‘উমরানের মতো বোলার পাকিস্তানের টেপ-টেনিস ক্রিকেটেই ১২-১৫ জন আছে’
ভারতের ক্রিকেটে নতুন গতিতারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন উমরান মালিক। কাশ্মীর থেকে উঠে আসা ২৩ বছর বয়সী এই পেসার নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে গতি তুলছেন।
সদ্য সমাপ্ত ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর গতি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অনেকে। উমরানের গতির প্রশংসা ঝরেছে সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী হতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ব্রেট লির কণ্ঠেও।
তবে এমন গতিময় পেসার পাকিস্তানের টেপ টেনিস ক্রিকেটেই অনেক আছে বলে মন্তব্য করেছেন সোহেল খান। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার উমরানকে ভালো পেস বোলার মনে করেন।
তবে গতির দিক থেকে ভিন্ন কিছু বলে মনে করেন না, ‘উমরান মালিক নামের ছেলেটা ভালো বোলিং করে। ওর দুই-একটা ম্যাচ আমি দেখেছি। জোরে দৌড়ায়, নিয়ন্ত্রণও রাখতে পারে। তবে আপনি যদি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বোলারের কথা বলেন, আমি আপনাকে এখনই পাকিস্তানের টেপ টেনিস বল ক্রিকেটে এ ধরনের ১২ থেকে ১৫ জন বোলার দেখাতে পারব। আপনি লাহোর কালান্দার্সের ট্রায়ালে গেলে এ রকম অনেক বোলার খুঁজে পাবেন।’
২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেছেন সোহেল খান। ৩৮ বছর বয়সী এই পেসার উমরান প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন দ্য নাদির আলী পডকাস্টে।
পাকিস্তান পেসারদের উর্বরভূমি বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘উমরান মালিকের মতো বোলার আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর আছে। যারা ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে উঠে আসে, ওরা একেকজন সত্যিকারের বোলার হয়ে ওঠে। যেমন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফরা আছে। এ ধরনের আরও নাম বলতে পারব আমি।’
কিছুদিন আগে উমরানকে নিয়ে কথা বলেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক পেসার আকিব জাভেদও। ‘ইভেন্ট অ্যান্ড হ্যাপেনিংস স্পোর্টস’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে হারিসের সঙ্গে উমরানের তুলনা টেনে আকিব বলেন, ‘উমরান মালিক হারিস রউফের মতো অতটা ট্রেনিং পায়নি। ওয়ানডেতে যদি তাকে (উমরান) দেখেন, প্রথম স্পেলে সে হয়তো ঠিকই ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে বল করছে, কিন্তু সপ্তম কিংবা অষ্টম ওভারে সেটাই নেমে আসছে ঘণ্টায় ১৩৮ কিলোমিটারে।’
এ ক্ষেত্রে ভারতের বিরাট কোহলির কথা উল্লেখ করেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী পেসার, ‘কোহলি ও বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যে পার্থক্য, উমরান-রউফের মধ্যেও তেমনই পার্থক্য। হারিস ফিটনেস ও খাবার নিয়ে খুব সচেতন। তার মতো খাবার নিয়ে সচেতন পেসার পাকিস্তানে আর একজনও নেই। এত পরিচ্ছন্ন জীবনও কারও নেই। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করা আমার কাছে অত গুরুত্বপূর্ণ নয়। গোটা ম্যাচে একই গতিতে বল করা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’