এক বিপিএলে দুবার শাস্তি পেলেন নাজমুল
বিপিএলে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ ভঙ্গের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। এবার শাস্তি পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন। এ নিয়ে এবারের বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো অসদাচরণের জন্য শাস্তি পেলেন তিনি।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২ ধারা ভেঙেছেন নাজমুল। এটি লেভেল ওয়ান ধরনের অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে এ ক্ষেত্রে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এ নিয়ে তাঁর নামের পাশে যুক্ত হলো তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। নিয়ম অনুযায়ী, চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আসবে। দুবার আলাদা দুটি ঘটনায় ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেও তাই আগামীকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে কোনো বাধা নেই নাজমুলের।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৩০ বলে ৪০ রান করে মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লু হন নাজমুল। অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে উইকেটটি পায় রংপুর। মেহেদীর বলটি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেছিলেন নাজমুল। টেলিভিশন আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না।
প্রথমে অন ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন নাজমুল, ক্রিজও ছাড়তে চাইছিলেন না। রংপুরের ডোয়াইন ব্রাভো এসে আলাদা করে নাজমুলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ফেরার পথে এরপরের ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও নিজের অবস্থান বেশ ক্ষুব্ধভাবে জানাতে দেখা যায় তাঁকে।
এমনিতে স্টাম্প থেকে তিন মিটার বা এর বেশি দূরে ইমপ্যাক্ট থাকলে সেটি আম্পায়ার্স কল হওয়ার কথা। যদিও কিছুক্ষণ পর টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখানো হয়, মেহেদীর বল নাজমুলের প্যাডে আঘাত করার সময় স্টাম্প থেকে তিন মিটারের কম দূরত্বেই ছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন নাজমুল। ফলে আলাদা করে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা শুনেছিলেন নাজমুল, সঙ্গে পেয়েছিলেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।