জাতীয় লিগ: অমিত-আরিফুলের সেঞ্চুরি, সাব্বিরের ৬ উইকেট
সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল পিনাক ঘোষের। কিন্তু কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের শেখ মেহেদী হাসানের বলে ৯৯ রানে আউট হয়ে গেছেন তিনি। নিজের দলের ওপেনারের মতো ভুল করেননি সিলেট বিভাগের অধিনায়ক অমিত হাসান।
খুলনা বিভাগের বিপক্ষে দিন শেষে তিনি অপরাজিত ১০৯ রানে। ৩৩ ম্যাচের ছোট্ট প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি অমিতের অষ্টম সেঞ্চুরি। পাশের মাঠে বরিশাল ও চট্টগ্রামের ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন চট্টগ্রামের বোলাররা। এনামুল হক ও আশরাফুল হাসান ৩টি করে উইকেট নিলে দিন শেষে বরিশাল ৭ উইকেটে করেছে ২৩৬ রান।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান মাঠে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন রংপুরের আরিফুল হক। ১০৩ রানের ইনিংস খেলে দলের মান রক্ষা করেন তিনি। রাজশাহী বিভাগের বিভাগের সাব্বির হাসান ৬ উইকেট নিয়েছেন। এটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ৫ উইকেট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ঢাকা মহানগরের রান ৬ উইকেটে ২৩৩। শামসুর রহমান সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন।
অমিতের সেঞ্চুরিতে সিলেটের দাপট
জাকির হাসান নেই। জাকের আলীও নেই। দুজনই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সিরিজের ডাক পাওয়ায় জাতীয় লিগ খেলা হচ্ছে না। সিলেট বিভাগের ব্যাটিং অর্ডারের দুই স্তম্ভ না থাকায় অমিত হাসানকে ভালো করতেই হতো। চতুর্থ রাউন্ডে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে সেটি তিনি করে দেখালেন।
সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন ওপেনার পিনাক ঘোষকে। দলীয় ৭ রানে ওপেনার তৌফিক খান আউট হওয়ার দুজন মিলে গড়েছেন ১৮৭ রানের জুটি। পিনাক ৯৯ রানে আউট হলেও অমিত দিন শেষে অপরাজিত ১০৯ রানে, বল খেলেছেন ২২৮টি। সিলেটের রান ৩ উইকেটে ২৪৪।
আরিফুলের সেঞ্চুরি, সাব্বিরের ৬ উইকেট
রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে রংপুর বিভাগ। রংপুরের হয়ে একাই লড়াই করেছেন আরিফুল হক। ১৬১ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর নবম সেঞ্চুরি। রাজশাহীর অলরাউন্ডার সাব্বির হোসেন ক্যারিয়ার–সেরা বোলিং করে ৪৭ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ৩৯ রান। ক্রিজে আছেন হাবিবুল রহমান (১২) ও সাব্বির (১৭)।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে বরিশালের লোয়ার অর্ডারের লড়াই
আগের রাউন্ডে সেঞ্চুরি করা তরুণ ওপেনার ইফতেখার হোসেন আজ বল ১৬৮ বল খেলে করেছেন ৩৭ রান। তবে জুটি গড়ার জন্য ওপরের দিকে কোনো ব্যাটসম্যানকে সঙ্গী হিসেবে পাননি।
১২০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর তাসামুল হক, সোহাগ গাজী ও মঈন খান তাঁকে একটু সঙ্গ দিয়েছেন। তাসামুল ৫৩ রান করেছেন। সোহাগ ২২ রানে আউট হলেও মঈন অপরাজিত আছেন ৪৩ রানে। তাদের সৌজন্যে প্রথম দিন শেষে বরিশাল করেছে ৭ উইকেটে ২৩৬ রান। চট্টগ্রামের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক ও আশরাফুল হাসান।
শামসুরের ৮৬
ঢাকা মহানগরের হয়ে জাতীয় লিগের প্রথম তিন রাউন্ডের দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন আইচ মোল্লা ও মার্শাল আইয়ুব। আজ সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল শামসুর রহমানের। কিন্তু ঢাকা বিভাগের পেসার এনামুল হকের বলে ৮৬ রানে থামে শামসুরের ইনিংস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে প্রথম দিন শেষে মহানগরের রান ৬ উইকেটে ২৩৩ রান। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার এনামুল।