২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সিডনি টেস্ট: ০ রানে আউট হয়ে রেকর্ড পাকিস্তানের দুই ওপেনারের

পাকিস্তানের ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে আউট করে উল্লাস অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কেরএএফপি

অপ্রত্যাশিত রেকর্ড? সে তো বটেই। কোনো ওপেনারই এভাবে ফিরতে চান না, যেভাবে সিডনি টেস্টে আজ প্রথম দিনে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ফিরেছেন দুই ওপেনার। মিচেল স্টার্কের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট আবদুল্লাহ শফিক।

পরের ওভারে অভিষিক্ত সায়েম আইয়ুবও আউট। জশ হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষেক ইনিংসটা ভুলেই থাকতে চাইবেন এই বাঁহাতি। কারণ, আউট হওয়ার আগে যে স্কোরবোর্ডে নিজের নামের পাশে রান যোগ করতে পারেননি। সায়েম অবশ্য আবদুল্লাহকে দেখে কষ্ট ভুলতে পারেন। এরই মধ্যে ১৬ টেস্টে খেলে পাকিস্তানের ওপেনিংয়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করা আবদুল্লাহর নামের পাশেও তো ০!

আরও পড়ুন

অর্থাৎ সিডনি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি ঘটনাও দেখা গেল। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নতুন বছরের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হলেন।

তবে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন। সেই যে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৪ জানুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারের মধ্যে আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল। দুজনেই শূন্য রানে আউট হন।

২০১০ সালে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস
প্রথম আলো

২০১০ সালে সেটি প্রথম টেস্ট ছিল না। তার আগে আরও পাঁচটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি এড়াতে পেরেছিলেন তামিম-ইমরুল। কিন্তু সায়েম-আবদুল্লাহ জুটি সেটি পারলেন না। না চাইলেও তাঁদের নামের পাশে এখন এই রেকর্ড লেখা থাকবে। আর তামিম-ইমরুল থাকবেন আজকের এই রেকর্ডের সবচেয়ে কাছাকাছি। কারণ, নতুন বছরের প্রথম টেস্টে আজকের এই রেকর্ডের আগে ২০১০ সালের সেই মিরপুর টেস্টই ছিল রেকর্ডটি হওয়ার সবচেয়ে কাছাকাছি ম্যাচ।

১৫
টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনারের শূন্য রানে আউট হওয়ার এটি ১৫তম উদাহরণ।

কোনো টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনারের শূন্য রানে আউট হওয়ার এটি ১৫তম উদাহরণ। ১৯৩৩ সালে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে এমন কিছু প্রথম দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার হার্বার্ট সাটক্লিফ ও এডি পেইন্টার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে আছে দুবার। প্রথমটি তো ওপরে বলাই হলো।

সর্বশেষটি ২০২২ সালে মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান।

পাকিস্তানের ওপেনারদের মধ্যে সায়েম আইয়ুবও অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। পাকিস্তানের পঞ্চম ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেক (প্রথম) ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন সায়েম। তাঁর আগে সর্বশেষ এমন কিছু দেখা গেছে ২২ বছর আগে শারজা টেস্টে। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল পাকিস্তানের ওপেনার নাভিদ লতিফের। ৬ বল খেলে মারভিন ডিলনের বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন নাভিদ।

এ তালিকায় বাকি তিনজন—শাকিল আহমেদ জুনিয়র, সাঈদ আনোয়ার ও রিজওয়ান-উজ-জামান। এই পাঁচজনের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বিখ্যাত নামটি সাঈদ আনোয়ার। ১৯৯০ সালে ফয়সালাবাদ টেস্টে অভিষেক সাঈদ আনোয়ারের। সে ম্যাচে ৫ বল খেলে শূন্য রানে কার্টলি অ্যামব্রোসকে উইকেট দেন সাবেক এই ওপেনার।

১০
টেস্টে এক ইনিংসে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শূন্য রানে আউট হওয়ার এটি ১০ম ঘটনা

টেস্টে এক ইনিংসে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শূন্য রানে আউট হওয়ার এটি ১০ম ঘটনা। আজকের আগে সর্বশেষ এমন কিছু দেখা গেছে ২০২০ সালে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে। ৩৭৩ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রান না করেই আউট হয়েছিলেন দুই ওপেনার শান মাসুদ ও আবিদ আলী।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শূন্য রানে আউট হওয়ার সর্বশেষ নজির এর আগে দেখা গেছে ১৯৮১ সালে পার্থ টেস্টে। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মুদাসসর নজর ও রিজওয়ান-উজ-জামান। সেটি ছিল আবার রিজওয়ান-উজ-জামানের অভিষেক টেস্ট।

আরও পড়ুন