৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স, আবু হায়দারের ৭ উইকেট
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে মাত্র ৪০ রানে অলআউট করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মাত্র ১২ ওভারের মধ্যে গাজীকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.২ ওভারে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছে মোহামেডান।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০০২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম। দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি কোনো দলের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।
‘লিস্ট এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফতুল্লায় আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ২০.২ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল ক্রিকেট কোচিং স্কুল। এরপর আজ সেই প্রিমিয়ার লিগেই মাত্র ৪০ রানে অলআউট হলো গাজী টায়ার্স। এই সংস্করণে ওভারের হিসাবে গাজীর ইনিংসটাই (১২ ওভার) সংক্ষিপ্ততম।
প্রিমিয়ার লিগ ২০১৩-১৪ মৌসুমে ‘লিস্ট এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত হওয়ার পর এই প্রতিযোগিতায় ৫০ রানের নিচে কোনো দলের অলআউট হওয়ার এটি তৃতীয় ঘটনা। ক্রিকেট কোচিং স্কুল এবং গাজী টায়ার্স ছাড়াও ২০১৭ সালে ফতুল্লায় খেলাঘরের বিপক্ষে ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব।
সাভারে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজীর ইনিংসকে আজ একাই ধসিয়ে দিয়েছেন মোহামেডানের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার। ২০ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। ক্রিকইনফোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
২০১৮ সালে ফতুল্লায় আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের ইয়াসিন আরাফাত। তবে দেশের ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে আবু হায়দারের আজকের বোলিং বিশ্লেষণ (৭/২০) তৃতীয় সেরা। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। দেশের ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এখনো ইয়াসিন আরাফাতের।
গাজী টায়ার্সের হয়ে আটে নামা ইফতেখার সাজ্জাদ শুধু দুই অঙ্কের রান তুলতে পেরেছেন। ১৬ রানে আউট হন তিনি। এ ছাড়া গাজীর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। স্পিনার নাসুম আহমেদ মোহামেডানের হয়ে বাকি ৩টি উইকেট নেন। তিনিও আবু হায়দারের মতো ২০ রান দিয়েছেন। তাড়া করতে নেমে শুধু রনি তালুকদারের (১২) উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান। ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। রনির উইকেটটি নেন গাজীর আরিদুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী টায়ার্স: ১২ ওভারে ৪০ (ইফতেখার ১৬, মহব্বত ৫, হাফিজুর ৫, শামীম ৪ ; আবু হায়দার ৭/২০, নাসুম ৩/২০)
মোহামেডান: ৬.১ ওভারে ৪১/১ (ইমরুল ১৯*, রনি ১২, মাহিদুল ৫*; আরিদুল ১/৪, ইমন ০/১৫, ইফতেখার ০/১১)
ফল: মোহামেডান ৯ উইকেটে জয়ী।