ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র: ‘এর মতো কোনো কিছু হতেই পারে না’
ব্যাটিংয়ে নামছেন শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেবাগ, বোলিং শুরুর আগে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান দল।
এমনই এক ছবিকে পোস্টার বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছে নেটফ্লিক্স। জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি ক্যাপশন দিয়েছে, ‘দুটি জাতি। একটি মহাকাব্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ১৬০ কোটির প্রার্থনা।’
এরপরই বিজ্ঞাপনী আহ্বান, ‘একটি লিগ্যাসির রোমাঞ্চকর সাক্ষী হতে আসুন। এর মতো কোনো কিছু হতেই পারে না।’
হ্যাঁ, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে বিশেষ তথ্যচিত্র নিয়ে আসছে নেটফ্লিক্স; এই ডকুমেন্টারি সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা: ভারত বনাম পাকিস্তান।’ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এটি মুক্তি পাবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াই ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেটফ্লিক্সের এই ডকুমেন্টারি সিরিজে সৌরভ গাঙ্গুলী, বীরেন্দর শেবাগের মতো কিংবদন্তিরাও থাকছেন। ১৯৭৮ সালে দুই দল প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচের কিছু গল্পও উঠে আসবে। সুনীল গাভাস্কার ও শোয়েব আখতারের কাছ থেকে দর্শকেরা অজানা অনেক কিছু জানতে পারবেন। অর্থাৎ, তথ্যচিত্রে শুধু ভারত–পাকিস্তানের ২২ গজের দ্বৈরথই তুলে ধরা হবে না; বরং এই ম্যাচ ঘিরে খেলোয়াড়দের স্নায়ুর চাপ কেমন থাকে, সেসবও উঠে আসবে।
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এক যুগ হলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে না ভারত–পাকিস্তান। দুই দলের ম্যাচ দেখতে তাই আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোর দিকেই চেয়ে থাকতে হয়। সেখানেও ঝামেলার শেষ নেই।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় ভারত রোহিত–কোহলি–বুমরাদের সেখানে পাঠাতে রাজি হয়নি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান সরকারও ভবিষ্যতে ভারতে তাদের কোনো ক্রিকেট দল পাঠাবে না।
শেষ পর্যন্ত সমাধান হয়ে এসেছে হাইব্রিড মডেল। এই মডেল অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। তাই রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে খেলতে বাবর–রিজওয়ান–আফ্রিদিদের আরব আমিরাতে যেতে হবে।