পাকিস্তান দলে ‘অন্যায় হয়েছে’ ইমাম–উল–হকের সঙ্গে
ক্রিকেটমঞ্চে আগমনের পর প্রতিভার চেয়ে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে বেশি আলোচিত হয়েছেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম–উল–হক। মূলত পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইনজামাম–উল–হকের ভাতিজা হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল ইমামকে।
বিভিন্ন সময় স্বজনপ্রীতির কারণে ইমাম দলে জায়গা পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান চাচা ইনজামামের সঙ্গে অসম তুলনার কারণেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
এমন সমালোচনামুখর পরিস্থিতির মধ্যেও ইমামের পরিসংখ্যান একেবারে খারাপ নয়। ২৪ টেস্টে ৩৭.৩৩ গড়ে ১,৫৬৮ রান করেছেন ইমাম। ৩টি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৯টি ফিফটি। আর ওয়ানডেতে ৭২ ম্যাচে ৪৮.২৭ গড়ে তাঁর রান ৩,১৩৮। ৯ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি আছে ২০টি।
এরপরও অবশ্য বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইমামকে এবং বর্তমানেও আছেন দলের বাইরে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। ইমাম অবশ্য মনে করেন, পাকিস্তান দলে তাঁর সঙ্গে ‘অন্যায়’ করা হয়েছে।
সম্প্রতি তাবিশ হাশমির উপস্থাপনায় ‘হাসনা মানা হে’ নামের এক অনুষ্ঠানে স্ত্রী আনমোলকে নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন ইমাম। বিনোদনমূলক সেই অনুষ্ঠানে নিজের দাম্পত্য জীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইমাম। সেই সাক্ষাৎকারে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে জবাব দেওয়ার মতো কিছু চটজলদি প্রশ্ন করা হয় ইমামকে। সেই কথোপকথনেই নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের কথা বলেন ইমাম।
তাবিশ ইমামকে শুরুতেই জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনার সঙ্গে কি দলে অন্যায় হয়েছে?’ একটু ভেবে ইমাম এক শব্দে উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ’। পরের প্রশ্নটি ছিল অধিনায়কত্ব নিয়ে। উপস্থাপক জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কি এ সময় দলকে আরও ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন?’ এর উত্তরে অবশ্য ভাবতে হয়নি ইমামকে। তিনি বলেন, ‘না’।
এরপরের প্রশ্ন ছিল ইনজামাম–উল–হক কি মিসাবহ উল হকের চেয়ে ভালো অধিনায়ক ছিলেন? ইমাম বলেন, ‘হ্যাঁ’। তাবিশের পরের প্রশ্নটি অবশ্য মজার ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘বাবর আজমকে কি ওপেনিং পজিশন ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করা উচিত?’ উত্তরে ইমাম হেসে উত্তর দিয়ে বলেন, ‘না’।
এ অনুষ্ঠানে বিবাহ–পরবর্তী জীবন নিয়েও প্রশ্ন আসে ইমামের কাছে। এক দর্শক জানতে চান, বিয়ে ইমামকে বদলে দিয়েছে কি না? জবাবে ইমাম বলেছেন, ‘গত এক–দেড় বছরে আমাদের এখানে খেলা হয়েছে কম, বরং বিয়ে হয়েছে বেশি। আমার জীবনে খুব বেশি বদল আসেনি। আমি যেটা আগেই বলেছিলাম, দুই বছরের বন্ধুত্ব ছিল আমাদের। এটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যেমন মানুষ, আমার যে পার্টনার, সে যেন আমার লাইফস্টাইলকে বুঝতে পারে। ফলে আমার জন্য কঠিন হয়নি। সে আমাকে খুব ভালোভাবেই চেনে।’