ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত ক্লাইভ লয়েড
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দুবার বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ওসিসি) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এটি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার।
সত্তরের দশকজুড়ে এবং আশির দশকের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সাফল্যে দারুণ ভূমিকা লয়েডের। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন মারকুটে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত রান তুলতে পারতেন। আর কৌশলগত ব্যাপারেও ছিলেন বিচক্ষণ। তাঁর অধিনায়কত্বে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রায় দুই দশক ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের আধিপত্যেও বড় ভূমিকা লয়েডের। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে খেলেছেন ১০০ টেস্ট। ৭৪ টেস্টে অধিনায়কত্ব করে হেরেছেন মাত্র ১২ ম্যাচ।
গত রোববার গ্রেনাডায় কনফারেন্স অব হেডস অব গভর্নমেন্ট অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কারিকম) ৪৭তম বৈঠকে ৭৯ বছর বয়সী লয়েডকে ওসিসি সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো। তিনি বলেছেন, ‘এই পুরস্কার এমন একজন মানুষের প্রতি যোগ্য নিবেদন, যিনি শুধু ক্রিকেটেই উৎকর্ষের প্রতীক নন, এই বিশ্ব এবং ক্যারিবিয়ানদের জন্যও নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণার স্তম্ভ। ক্রিকেটে স্যার ক্লাইভের অবদান এবং এই খেলাটির উন্নয়নে তাঁর নিবেদন সত্যিকার অর্থেই অতুলনীয়।’
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ সভাপতি আরও বলেছেন, ‘স্যার ক্লাইভের লিগ্যাসি প্রত্যেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানের মধ্যেই গভীরভাবে অনুরণিত হয়। সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে তাঁর নেতৃত্বগুণ, সংকল্প ও ক্রীড়ানৈপুণ্য। কারিকমের এই স্বীকৃতি আমাদের এই অঞ্চলে এবং ক্রিকেটে তাঁর টেকসই প্রভাবেরই স্মারক। তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তটি উদ্যাপন করতে পেরে আমরা সম্মানিত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১১০ টেস্ট ও ৮৭ ওয়ানডে খেলা লয়েড অবসর নেওয়ার পর কোচ, নির্বাচক ও ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন। গায়ানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি এবং ২০১৯ সালে তাঁকে নাইটহুড দেওয়া হয়।