রংপুরের বড় জয়ের ম্যাচে দশেও ব্যাট করেননি সাকিব
স্কোরকার্ডে রংপুরের ইনিংসটা খুঁটিয়ে দেখলে অবাক হতেই পারেন। রংপুরের ইনিংসে ব্যাট করেছেন ১০ জন, তাঁদের মধ্যে নেই সাকিব আল হাসান!
তবে গতকাল বলা রংপুর কোচ সোহেল ইসলামের কথা শুনে থাকলে অবশ্য বিষয়টি স্বাভাবিক লাগতে পারে। কারণ, রংপুরের কোচ জানিয়েছেন, চোখের সমস্যার কারণে আপাতত সাকিব একজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। সাকিবের ব্যাটিংয়ে না নামার দিনে সাকিবের ভূমিকা পালন করেছেন আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩২ রানের পর বল হাতে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। আফগান অলরাউন্ডারের এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও বাবর আজমের অর্ধশতকে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৭৯ রানে হারিয়েছে রংপুর। নুরুল হাসানের দলের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ঢাকা ১৬.৩ ওভারে অলআউট ১০৪ রানে। চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামেননি তাসকিন আহমেদ।
সিলেটে ঢাকার সামনে ১৮৪ রানের লক্ষ্য, বিপিএলের ইতিহাস বিবেচনায় এটাকে বড় লক্ষ্যই বলতে হবে। এই রান তাড়া করতে দুর্দান্ত ঢাকার লঙ্কান ওপেনার দানুস্কা গুনাতিলকা ও তিন নম্বরে খেলা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুবকে জ্বলে উঠতে হতো। তবে গুনাতিলকা ফিরেছেন শূন্য রানে, আর সাইম ১৪ বলে ১৭ রানে। দুজনকেই আউট করেছেন ওমরজাই।
মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ৯ রানের মন্থর ইনিংস, যা শুধু ঢাকার চাপই বাড়িয়েছে। ঢাকার মান বাঁচানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও সুইপ শটে পারদর্শী অ্যালেক্স রস, দুজনে গড়ে ৪২ বলে ৪৯ রানের জুটি। মোসাদ্দেক ১৮ বলে ১৫ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন। তবে রস ৩২ বলে অর্ধশতকের দেখা পান। মেহেদীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৪ বলে করেন ৫১ রান। ৩.৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। সাকিব ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং নেমে এদিন ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ব্রেন্ডন কিংকে বাবরের সঙ্গে ওপেনে পাঠায় রংপুর। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ কিং আজ করছেন ১৩ বলে ২০। তিন নম্বরে নেমে রনি তালুকদারও ব্যর্থ হয়েছেন। করেছেন ৭ বরে ১১। নুরুল হাসান করেছেন ২৪ বলে ২৬। মূলত রংপুরের রান বড় সংগ্রহের দিকে যায় ওমরজাই- বাবরের ২১ বলে ৩৯ রান ও ওমরজাই-শামীমের ১৪ বলে ৩৫ রানের জুটিতে। ১৭তম ওভারে আউট হওয়া বাবর ৪৬ বলে করেছেন ৬২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৮৩/৮ (কিং ২০, বাবর ৬২, রনি ১১, নুরুল ২৬, নবী ১, ওমরজাই ৩২, শামীম ১৭, মেহেদী ৮*, রিপন ১, হাসান ০*; তাসকিন ২-০-১৪-১, শরীফুল ৪-০-৩৫-১, আরাফাত ৪-০-৩২-৩, আলাউদ্দিন ৪-০-৪৩-১, গুনাতিলকা ৩-০-২৫-১, মোসাদ্দেক ৩-০-৩২-০)
দুর্দান্ত ঢাকা: ১৬.৩ ওভারে ১০৪ ( গুনাতিলকা ০, নাঈম ৯, সাইম ১৭, ক্রুসপুল্লে ০, রস ৫১, মোসাদ্দেক ১৫, ইরফান ০, আলাউদ্দিন ৩, শরীফুল ০, আরাফাত ১*; ওমরজাই ৩-১-১৪-২, মেহেদী ৩.৩-০-১১-৩, হাসান ২-০-১৮-২, নবী ২-০-১০-১, সাকিব ৩-০-২৩-১, রিপন ৩-০-২৭-০)
ফল: রংপুর ৭৯ রান জয়ী
ম্যাচসেরা: বাবর আজম