানকে ফেরান নাঈম হাসান। দিন শেষে ২৮ বলে ২২ রান করা নাঈম ইসলামের সঙ্গী ৪ বল খেলে কোনো রান না করা তাইবুর রহমান।