সূর্যকে ম্লান করতে পারেননি ১০ ছক্কা মারা রশিদ
শেষ পর্যন্ত রশিদ খান পারলেন না। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রশিদ। তবে দলকে জেতাতে না পারলেও দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন এই আফগান ক্রিকেটার। বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১০ ছক্কায় ৩২ বলে করেছেন ৭৯ রান। নবম উইকেট জুটিতে আলজারি জোসেফের সঙ্গে গড়েছেন ৪০ বলে ৮৮ রানের জুটি। যেখানে জোসেফের অবদান ১২ বলে মাত্র ৭।
রশিদের বীরত্বের পরও গুজরাট হেরেছে ২৭ রানে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই তুলেছিল ৫ উইকেটে ২১৮ রান। জবাবে গুজরাট থেমেছে ১৯১ রানে। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে মুম্বাই। সমান ম্যাচে ৮ জয়ে শীর্ষে গুজরাট।
রশিদ না পারলেও পেরেছেন সূর্যকুমার যাদব। টম মুডিই সম্ভবত ঠিক কথাটা বলেছেন। প্রথম ইনিংস শেষে সাবেক কোচ ও ধারাভাষ্যকার টম মুডি বলেছেন-সূর্যকুমারকে বল করা প্রায় অসম্ভব। গুজরাটের বিপক্ষে সূর্যর সেঞ্চুরি দেখলে তেমনটাই মনে হবে। রশিদ খান, মোহাম্মদ শামিদের বিপক্ষে ৩২ বলে ৫০ রান করা সূর্য সেঞ্চুরি করেছেন ৪৯ বলে।
আলজারি জোসেফের করা ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন মুম্বাইয়ের এই ব্যাটসম্যান। আইপিএলে এটি সূর্যর প্রথম সেঞ্চুরি। আইপিএলের শুরুতে ছন্দহীন সুর্যর সর্বশেষ ছয় ইনিংসে এটি পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।
২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গুজরাট। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই ফিরেছেন ২৬ রানের মধ্যে। এরপর বিজয় শংকরকে নিয়ে ইনিংস টেনে তোলার দায়িত্ব নেন ডেভিড মিলার। শংকর ২৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় গুজরাট। এরপর রাহুল তেওয়াতিয়া, রশিদ খানরা হারের ব্যবধান খুব বেশি কমাতে পারেননি। ৪১ রান করেছেন মিলার।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে রোহিত শর্মার দল। পাওয়া প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছেন ৬১ রান। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা রোহিত এদিন করেছেন ২৯ রান। ঈশান কিষান করেছেন ৩১ রান। বিষ্ণু বিনোদ করেছেন ৩০ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে ১৮ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন সূর্য। যেখানে গ্রিনের অবদান মাত্র ৩ রান।