বাংলাদেশের বিপক্ষে আফ্রিদিকে বাদ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠল বাবরদের নিয়েও

পাকিস্তানের পেসার শাহিন আফ্রিদিএএফপি

রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তান স্কোয়াড থেকে শাহিন আফ্রিদিকে ছেঁটে ফেলার সমালোচনা করেছেন আহমেদ শেহজাদ। গতকাল এই টেস্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে টসই হয়নি

শেহজাদ প্রায় ৫ বছর ধরে পাকিস্তান জাতীয় দলে উপেক্ষিত। দেশের হয়ে ১৩ টেস্ট, ৮১ ওয়ানডে ও ৫৯ টি–টোয়েন্টি খেলা এই ওপেনার নিজের ‘এক্স ’ হ্যান্ডলে পোস্ট করা ভিডিওতে বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারলেন। ভারতের কাছেও হারলেন। এখন হারলেন বাংলাদেশের কাছে। এসব কিছুর জন্য কি শুধু শাহিন আফ্রিদিই দায়ী?’

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ১০ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। সেই টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩০ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারের দায় আফ্রিদিকে দিয়ে তাঁকে দ্বিতীয় টেস্টে ১২ জনের স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে।

কিন্তু শেহজাদ মনে করেন, বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হারের পেছনে আফ্রিদিই একমাত্র কারণ নয়। ৩২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ভিডিওতে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তার পারফরম্যান্স নেমে গেছে। আচরণেও সমস্যা আছে। তাকে বাদ দিলেন ভালো কথা। কিন্তু এ বিষয়ে অন্যদের কী হবে? বাকিদের পারফরম্যান্সের কী অবস্থা?’

ভিডিওতে বাবর আজম, আবদুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুবের বাজে পারফরম্যান্সের উদাহরণ টেনে শেহজাদ বলেছেন, ‘সর্বশেষ ৮ টেস্টে আবদুল্লাহ শফিক কেমন খেলেছে? ২৫ ম্যাচ পর সাইম আইয়ুবের পারফরম্যান্স কেমন? সর্বশেষ ১৪ টেস্টে বাবর আজম কেমন করেছে? তাই তাদের শুধু বাদ দিয়ে কোনো কাজ হবে না। পাকিস্তান দল সঠিক পথে থাকবে না। কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, যাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

একজন খেলোয়াড়ের কাঁধে সব দোষ না চাপিয়ে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের অনুরোধ করেছেন শেহজাদ, ‘দেশ ও ক্রিকেটের চেয়ে কেউ বড় নয়। দেশ সবকিছুর ওপরে। যত লোকই নিজের প্রচারণা চালাক, ব্যক্তিগত মাইলফলকের পেছনে লুকাক, বোর্ড কিনে নিক কিংবা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক, আমরা সব জানি। পিসিবিতে বিভিন্ন বিষয় তদারকির দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরাও এসব জানেন। তাই এখন শুধু একজনকে না দুষে যদি সত্যিই সঠিক পথে যেতে চান, তাহলে সবাইকেই (জবাবদিহির) আওতাভুক্ত করতে হবে।’