আক্রমণাত্মক খেলা ছাড়া উপায় নেই বাবরদের
কথাটা প্রথম শোনা গিয়েছিল বাবর আজমের মুখে। পাকিস্তান অধিনায়ক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে আরও আক্রমণাত্মক খেলার কথা বলেছিলেন। এই কথা যে বাবর বলার জন্যই বলেননি, সেটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই স্পষ্ট। যে টেস্ট সিরিজে আক্রমণাত্মক কৌশলে খেলেই ২৯ বছর পর টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ধবলধোলাই করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক কৌশলকে অনেকেই পাকবল নামও দিয়েছিলেন। এই পাকবল শুধু টেস্টেই আটকে থাকছে না, ওয়ানডে ক্রিকেটেও দেখা যাবে পাকিস্তানের ক্রিকেটের এই রূপ। ক্রিকেটারদের কাছে পাকিস্তানের প্রধান কোচ অ্যান্ডি ব্র্যাডবার্নের এটা কোনো অনুরোধ নয়, বরং দলে থাকতে হলে এই চাহিদা পূরণ করেই থাকতে হবে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও এশিয়া কাপকে সামনে রেখে নতুন কৌশলে খেলার জন্য আলাদা অনুশীলনও করেছে পাকিস্তান। লাহোর ও করাচিতে হওয়া সবশেষ দুই অনুশীলন ক্যাম্পে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটকে। পাকিস্তানের প্রধান কোচ ম্যাচে এই অনুশীলনের প্রতিফলন দেখতে চান।
ব্র্যাডবার্ন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, দলে থাকতে হলে কীভাবে খেলতে হবে, ‘আমরা নেটে দেখানোর জন্য অনুশীলন করছি না। আমরা এই স্কিলটা ম্যাচে দেখাতে চাই। আর এটা খেলোয়াড়দের প্রতি কোচের কোনো অনুরোধ নয়। দলে থাকার জন্যই এমন খেলা প্রয়োজন। কারণ, এভাবেই খেলাটা বৈশ্বিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা জেতার মতো ক্রিকেট খেলতে চাই। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমাদের চাওয়াটা এমন হতে হবে। খেলাটা সামনে এগিয়ে যাচ্ছ। আর আমরা সেখানে নেতৃত্ব দিতে চাই।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঝের ওভারে সাধারণত ব্যাটসম্যানরা একটু ধীরগতিতে খেলেন। পাকিস্তান এই মিডল ওভারেই আগ্রাসী হতে চায়। পাকিস্তানের প্রধান কোচ জানালেন শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও আক্রমণাত্মক হবে তাঁর দল। তিনি বলেন, ‘একভাবে দেখলে দল নির্বাচনটা কঠিন। তবে আমাদের কাছে দল নির্বাচন করা খুব বেশি কঠিন মনে হয়নি। মানে বলতে চাচ্ছি, আমাদের একাদশ ও ব্যাটিং কৌশল কী হবে, তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে। আমাদের ধারণা আছে আমরা কখন আক্রমণ করতে চাই, বিশেষ করে, মিডল ওভারে। মিডল ওভারের দিকে আক্রমণের জন্য আমরা সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিং ও ফিল্ড প্লেসিংয়েও। বল হাতে তখন আমরা উইকেট নিতে চাই।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তান দলে ফিরেছেন ফাহিম আশরাফ। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম ওয়ানডে দলে ফিরেছেন প্রায় দুই বছর পর। সবশেষ খেলেছিলেন ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে।
দুই বছর পর কেন ফাহিম দলে, সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন কোচ, ‘আমি বিশ্বাস করি ডেথ ওভারে পেস বোলারদের বিপক্ষে ফাহিমের চেয়ে কেউ ভালো হিট করতে পারে না। যারা ব্যাটিং ও বোলিং—দুই বিভাগেই গতিশীল, তাদের আমরা সুযোগ দিতে চাই। পিএসএলে ফাহিম যেভাবে ব্যাট হাতে খেলাটা শেষ করেছে, সেই নোটটাও আমরা রেখেছিলাম।’