মিরাজের ঝোড়ো ফিফটিতে চড়ে চারে উঠল খুলনা
ম্যাচের শেষ ওভারে খেলাটা জমে গেল আচমকাই। খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ বলে ৫ রান। কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইংলিশ পেসার রিস টপলি প্রথম চার বলে দেন মাত্র ২ রান। স্ট্রাইকে তখন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান উইলিয়াম বোসিস্টো।
২ বলে ৩ রানের সমীকরণে ইংলিশ পেসার ও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের লড়াই যখন জমে গেল মনে হচ্ছিল, তখনই পঞ্চম বলে টপলিকে মিড উইকেট বাউন্ডারির ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠান বোসিস্টো। খুলনা টাইগার্স ১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতল ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
এ জয়ে বিপিএল পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এসেছে খুলনা টাইগার্স। আর টানা চতুর্থ হারে সাত দলের মধ্যে তলানিতেই থাকছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচটি ছিল এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচ। রান তাড়ায় খুলনার লক্ষ্য ছিল ১৫৩। শেষ ওভারে সেটা অর্জনের পেছনে মুখ্য ভূমিকা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের। ওপেনিংয়ে নেমে ৫০ বলে ৭০ রান করে জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়ে যান মিরাজই।
গতকাল ফরচুন বরিশালের ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলে শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়েও জিততে পারেনি খুলনা। আজ সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই শুরু থেকে মেরে খেলেছেন মিরাজ। ফিফটিতে পৌঁছেছেন ২৯ বলে, যা ২০২৩ আসরের পর বিপিএলে তাঁর প্রথম ফিফটি।
৮ চার ২ ছক্কায় ৭০ রান করে মিরাজ যখন আউট হন, ততক্ষণে খুলনা টাইগার্সের রান ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৬। বাকি কাজটা সেরেছেন দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস (২৩ বলে ২০*) ও বোসিস্টো (১১ বলে ১৯*)।
এর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের শুরুটাও ছিল ঝোড়ো। রনি তালুকদার শূন্য রানে আউট হলেও জর্জ মানসি ও জাকির হাসানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি পাওয়ার প্লের মধ্যেই দলের রান ৫৮–তে নিয়ে যায়। মানসি ৩২ বলে ৫৮ রান করে আউট হওয়ার পর দলকে টেনেছেন জাকির।
১৫তম ওভারে জাকির ৩২ বলে ৪৪ রান করে আউট হলে সিলেটের রানের গতি থেমে যায়। শেষ পাঁচ ওভারে দলটি তুলতে পারে মাত্র ২৭ রান, হারায় ৪ উইকেট।
খুলনার বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, সালমান ইরশাদ ও আবু হায়দার। তবে বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ৭০ রান করে ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক মিরাজই।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষ বিপিএল পয়েন্ট তালিকায় ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টাইগার্সের অবস্থান চারে। খুলনার মতো ৮ পয়েন্ট আছে রাজশাহীরও, তবে ৯ ম্যাচ খেলা রাজশাহী রান রেটে পিছিয়ে। ৯ ম্যাচ খেলে ২ জয়ে সিলেটের অবস্থান সাতে।
শীর্ষ তিনটি স্থানে রংপুর রাইডার্স (১৬ পয়েন্ট), ফরচুন বরিশাল (১২) ও চিটাগং কিংস (১০)।